আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোহিঙ্গা নিয়ে যারা অতি চিন্তাশীল অথবা চিন্তাশীল নন তাদের বলছি।

মনিরুল@ইসলাম আজকাল Facebook অথবা blog এ “রোহিঙ্গা” ইস্যু নিয়ে অনেক পোস্ট লিখা হচ্ছে এবং অনেকে বুঝে না বুঝে অত্তান্ত খারাপ ভাষাই সরকারকে দোষারোপ করছে এবং সরকারকে সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছে এবং আরও আনেক কিছু। আমি তাদের উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চাইঃ আমাদের দেশের জনসংখ্যা এমনিতেই আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি, তারপরও যদি একবার সীমান্ত খুলে দেয় সরকার, যে পরিমান রোহিঙ্গা প্রবেশ করবে তাদের খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসা আরও অনেক কিছুর বাবস্থা কিভাবে হবে চিন্তা করেছেন?? আগে থেকে যেসব রোহিঙ্গা এসেছেন আজ পর্যন্ত তাদের ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার সরকার। এখন যারা আসবে তাদের কি আর ফিরিয়ে নিবে?? তাদের সাহায্যর বেপারে স্বল্প মেয়াদে অনেকেই হাত বাড়াবে। যদিয় তা প্রয়জনের তুলনায় অনেক কম হবে। এবং যতই দিন বাড়বে ততোই সাহায্যর পরিমান কমতে থাকবে।

তাহলে কি ধরে নিতে পারিনা দীর্ঘ মেয়াদে যদি তারা বাংলাদেশে থাকে তবে তাদের ভার আমাদের উপরেই এসে পড়বে এবং তা জাতীয় অর্থনীতিতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমরা কি সেটা ভেবেছি? অনেকে আবার বলতে পারেন পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের পুনর্বাসন করা হউক। আমি তাদের জন্য ছোট্ট একাটা ঘটনা বলিঃ একবার এক দানশীল বাক্তি তার কাছে সাহায্য চাওয়ায় কয়েকজন গৃহহীন বাক্তিকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিলেন এবং তার বাড়ির কিছু অংশে তাদের ঘর তুলে বসবাস করার অনুমতি দিলেন। অনেক দিন পর যখন তাদের অবস্থা ভাল হল তখন দানশীল বাক্তি তাদের অন্যত্র যেতে বললেন। তখন তারা দানশীল বাক্তিটির সেই সাহায্য মনে করতে চাইলনা এবং নিজ নিজ বসবাসক্রিত অংশের মালিক বলে নিজেকে দাবি করল।

গল্পটার মর্মার্থ চেষ্টা করলে সবাই বুঝতে পারবেন আসা করি। পার্বত্য চট্টগ্রাম এর স্বাধীনতা নিয়ে কিছু আন্দোলনের সাথে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততার কথা শোনা যায়। আরও আস্তে দিলে সমস্যাটা আরও বাড়বে। আপনার কি জানেন বহির্বিশ্ব এবং তাদের পোষা মিডিয়া মিয়ানমারের দাঙ্গার বেপারে মিয়ানপার সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টিতে যতটা না সোচ্চার/আগ্রহী, তার থেকে রোহিঙ্গাদের প্রবেশে বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন(?) নিয়ে বেশি আগ্রহী। তারা কেউ মিয়ানমার এর বিষয়বস্তু ঠিকভাবে তুলে ধরছেনা।

বাংলাদেশ সরকার যে এপারে আসা রোহিঙ্গাদের খাবার দিচ্ছে, তাদের চিকিৎসা করছে, তাদের ট্রলারে তেলও দিচ্ছে সেসব কিন্তু তুলে ধরছেনা। কিন্তু কেন তারা দাঙ্গা নিরসনে তেমন কিছু না করে বাংলাদেশ সীমান্তে মানবাধিকার নিয়ে লাফাচ্ছে একবারও কি ভেবেছেন? পরিশেষে আপনাদের কিছু অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকারকে গালাগালি সম্পন্ন ছবি লাইক, শেয়ার করছেন তারা যদি রোহিঙ্গাদের জন্য সত্যিকারভাবে কিছু করতে চান তবে আপনাদের পাড়া, মহল্লা, গ্রাম থেকে সাহায্য সংগ্রহ করে রোহিঙ্গাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন(জানি বেশিরভাগ পাবলিক এটা পারবেনা, কারন তারা পারে কম্পিউটারের সামনে ফেসবুক আর ব্লগ ঘাঁটতে)। আর যদি তা না পারি তবে অহেতুক সরকারকে গালি না দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও পশ্চিমা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন এবং মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টিতে তাদের আহ্বান জানান। তাহলেই একটু হলেও আপনি তাদের জন্য কিছু করতে পারবেন বিদ্রঃ- লেখায় কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা প্রার্থী। আমি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নই।

আমি মুজিব এর কিছু গুন, জিয়ার কিছু গুন পছন্দ করি। কাজেই এখানে রাজনীতির গন্ধ খুঁজবেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.