আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ..... না পারেন দুঃখ বা কষ্ট পাবোনা তবে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না । প্রধানমন্ত্রীর জন্য শুভ কামনা রইল । সফর সফল হোক ।

একবছরের একটু বেশি সময় পরে আবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল বরিশাল সফরে রয়েছেন । প্রধানমন্ত্রীর সফর মানেই চাওয়া-পাওয়া'র কথা বলার এক স্ক্রিপ্ট । দলের অন্য সকল স্থানীয় লোকজন বলবেন না পাওয়ার কথা । আর বাহির থেকে যার যাবেন তারা আগুন ঝরা বক্তব্য দিবে যার শোল আনাই মিছা । সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন যেখানে থাকবে হাসিমুখে মিথ্যা সফলতার কথা(আংশিক সত্য হলে হতেও পারে) এবং বাকীটুকু শুধুই অধরা আশার বানী যা সাধারন মানুষরা গলাধকরন করবেন ।

হয়ত মাঠে উপস্থিত হায়ার করা জনগণ কিছু টাকা পেলেও পেতে পারে । তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটাই অনুরোধ যদি সম্ভব হয় বলেবন আশা দিবেন নতুন সত্য কথাটা বলুন । অনেকদিন হয় আপনার নিকট থেকে সত্য কথা শুনার প্রত্যাশায় আছি । পদ্মা সেতু তো এখন গলার কাটা!!!! মনে রাখবেন বরিশালবাসী কিন্তু শুধু কথার ফুলঝুড়িতে বিশ্বাসী নয় । কাজে বিশ্বাসী ।

বাকীটুকু------- কীর্তনখোলার তীরে মুক্তিযোদ্ধা পার্কের উদ্বোধন এবং একটি পানি শোধনাগারসহ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে বরিশালে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায়ও বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সরকারের চলতি মেয়াদে বরিশালে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এক বছর আগে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলের এই বিভাগীয় শহর সফর করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বরিশাল নগরীকে আগেই ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫ হাজারের সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। সকাল ১০টার পর হেলিকপ্টারে করে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে পৌঁছান শেখ হাসিনা। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরীকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও রাজা বাহাদুর সড়কের দুই পাশে রং করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু উদ্যান সাজানো হয়েছে সুন্দর ভাবে।

লঞ্চঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে তোরণ। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে বলা হয়েছে, বরিশাল পৌঁছেই কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক এবং বরিশাল নদী বন্দরের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি। কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল মেরিন ওয়ার্কসপ এলাকায় ৮৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা পার্কে সাতশ মিটার ওয়াকওয়ে রয়েছে। বেঞ্চ রয়েছে ৬২টি। আর নৌ-বন্দরের দ্বিতল টার্মিনাল ভবন ও পন্টুনে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

নদী বন্দরে ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বরিশাল মেরিটাইম একাডেমি, বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম ও সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। কর্মকর্তরা বলছেন, রূপাতলীতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পানি শোধনাগার নির্মিত হলে নগরবাসীকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার পরিশোধিত পানি সরবরাহ করা যাবে। আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর প্রান্তে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। ৫০০ আসনের এই মিলনায়তনে প্রদর্শনী গ্যালারী ও সম্মেলন কক্ষও থাকবে। উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সার্কিট হাউজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জেলার সার্বিক উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।

বিকালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সফরসূচিতে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.