আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ কি অশনি সংকেত, এখন আবদুল্লাহ আবু সাইদের মত লোকেরাও মাননীয় সাংসদের অপমান করছেন, এতো ষোল কোটি মানুষকে অপমানের শামিল

ব-দ্বীপ মানে বদ্‌ দের দ্বীপ না কিন্তু। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। যদিও বাংলাদেশের অবস্থা দেখে ভুল বোঝা স্বাভাবিক। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কিডারে? শিক্ষক? আরে এইসব শিক্ষকরে মাটিত ফালায় যারা পিটায় সেইসব পুলিশ আমাগো ১০ বার স্যার ডাইক্কা স্যালুট দেয়। হেয় কি এইডা জানেনা? এই লোক দেশের জন্য কি করছে? স্বাধীনতার চেতনা, যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সময় এই লোকরে কোথাও খুইজা পাওয়া গেছে? বংগবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের ছিটাফোটাওতো এই লোকের মধ্যে নাইক্কা।

দেশ যখন ডিজিটাল হইয়া সোনার বাংলাদেশে পরিনত হইছে এই ব্যাটা কয়দিন এসবের প্রশংসা করছে কন? সোনার পোলারা যখন দেশ দাবড়ায় বেড়াইছে এই ব্যাটা কয়দিন তাগো স্বাধীনতার পরবর্তি শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম বইলা উতসাহ দিছে? কখনো দিছে? দেয় নাই। তাইলে? এই বেটারে কয়জন চিনে? গেরামের কেউ তারে চিনে? নির্বাচনে দাড়াইলে কয়ডা ভোট পাইবো? আরে সেইদিনইতো গেরামে যাইয়া আমাগো একজনই মাইনসেরে বন্দুক দিয়া গুল্লি করতে বাধ্য হইছে, গেরামের মানুষ তেনাগো এতই পছন্দ করে। আর এই ব্যাটা সায়িদ গেরামে গেলে দু একটা ছেলে ছোকরা যারা দুই পাতা বই পরছে হেরাই হয়তো আগায়া আসবো, আর কেউ কি তারে পুছবো? এই বেডা কয় আলোকিত মানূষ চাই, ছাইপাশ কিছু বই পইড়া আলোকিত মানূষ বানাইবো। আরে সকাল বেলায় সুর্যের তাপে বাচি না, রাইতে যে দেশে বিদ্যুতের আলো থাহে সেই দেশে আলোকিত মানূশ দিয়া করমু। আরে বেডা আমরা যে এতদিন ধইরা দেশে সাংবাদিক আইনজীবি পিডায়া, ভার্সিটি ভার্সিটিতে সোনার ছেলেগো লেলায়া দেশের লাইগা বালোকিত মানূষ বানাইতাছি তা কি চক্ষে পড়ে না মোমিন? এই বেডা কয় আমরা চোর।

অথচ ইউনুস ব্যাডাযে আমাগো নেতৃর নুবেল চুরাইলো হেই বেডাতো এইসব নিয়ে একদিনও কিছু কইলো না। সবচে বিরক্তিকর এই ব্যাডা কথাও কইতে জানে না ঠিকমত। আমরা যেহানে ১০ মাইকের সামনেও চিল্লায়া কথা কই যাতে সবাই শুনতে পায় ঠিক মত, হেই ব্যাডা ১ মাইকের সামনেই মিন মিনায়া কথা কয়। ব্যাডার কথা শুনলেইতো মিনকা শয়তান মনে লয়। সবচেয়ে বড় কথা এই বেডা ঠিক মত শুদ্ধভাষায় কথাও কইতে পারে না।

এইডা কেমন কথা, আস্তে কইরা, কোন খিস্তি খেউর ছাড়া কাউরে না গাইল্লায়া, নরম ভাষায় কথা কয়। এইসব কথাকি আমরা বুঝি?এই বেডাতো সুজাসুজি কথা কয় না, কয় ঘুরাইয়া। মেজাজটা বিলা কইরা দেয়, গালি দিল না প্রশংসা করল কিচ্ছু বুঝবার পারি না। কিন্তু এড্ডু বুঝছি বাংগালি কেউ কারো সম্বন্ধে ভাল কথা কয় না, অতএব এই বেডাও আমগো চুর বইল্লা গালি দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু কইবো না। কিন্তু আমগো চুর কইবো কেন? এইডাতো অনেক নিচের লেভেলের কাম।

একজন চুরকি শেয়ার বাজারে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা মারতে পারে? না চুরের আমাগো পুলিশের মত যারে খুশি তারে খুন খারাবি করতে পারে? এইডা বাইজান সবাইরে বুঝতে হইবো, এই অপমান শুধু আমগো তিনশ জনের না, এই দেশের ষোল কোটি জনগনের, স্বাধীণতার বিপক্ষ শক্তি সহ। কেন কইতাছি? আমরা জনগনের প্রতিনিধি। জনগন তাগো মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য সবচে পছন্দনীয়, সবচেয়ে সন্মানিত দেশপ্রেমিক মানুষরে পাঠাইছে এই সংসদে। আমাগো চুর কওয়া মানে ষোল কোটি মানূষের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষরে চুর কওয়া আর জনগনের রায়রে গালি দেওয়া। আর তাই জনগনের দাবী এই অধ্যাপকরে সংসদে আইসা সবার পা ধইরা মাফ চাইতে হইবো।

তারপর সংসদিয় ভাষার উপর কোর্স কইরা এর উপরে বই লেইক্ষা তা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অবশ্য পাঠ্য বই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হইবো। তাইলেই না দেশে আলোকিতর জায়গায় বালোকিত মানুষ হইবো। -----------জনৈক সংসদিয় টাল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।