আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মওদূদী সাহেবের সংগঠন ইসলামের নাম নিয়ে ইসলামের যতটুকু জড় কেটেছে তা অন্য কোন মুরতাদ, নাস্তিক ও করতে পারেনি

আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি.................... গতকাল শুক্রবার মুসলিম যুব সমাজ সিলেট কর্তৃক সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মওদূদীবাদের স্বরূপ উদঘাটন মহাসম্মেলন। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা মাশায়েখবৃন্দ বক্তব্য পেশ করেন। তাঁরা বলেন, ১৯৪১ সালে পাকিস্তানের মি. মওদূদী প্রতিষ্ঠিত ‘জামায়াতে ইসলামী’ হচ্ছে ইসলামের নামে একটি ইসলাম বিধ্বংসী ভ্রান্ত মতবাদ। এই মওদূদীবাদী (জামাত-শিবির) ফেৎনা ইসলামের যতটুকু ক্ষতি করেছে অতীতের কোন বাতিল ফেরকা ততটুকু করতে পারেনি। মওদূদীবাদী (জামাত-শিবির)-এর দলীয় সিলেবাসভূক্ত বই ‘কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা’-র শেষ পৃষ্টায় প্রিয়নবী (স.) সম্পর্কে লেখা “সুতরাং এ মহান কার্য সম্পাদনের জন্য তাঁর প্রশংসা স্তুতি প্রকাশ কর এবং তাঁর দরবারে আবেদন কর প্রভু-পরওয়ারদিগার ! দীর্ঘ ২৩ বছরের এ খেদমতকালে আমার দ্বারা যে সকল ত্র“টি বিচ্যুতি হয়ে গেছে, তা ক্ষমা কর।

” বক্তারা বলেন, নবী-রাসূল আ. গন ও সাহাবা কিরাম রা.-এর সমালোচক এই মতবাদীরা কখনও ইসলামের পক্ষের হতে পারে না ; এরা বরং ইসলাম বিরোধী একটি মারাত্মক অপশক্তি। তারা নবী ছ. যুগের মুনাফিক সম্প্রদায়ের মতো বাহ্যিক ইসলামের দোহাই দিচ্ছে ও সরলমনা মুসলমানদের ধোকায় ফেলছে। আলোচকরা এ অভিমত প্রকাশ করেন যে, তাসলিমা নাসরীন, আহমদ শরীফ, সালমান রুশদী প্রমুখ ইসলামের শত্র“রা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, কিন্তু তাদের কোন সংগঠন ছিল না। অন্যদিকে মওদূদী সাহেবের সংগঠন তথা দলীয় কার্যক্রম চালু থাকায় ইসলামের নাম নিয়ে ইসলামের যতটুকু জড় কেটেছে তা অন্য কোন মুরতাদÑ নাস্তিক ও করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামের আমীর নিজামী সাহেব ‘ইসলামী আন্দোলনের পথ ও পাথেয়’ বইয়ের ২৬ পৃষ্টায় বলেন, “এ ব্যাপারে মাও মাওদূদী’র মৌলিক বই পুস্তক যার উপরে ডিডি করে জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িয়ে আছে।

” অথচ মওদূদীর লিখনীগুলো নবী রাসূল, সাহাবা, কোরআন-হাদীস, তাফসীর, ফেকাহ, তাসাওফ-এসবের বিরুদ্ধে লেখা প্রশ্ন হচ্ছে,এগুলো বাদ দিলে ইসলাম ধর্ম থাকে কিভাবে ? নি:সন্দেহে জামায়াতে ইসলামী মওদূদীর মনগড়া মতবাদ। সর্বশেষে সভার পক্ষ থেকে ও আহবান জানানো হয়,যেসব ভাইয়েরা জামাত-শিবিরে যোগ দিয়েছেন, তাদের ভেবে দেখা দরকার তারা একজন ব্যক্তি মওদূদীর পক্ষ নিতে গিয়ে নবী-রাসূল, সাহাবা ও উম্মতের মহামনীষীগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন যেমন করে ? মাও. মুতিউর রহমানের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন আল্লামা সিকন্দর আলী টিলার হুজুর ও শায়খুল হাদীছ আল্লামা ইউসূফ সাহেব হরিপুরী। সভায় মহামম্মেলনের পক্ষ থেকে ঘোষণায় বলা হয়, মওদূদীসহ সকল ভ্রান্ত মতবাদিদের লেখনি সমূহ বাজেআপ্ত করা, কাদিয়নিদের অমুসলিম ঘোষণা করা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতা মূলক করা, সংস্কৃতি নামে অপসংস্কৃতি বন্ধ করা , সংবিধান থেকে শরীয়ত পরিপন্তি সমূদয় আইন রহিত করা, নবী-সাহবাহগনের বিরুদ্ধের সমালোচনা মূলক কুৎসা রটনা কারিদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান চালু করা, কুরআন শরিফের অপব্যাখ্যাকারিদের বিরুদ্ধে শাস্তি বিধান চালু করা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাও. হরমুজ উল্লাহ বালিঙ্গা মাদ্রাসা, মাও. আব্দুল আউয়াল দেউলগ্রাম মাদ্রাসা, শায়খুল হাদীছ মাহমুদুল হাসান লাফনাউট, মাও. আব্দুল কাদির আজিমগঞ্জ মাদ্রাসা, শিব্বীর আহমদ শ্রীরামপুর মাদ্রাসা, মাও. দেলওয়ার হোসেন সাইদী ঢাকা, মাও. মকবুল আহমদ ব্রাহ্মনবাড়ীয়া, শায়খুল হাদীছ আল্লামা ফরী উদ্দিন মাসউদ খতীব শোলাকিয়া ইদগাহ, শায়খুল হাদীছ আল্লামা মুফতী নুরুল হক জকিগঞ্জী, ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা প্রমুখ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।