আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীনগরে স্কুলছাত্রীর জীবন কেড়ে নিল প্রতারক প্রেমিক!

ভালো। শ্রীনগরে প্রেমের ফসল হিসেবে গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী মৌসুমীর (১৪) জীবনও কেড়ে নিল প্রতারক প্রেমিক। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে লম্পট প্রেমিক বাবু (২২)। মৌসুমীর পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার সকালে লম্পট বাবু বিয়ের কথা বলে মৌসুমীকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে আলামিন বাজারে এনে কৌশলে তাকে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খাইয়ে দেয়।

কিছুক্ষণ পর মৌসুমীর বমি শুরু হলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৌসুমীর অবস্থার অবনতি হলে তার মাকে খবর দেয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে মৌসুমীর মৃত্যু হয়। এ সময় বাবু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, বাবু হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে বিষপানের কথা লিপিবদ্ধ করেছে।

মৌসুমীর মামা সাঈদ জানায়, এলাকার প্রভাবশালী ম্যাগনেট বাহিনীর সদস্য বখাটে যুবক বাবু প্রায় তিন বছর আগে মৌসুমীকে প্রেম নিবেদন করে। মৌসুমী রাজি না হওয়ায় বাবু প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বাবুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মৌসুমীকে বাঘরা স্বরূপচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পিতৃহীন মৌসুমীকে প্রকাশ্যে মারধর করে বাবু। পরে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এক পর্যায়ে মৌসুমী বাবুর প্রস্তাবে রাজি হয়।

পরে বাবু তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এতে মৌসুমী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে সে তার নানী জীবনীকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বাবুর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু বাবু বিয়েতে রাজি হওয়ার শর্ত হিসেবে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।

বাবুর কথায় পিতৃহীন মৌসুমীর পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কয়েকদিন আগে মৌসুমী নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে বাবুর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। কিন্তু বাবুর বাবা-মা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়। এতে মৌসুমী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার বিকালে মৌসুমীর লাশ ঢাকা থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হƒদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।