আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, মদিনা সনদের আলোকে দেশ চলবে...আসুন দেখি মদিনা সনদ ও দেশ...

ভালো আছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চলবে । কিছুদিন আগে বলেছিলেন, শরীয়া আইনে বিচার করবেন...বেশ তাহলে আগে মদিনা সনদ নিয়ে আলোচনা করা যাক..... মদিনা সনদের মূল ধারা ছিলো ৫২ টি...তার মধ্যে প্রধান প্রধান ধারাগুলো হলো- ( ১ ) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে । * ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে । তাহলে মদিনা সনদের আগে ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা লাগবে । ( খুউব খিয়াল কিন্তু ) ( ২ ) হযরত মুহাম্মদ স. ইসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন ।

* হযরত মুহাম্মদ স. ইসলামি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান অর্থাৎ তার আদর্শ ১০০% মেনে চলে এমন কেউ আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন । গণতন্ত্র অনুযায়ী রাষ্ট্র চালাতে কিন্তু আমাদের নবীজি বলে যান নাই । খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৩ ) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদিনা বা মদিনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরূপ সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে না । *যেসব দেশ নিত্য আমাদের দেশকে ধ্বংসের মুখে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না ।

খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৪ ) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে । কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । * কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । যেমনটা আমাদের নাস্তিক ভাইয়ারা খুউব জোরেসোরে করে যাচ্ছেন ।

আরো করে যাচ্ছে সীমান্ত এলাকায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে খ্রীস্টান মিশনারী । এখানে কোনো ধর্মের লোক অন্যকোনো ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কোনো একটা ধর্মের অনুসারী হওয়ার পরে সেই ধর্মটাই সে খেয়ালখুশি মতো পালন করবে- এমন অধিকার দেয়া হয় নি । খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৫ ) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমন কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে । * সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে ।

ভারতের মতোন যারা আমাদের প্রতিনিয়তআক্রমন করে যাচ্ছে, সেটাতে প্রতিরোধ করতে হবে । তাদের কাছে গিয়ে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয় নি। খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৬ ) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে । * নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে ।

নিজ দলীয় লোকদের আলাদা সুরক্ষার কথা বলা হয় নি। খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৭ ) অসহায় ও দুর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে । * অসহায় ও দুর্বলকে রক্ষা করতে হবে । খুউব খিয়াল কিন্তুক ।

( ৮ ) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে । * রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে । যদি কোনোদল অন্য কোনো দলের রক্তে গোসল করার খায়েশ করে, তাহলে কী করতে হবে- বুঝতে পারছেন তো..? খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ৯ ) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে । তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না ।

* অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না । কথায় কথায় মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগায় এসব বলা যাবেনা কিন্তু ম্যাডাম । কওমি মাদরাসা হলেই তাকে জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র মনে হয় বলা যাবে ! আর হুজুর হলেই রাজকার ! হোক না, তার জন্ম যুদ্ধের তের বছর পরে কিংবা যদি হয় সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ! কি বলেন ? খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ১০ ) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে । * সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা বন্ধুসুলভ আচরণ করবে ।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মতো যারা সদম্ভে ঘোষণা করবে- এদেশ থেকে মৌলবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে, তাদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে ? খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ১১ ) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক । * রাষ্ট্রপ্রধান হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক । আর রাস্ট্রপ্রধান কে হবেন সে কথা আগেই বলা হয়েছে । খুউব খিয়াল কিন্তুক ।

( ১২ ) মুহাম্মদ সা. এর অনুমতি ব্যতীত মদিনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না । * রাষ্ট্রপ্রধান ব্যতীত বাংলাদেশিরা কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না । খুউব খিয়াল কিন্তুক । ( ১৩ ) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না ।

* তাহলে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাম করে বিদেশে ভূয়া ডকুমেন্টারি সাপ্লাই করে ? যারা কিছু হলেই বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে ? ধর্মের নামে কটুক্তি করার চেয়ে ধর্মের সাথে বড় বিশ্বাসঘাতকতা আর কী হতে পারে বলে আপনার মনে হয় ? এর চেয়ে বড় মুনাফেকি বা কি, যে, ধর্মের বিরুদ্ধে বিরাট বিরাট কুৎসা লিখে আবার নিজেকে মুসলিম দাবি করে ? থেকে খুউব খিয়াল কিন্তুক ম্যাডাম । আমাদের বিচারালয়ের কিন্তু ওই নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে.... ম্যাডাম আপনাকে ধন্যবাদ । পারলে প্রত্যেকটা ধারা মেনে চলেন আমরা আছি আপনার সাথে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.