আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর বহিস্কৃত পিএসের চাপে রাজউকের প্রতারণা

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নাই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর বহিস্কৃত পিএসের চাপে রাজউকের প্রতারণা রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বহিস্কৃত পারসোনাল সেক্রেটারি (পিএস) আবু জাহিদ সেন্টু। বরাদ্দ পাওয়ার পর আমাকে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দিয়ে প্লটটি হস্তান্তর করেন তিনি। বর্তমান বাজার দরে দুই কোটি টাকা মূল্যমানের প্লটটি এখন রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল করতে চাপ দি”েছন সেন্টু। তার চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ইতিমধ্যে আমার নামে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল করেছে রাজউক। আবু জাহিদ সেন্টুর সঙ্গে রাজউকের ছয় কর্মকর্তা মিলে এই কাজ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রতারণার শিকার প্লট মালিক ডা. এ এস এম বদরুদ্দোজা। তিনি বলেন, ২০০৩ সালে আবু জাহিদ সেন্টু বরাদ্দ পাওয়ার পর উত্তরা ১৭/ই নং সেক্টরের ১/বি রাস্তার ১৫ নং প্লটটি পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দিয়ে দেন আমার নামে। বর্তমানে সংশোধিত লে-আউট নকশায় অন্তর্ভূক্ত না থাকায় পাওয়ার অব এ্যাটর্নির মাধ্যমে আমার নামে বরাদ্দকৃত এই প্লটটি সংশোধিত নকশায় আন্তর্ভূক্তকরণ বা নতুন নম্বর দেওয়ার জন্য আমি রাজউকে আবেদন করি। রাজউকও ২০০৯ সালের ২৪ নবেম্বর উত্তরা ১৭/ই সেক্টরের ১/এ রাস্তায় সম আয়তনের ৩৯ নম্বর প্লটটি আমার নামেই বরাদ্দ দেয়। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে আবু জাহিদ সেন্টু প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার পর আমিই কিস্তি পারিশোধ করি।

এ সময় ডা. বদরুদ্দোজা আবু জাহিদ সেন্টুর পক্ষে বিভিন্ন সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করার রশিদ দেখান। ডা. বদরুদ্দোজা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তার সঙ্গে দফায় দফায় আমি কথা বলেছি। চেয়ারম্যানসহ সবাই আমার কাছে ভুলও স্বীকার করেছেন। তারপরও আমার পাওয়ার অব এ্যাটর্নি বাতিল করল রাজউক। তিনি বলেন, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না বহিস্কৃত পিএস আবু জাহিদ সেন্টুর চাপে নাকি ঘুষের বিনিময়ে রাজউকের কর্মকর্তা কাজটি করেছেন।

রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যেহেতু কাজ হলো না তাই আমি সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ জানাব। আমি হাইকোর্টেও রিট করব। আমি ইতিমধ্যে উকিলের সঙ্গে কথা বলেছি। ডা. বদরুদ্দোজা বলেন, রাজউকের মেম্বার (এস্টেট) আখতার হুসাইন ভূঁইয়া ‘আইনগত ঝামেলা হলে রাজউক দায়ি নয়’ বলে ফাইলে লিখেছেন।

কিš‘ নিয়ম হলো রাজউক যদি মনে করে তাদের কোন পদক্ষেপে আইনগত ঝামেলা হতে পারে তবে তারা সেটা আইন শাখায় পাঠায়। কিš‘ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমকর্তারা সেসবের তোয়াক্কা না করে তড়িঘড়ি করে আমার প্লটের পাওয়ার অব এ্যাটর্নি করেছেন। আবু জাহিদ সেন্টু নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস হিসেবে এখনও পরিচয় দেন এমন অভিযোগ করে ডা. বদরুদ্দোজা বলেন, রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দপ্রাপ্তরা প্লট বিক্রি করতে পারে না। তবে ক্রেতাকে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দিয়ে দেওয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্তরা বরাবরই এমনভাবে তাদের প্লট ‘বিক্রি’ করে থাকেন।

আবু জাহিদ সেন্টুও আমার কাছে এভাবেই প্লট বিক্রি করেছেন। এভাবে বিক্রি করা রাজউকেরও আইনসিদ্ধ। বরাদ্দপ্রাপ্ত কেউ যদি কাউকে পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দেওয়ার পর বাতিল করতে চান তবে নিয়ম অনুযায়ী রাজউক একটি শুনানী করে। সেখানে দুই পক্ষকেই ডাকা হয়। দুই পক্ষের সম্মতি আছে কীনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই রাজউক এই শুনানী আয়োজন করে।

সেক্ষেত্রে দুপক্ষকে ডেকে শুনানীর জন্য চিঠিও দিয়েছিল রাজউক। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে আমি রাজউকে উপ¯ি’ত থাকলেও আবু জাহিদ সেন্টু অনুপ¯ি’ত থাকেন। তারপরও চাপের কারণে আমার পাওয়ার এ্যাটর্নি বাতিল করল রাজউক। # ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.