আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জান্নাত

সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জান্নাতের ওয়াদা করেছেন এবং জাহান্নামের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন….. সুতরাং যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করলো সে মহা সফলতা অর্জন করলো। যখন মুমিন জান্নাতে প্রবেশ করবে ঘোষনা হবে ১ তোমরা সারাজীবন সুস্থ থাকবে, কখনই রোগ ব্যাধি তোমদের গ্রাস করবে না ২ তোমরা সারাজীবন বেঁচে থাকবে, মৃত্যু কখনো আসবে না ৩ তোমদের পুরষ্কার কখনো শেষ হবে না এক হাদীসে আছে, একজন সাধারণ বেহেশ্তী যে স্হান লাভ করবে , তা সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার দশগুন স্হানের সমান হবে । -মুসলিম, মেশকাত । জান্নাতী মুমিন পুরুষের বৈশিষ্ট হযরত আদম আলাইসিসালাম- ৬০ হাত(৯০ ফিট) সৌন্দর্য হবে হযরত ইউসুফ আলাইসিসালাম বয়স হবে হযরত ঈসা আলাইসিসালাম (৩০-৩৩ বছর) কন্ঠের মধুরতা হযরত দাউদ আলাইসিসালাম ধৈর্য হযরত ইয়াকুব আলাইসিসালাম স্বভাব হযরত মুহাম্মদ আলাইসিসালাম জান্নাতে থাকবে সুমিষ্ট পানির নহর, দুধের ঝর্ণাধারা যার স্বাদের কোন পরিবর্তন নাই, শরাবের নহর যা পানকারীদের জন্য উপাদেয় এবং খাঁটি মধুর স্রোতস্বিনী এ জান্নাতই শেষ গন্তব্য বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু যার ইন্তেযার করছেন, যেদিন বেলালকে উত্তপ্ত বালুর উপর চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর পাথর চাপা দেয়া হয়েছিল এবং তিনি মুশরিকদের দেয়া এ কষ্টে ধৈর্য্যধারণ করেছিলেন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাসজিদে আযান দেয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। এ জান্নাতই হচ্ছে সে বিশাল গনীমত আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু যার জন্য অপেক্ষা করেছেন, যে দিন তাকে আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল, তার পিতা মাতাকে হত্যা করা হয়েছিল – যারা ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদ।

এ জান্নাত পাওয়ার আশাই উমাইর ইবন হামামকে অহুদ যুদ্ধের দিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া থেকে বিরত রেখেছিল; যেহেতু তিনি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাগলপারা হয়ে উঠেছিলেন। আল্লাহও প্রতিদানে তাকে দ্রুত শাহাদাত নসীব করেছেন। এ জান্নাতের আশা-ভরসায় আল্লাহর ভয়ে প্রত্যেক আবেদের চোখ থেকে পানি ঝরে। প্রত্যেক মুজাহিদ আল্লাহর জন্য নিজের জান বিক্রি করে দেয়। হযরত আবু হোরায়রাহ (র বলেন, আমরা নবীজি (স এর কাছে আরজ করলাম, জান্নাত কি দিয়ে তৈরী?তিনি বললেন, এটি পানি দিয়ে তৈরী।

আমরা বললাম, আমরা তার অট্টালিকা সমূহ িনর্মানের বিষয় জানতে চাই। তিনি বললেন, জান্নাতের একচট ইট স্বর্ণের অপরটি রৌট্যের। আর তার প্রলেপ হবে মেশকের। এর মাটি হবে জাফরান আর কংকর মুক্তা ও ইয়াকুতের। যে জান্নাতে প্রবেশ করবে সে কোন নিয়ামত থেকে নিরাশ বা বঞ্চিত হবে না।

সে অনন্ত কাল সেখানে অবস্থান করবে। তার পরিধেয় পোশাক পরিচ্ছদ কখনও পুরোন হবে না। তার যৌবন চিরকাল একই রকম থাকবে। জান্নাতের ভিত্তি স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা নির্মিত। ব্যবহৃত তৈজসপত্র স্বর্ণ দ্বারা রাসূলে পাক (ষ বলেছেন,জান্নাতে একটি গাছ রয়েছে যার ছায়ায় জান্নাতীরা শত বছর চলার পরও সে ছায়া অতিক্রম করতে সমর্থ হবে না।

সুত্র অনুবাদকৃত ও সংকলিত, নেট হতে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।