আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাত ধরা-ধরি কর্মসূচী কেমন হল? হাসনাত আব্দুল হাই এটা কি লিখল ?

গণজাগরণ মঞ্চের আজকের হাত ধরা-ধরি কর্মসূচী কেমন হল কেউ কি বলতে পারেন ? সারাদিন ফেসবুকে সারাদিন নানা রসাল আলাপ শুনে আগ্রহটা একটু বেড়েই গেল। ফেসবুকে দেখলাম নানামুখী মন্তব্য---- “পাশে মেয়ে থাকলে কি মেয়ের হাত ধরবে নাকি তাকে পাশকাটিয়ে কোন ছেলের হাত ধরবে” আবার কেউ বলছে, এই সুযোগে যদি একটা গার্ল ফ্রেন্ড পাওয়া যায় তবে মন্দ হত না। বুঝতে বাকি নেই এরা সব দুষ্ট ছেলের দল। কিন্তু গনজাগনের পক্ষের লোকদের ও এটা নিয়ে তেমন প্রচারনা চালাতে দেখিনি। বরং তাদের সারাদিন গেল হাসনাত আব্দুল হাই নামের জনৈক লেখকের চৌদ্ধ পুরুষ উদ্ধার করতে।

বেচারা হাসনাত আব্দুল হাই কে মাঝে মাঝে প্রথম আলোতে লিখতে দেখতাম। মোটামুটি কারো সাতে-পাচে নাই এমন লেখক, যতদূর মনে পরে। কিন্তু কি মনে করে আজ সে গণজাগরণ মঞ্চ কে উল্লেখ করে "টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি” নামের গল্পটি লিখতে গেলেন আর প্রথম- আলো কি মনে করে সেটা প্রকাশ করল, বুঝে উঠতে পারলাম না। অবশ্য প্রথম- আলোতে এর চেয়ে ও বেশি খুল্লাম-খুল্লা বা যৌন সুড়সুড়ি উদ্রেক করে এমন গল্প প্রকাশ করা হয়। এটা তাদের তথাকথিত প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ বলেই তারা মনে করে হয়ত।

এই গল্পটিতে যৌন সুড়সুড়ি না থাকলে ও আছে “গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে আসা একটি মেয়ের জীবন চরিত” , যেখানে সে কারো যৌন লালসার স্বীকার এবং গল্পের ঘটনাবলী গণজাগরণ মঞ্চকে নিয়ে আবর্তিত। টিভি সিরিয়াল বা সিনেমার শুরুতে আমরা একটা লেখা দেখি, “ এই নাটক বা সিনেমার কাহিনী পুরপুরি কাল্পনিক এবং বাস্তব জীবনের কোন চরিত্রের সাথে মিলে গেলে আমরা দায়ী নই”। এই লাইন টুকু দিয়ে তারা অনেক কিছুতে পার পেয়ে যায়। হাসনাত আব্দুল হাই তার গল্পে “গণজাগরণ মঞ্চ” নাম উল্লেখ করায় এই রকম পার পাওয়া্র কোন সুযোগ নেই। এই গল্পটি সত্যি কারের জীবনে গল্প বলেই ধরা হবে।

প্রথম আলো কি এর গল্পের সত্যতা প্রমান করতে পারবে? নাকি পারবেন হাসনাত আব্দুল হাই ? প্রথম দিকে গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে আগ্রহ থাকলে ও পরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি, তাই মঞ্চের কাছে যাওয়া হয়নি কখনও। নিজে থেকে তাই যাচাই করার উপায় নেই এইসব সত্যি কি মিথ্যা । যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে, এই সময়ে এমন একটি গল্প লিখে হাসনাত আব্দুল হাই ভীষণ সাহসের পরিচয় দিয়েছেন এবং অতি শ্রীঘই হয়ত ডিম্ব থেরাপির লিস্ট এ নিজের নামটি দেখবেন। আর যদি মিথ্যা হয়ে থাকে, তবে প্রথম-আলো সম্পাদক “মতি মিয়া” সহ হাসনাত আব্দুল হাইকে কেন ডিম্ব থেরাপি দেয়া হবে না সেই মর্মে হয়ত আদালত থেকে অতি শ্রীঘই রুল জারি করা হবে। গণজাগরণ মঞ্চের পাশে এক পায়ে খাড়া প্রথম আলোর সম্পাদক মতি মিয়ার কেন হটাত মতি ভ্রম হল সেটা অবশ্যই জানা দরকার ।

আমরা মতি মিয়ার পাশে ও না আবার হাসনাত আব্দুল হাই এর পাশে ও না, আমরা সত্যের পাশে দাঁড়াতে চাই। আশা করি এই রহস্যের জাল খুব দ্রুতই ছিন্ন হবে। জীবন সংগ্রামে লিপ্ত সকল নারীদের জন্য আমার আন্তরিক স্রদ্ধা সব সময়ের। সেই স্রদ্ধায় এতটুকু কমতি হোক চাইনা। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।