আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফলের পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ এবং অন্যান্য ব্যবহার – ৬ষ্ঠ পর্ব

আইনষ্টাইনও না-কি ভুলোমনা ছিলেন। কিন্তু আমি তো আইনষ্টাইন না!! বৈশাখ মাস শেষ হয়ে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ শুরু হয়েছে। এই গ্রীষ্মে বিভিন্ন রকমের ফল আমরা খেয়ে থাকি। প্রত্যেক ফলের মধ্যেই রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ এবং ঔষধিগুণ। এই ধারাবাহিক পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বাংলাদেশে প্রাপ্ত ফলসমূহের পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ এবং অন্যান্য ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করার চেষ্টা করবো।

২৬। তরমুজ (Water Melon) পুষ্টিগুণ: এটি ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ফল। ঔষধিগুণ: পাকা ফল মুত্র নিবারক, দেহকে শীতল রাখে, অর্শ লাঘব করে। বীজের শাঁস খেলে লিভারের ফোলা ভাব কমে। আমাশয়, বীর্যহীনতা ও প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া বন্ধ করে।

ফল ও বীজ মাথা ঠান্ডা রাখে। ২৭। পানিফল (Water Chestnut) পুষ্টিগুণ: পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। ঔষধিগুণ: ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে অ্যালার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিত্ত-প্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটে ব্যথা উপশমে পানিফল খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

বিছা পোকা কামড়ালে যন্ত্রণায় থেতলানো ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। ২৮। আমলকী (Aonla) পুষ্টিগুণ: প্রচুর ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল। ঔষধিগুণ: আমলকীর রস যকৃত, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এর পাতার রস আমাশয় প্রতিষেধক ও বলকারক।

আমলকীর রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম ও কাশির হিতকর। হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র ও জ্বর নিরাময়ে এর বীজ ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার: আমলকী থেকে চাটনি, আচার তৈরি হয়। ২৯। খেজুর (Date Palm) পুষ্টিগুণ: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল।

ঔষধিগুণ: খেজুরের রস ক্রিমিনাশক হিসেবে পরিচিত। তাই সাধারণত সকালে খালি পেটে পান করা হয়। খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী ও বলবর্ধক। কম্পজ্বর নিরাময়ে এর বীজের গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। কান্ড থেকে নির্গত আঠা পাতলা পায়খানা ও প্রস্রাবের পীড়া উপশম করে।

৩০। কদবেল (Elephant’s Foot Apple/Wood Apple) পুষ্টিগুণ: এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন সি আছে। ঔষধিগুণ: কদবেল যকৃত ও হৃদপিন্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষতস্থানে ফলের শাঁস এবং খোসার গুঁড়ার প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কচি পাতার রস দুধ ও মিছরির সাথে মিশিয়ে পান করলে ছোট ছেলেমেয়েদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ নিরাময় হয়।

ব্যবহার: কাঁচা ও পাকা কদবেল খাওয়া হয়। এ ছাড়া আচার, চাটনি বানাতেও কদবেল ব্যবহৃত হয়। পূর্ববতী পর্বসমূহ: ১ম পর্ব: আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জাম ২য় পর্ব: কুল, কলা, আমড়া, পেঁপে, আনারস ৩য় পর্ব: নারিকেল, কামরাঙ্গা, লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা ৪র্থ পর্ব: শরিফা, চালতা, করমচা, বেল, লটকন ৫ম পর্ব: তেঁতুল, তাল, ডালিম, জামরুল, জলপাই উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি মন্ত্রণালয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।