আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর জুলুম-হত্যাকান্ডের প্রতিকার হবে!!! কি হবে না.....সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের আমরা আশ্রয় দেব!!! কি দেব না?

আমি জাতির আধার রাতের আলো... আমাদের পাশবর্তী দেশ মিয়ানমারে আরাকান রাজ্যে সম্প্রতি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা যে হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছে এবং হচ্ছে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে জুলুম নির্যাতনের ষ্টীমরোলার চলেছে এবং এখনও চলছে, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার তথা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এর এই দেশের সরকারের জন্য বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া মোটেই উচিত হবে না বরং অতি জরুরী হচ্ছে সীমান্ত খুলে দিয়ে জীবন নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে আসা আমাদেরই ভাই রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয়ের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আহতদের জরুরী চিকিতসার ব্যবস্থা করা । কারণ রোহিঙ্গা মুসলমানরাতো ঈমানের কারনেই - মুসলমান হওয়ার কারনেই যালিম মিয়ানমারের সন্ত্রাসী কাফির বৈাদ্ধদের দ্বারা হত্যাযজ্ঞ-জুলুম নিযার্তনের স্বীকার হচ্ছে আজ প্রায় একশত বছর ধরে। আমার প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা উপরোক্ত বিষয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে পোষ্ট দিয়েছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সালাম ও শুভকামনা, আবার অনেকে প্রশ্ন করেছেন! বা বলতে চেয়েছেন “ এমনিতে আমাদের মাথার উপর রোহিঙ্গা শরনার্থীর রয়েছে এক বিশাল চাপ, তার উপর এখন যদি নতুন করে মিয়ানমারে আরো সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা সীমান্ত দিয়ে যদি প্রবেশ করে তাহলে তা আমাদের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতির তৈরী হবে“ । উক্ত বিষয়টি এইভাবে না দেখে দেখতে হবে মানবিক দৃষ্টিকোণ হতে।কারণ রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ ছাড়া কোন দেশে আশ্রয় জন্য ছুটবে, ভারতের দিকে ছুটবে কি? ভারততো আরেক যালিম-বর্বর কাট্টা মুসলিম বিদ্ধেষী একটি দেশ!!!!! বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের দেশতো লক্ষলক্ষ কাফির - মুশরিক রয়েছে, তাহলে মুসলমান আশ্রয়প্রার্থীদের এই দেশে আশ্রয় দিতে সম্যসা কোথায়? জায়গার অভাব কি? নাকি খাবারের অভাব? মূলত এসবের মালিক হচ্ছে, আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা-লালন পালনকর্তা-সর্বপরি রক্ষাকর্তা মহান আল্লাহ পাক সয়ং তিনি। অবশেষে বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণসহ তামাম বিশ্বের মুসলমানদের বলতে চাই,--- মিয়ানমারের সন্ত্রাসী কাফির বৈাদ্ধ রাখাইন ও সামরিক জান্তা কতৃক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যাকান্ড-যুলুম নির্যাতনের বিষয়টি.....নতুন করে মুসলিম রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বাংলাদেশে আগমনের বিষয়টি..... তীব্র প্রতিবাদ জানানো প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের ঈমানী দ্বায়িত্ব। পাশাপাশি সমস্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উচিত একত্রিত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমার সহ তাবত কাফির-মুশরিকদের দেশে মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন বন্ধ করার আশু প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য মিয়ানমার সরকার সহ তামাম কাফির-মুশরিক রাষ্ট্রকে বাধ্য করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.