আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বে ২২ কোটি শিশুশ্রমিক অর্ধেকই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই বিশ্বে ২২ কোটি শিশুশ্রমিক অর্ধেকই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে মঙ্গলার ঘটা করে পালন করা হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। কিন্তু তাতে করে শ্রমিক শিশুদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে এখনও ২১ কোটি ৫০ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশুরা জীবিকার তাগিদে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের যৌন ব্যবহারের জন্য পাচার কিংবা ঋণ শোধ করতে জোরপূর্বক কাজে লাগানো হচ্ছে এখনও।

খবর বিবিসি ও ইন্টারনেটের। বেঁচে থাকার তাগিদে বিশ্বের কোটি কোটি শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। কাজের কারণে তারা তাদের সাধারণ অধিকার যেমন- শিক্ষা, চিকিৎসা, অবসর এবং সাধারণ স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। এই শিশু শ্রমিকদের একটি বড় অংশ আবার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করছে শিশুরা।

তাছাড়া দাসত্ব কিংবা জোরপূর্বক শ্রমিক, এমনকি দেহ ব্যবসায়ও বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। শিশুশ্রম প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক ইয়ান সোমাভিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, সারা বিশ্বে ২১ দশমিক ৫ কোটি শিশু যখন বেঁচে থাকার জন্য এখনও শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে তখন আÍপ্রসাদের কোন সুযোগ নেই। এই শিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশুশ্রমের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজগুলো করছে। কেউ কেউ আবার সশস্ত্র সংগ্রামেও জড়িয়ে পড়ছে।

বলা বাহুল্য, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুশ্রম এক বড় সমস্যা। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে রাতারাতি শিশুশ্রম তুলে দেয়া এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে শিশুদের জন্য হালকা কাজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, সেই সঙ্গে কাজের পাশাপাশি তাদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ। বাংলাদেশে শিশুদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কাজ করছে এ সংগঠনটি। শিশুশ্রমের বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাইলে করভি বলেন, ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ৮০ লাখের মতো।

বর্তমানে এই সংখ্যা খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা মুখে বলি যে, শিশুশ্রম আমরা বন্ধ করতে চাই। কিন্তু কিছু গবেষণা করে দেখা গেছে, শিশুশ্রম যদি আমরা রাতারাতি বন্ধ করে দিই বা যখন আমরা বলি কোন জায়গায় বাচ্চারা কাজ করতে পারবে না, তাহলে সেই বাচ্চাগুলো কোথায় যাবে? ওরা চুরি করা শুরু করবে। এখন আমরা যেটা করতে পারি, এদের দিয়ে ভারি কাজ না করিয়ে, আমরা চেষ্টা করব তাদের হালকা কোন কাজ দেয়ার জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।