টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ধরুন প্রতি বছর হাইকোর্টে রিটের সংখ্যা ১৫ হাজার। (সংখ্যাটা শুনে আশ্চর্য হবেন না। ২০০৫ এ আমি এই রিটের সংখ্যা চেক করেছিলাম, আগের বছর সে সংখ্যা ছিল ৯৫০০, এবছর মার্চ এর ২০ তারিখের পরের একটি রিট এর আদেশের কপি আছে আমার কাছে। যার নম্বর ছিল ২৮২৬, সে হিসেবে এখন রিটের সংখ্যা বছরে ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা।
)
এখন প্রতি রিটের রেইট ধরুন ৫০ হাজার। এখন গুন করুন। ১৫,০০০ X ৫০,০০০= ৭৫০,০০০,০০০০ টাকা। সাতশ পঞ্চাশ কোটি টাকা শুধু হাইকোর্র্টের রিট বিক্রি করে। এদেশে সবই বিক্রি হয়, বাজারের মত।
হাইকোর্টের রিটের এই সংখ্যা নিয়ে রফিকুল সাহেবরা কখনও বলবে না। দূঃখের বিষয় ৯৫% রিট হয় সরকারী সম্পদ লুটে পুটে খাওয়ার জন্য। জলমহাল থেকে শুরু করে মাজার, আখড়া ইত্যাদীর সম্পত্তি, ইজারা, মালিকানা ইত্যাদী নিয়ে। যেগুলর রেইটও অনেক হাই। বিশ্বাস না হলে করার কিছু নাই, বাট ইহাই সত্য।
আইন মন্ত্রনালয়ের সলিসিটর উইংয়ে রিটের ভালো তথ্য পাওয়া যায়।
সলিসিটর উইং : হাইকোর্ট = ভূমি অফিস: হাইকোর্ট
গত দশ বছরের রিট পিটিশনগুলোর সাবজেক্ট ম্যাটারও যদি সাংবাদিকরা প্রকাশ করতে পারতো, তাহলে জাতি তা থেকে কি পরিমান জ্ঞান অর্জন করতে পারতো ধারনা রাখেন কি ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।