আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরক্তিকর এক সকাল...............

পথের সন্ধানে পথে নেমেছি......... আজ অফিসে আসার সময় পড়েছিলাম এক অযাচিত উঠকো ঝামেলায়। গাড়ি চালানো আর অতিরিক্ত যাত্রী উঠনো নিয়ে ড্রাইভার আর এক যাত্রীর কথোপথেনের এক পর্যায়ে ড্রাইভার যাত্রীটিকে বলল, ‘ঐ মিয়া রংবাজী কর? রংবাজী এক্কেবারে ..........ইত্যাদি ইত্যাদি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঐ যাত্রী রেগেমেগে গিয়ে দিল ড্রাইভারকে এক চড়। আর যায় কোথায়..............চরম উত্তেজনা গাড়ীর ভিতর। তারপর খানিকক্ষন যাত্রী, ড্রাইভার হেলপার মিলে ভজরভজর করে এক পর্যায়ে সবাই চুপচাপ।

গাড়ী চলচে, কাজীপাড়া ক্রস করতে করতে ড্রাইভার কাকে জানি দিল ফোন,আর বলতে লাগল..... ঐ সবাইকে নিয়ে তালতলা স্ট্যান্ডে তাড়াতাড়ি আয়ত, এক হালারে আইজ চাইজ করুম...........। তৎক্ষনাত আমি সহ অধিকাংশ যাত্রী (কিছু যাত্রী থাকে তাড়া বিশেষ সময়ে কানেও শুনে না, চোখেও কিছু দেখেনা) তার তীব্র প্রতিবাদ করলাম কিন্তু বিধি! বাম। তালতলা এসেই ড্রাইভার ঘ্যাচাং করে দিল গাড়ী বন্ধ করে। কতক্ষন সবাই মিলে করলাম হই হুল্লোর, তাতে কিছুই হল না। জটলা বড় হতে লাগল, ওদের লোকজনই সব আর কিছু নিরীহ পথচারী (যাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন কাজ নেই, কোন দায়বদ্ধতাও নেই, কি আশ্চর্য ওদের মৌনতা!!!)।

ড্রাইভার হেলপার আর তাদের সাথীদের এক কথা, ঐ যাত্রীকে নামিয়ে দিতে হবে তবেই গাড়ী যাবে, নতুবা নয়। আমরা আমাদের সহযাত্রীটির বিপদ আচ করতে পেরে গাড়ী থেকে না নামার সিদ্বান্ত নিলাম। সেই সহযাত্রীকে দিয়ে মাফ চাওয়ালাম, সবাই মিলে মিনতি করলাম যে, অফিস টাইম আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ী চালাতে। শত অনুনয় বিননয় করে কোন কাজই হল না। তাদের ঐ এক কথা ঐ যাত্রীকে ওদের হাতে নামিয়ে দিতেই হবে, নতুবা গাড়ী যাবে না।

বিপদের এক পর্যায়ে রাস্তার ঐ পাশে দাড়িয়ে থাকা এক পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলাম সে হাত ইশারায় না করে তার গাড়ী নিয়ে চলে গেল। পুলিশের এহন আচরনে মেজাজটা আরও গেল বিগড়ে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কিছুই করতে না প‍ারার কারনে চরম বিরক্তিতে ক্লান্তি বোধ করতে লাগলাম। আর ভাবলাম এই সব পুলিশ নাকি জনগনের বন্ধু!।

জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় নাকি এদের বেতন হয়.............. সে যাক, এখন কি করব? এতসবের পরও ধৈর্য-সহ্য সহকারে এতজন যাত্রী সবাই হতাশ হয়ে বসেই রইলাম যাতে করে ঐ সহযাত্রীর যেন কোন বিপদ না বাড়ে। সেই সাথে ওদেরকে অনুনয় বিননয়ও করতে লাগলাম কিন্তু তারা তাদের অবস্হানে অনড়। এক পর্য়ায়ে ওদের অনেক লোকজন গাড়ীতেই চড়ে বসল এবং সাইকে নেমে যেতে বলল। সেই সাথে গাড়ি ঘুরিয়ে উল্টো দিকে যেতে লাগল। অবস্হা বেগতিক দেখে ঐ যাতী সহ সবাই কোন রকমে নেমে বাচলাম।

তারপর মাঝ রাস্তার ভোগান্তি.........সে আর নাই বললাম। রাস্তায় দাড়িয়ে নিজেকে খুবই অসহায় আর অবলা ভাবতে লাগল‍াম। আমার মত অন্য সবাইও এক চরম হতাশায় যার যার মত বিরক্তি প্রকাশ করতে লাগল। এক পর্যায়ে যে যেভাবে পারছে সেভাবে চলে গেল। আমি সহ দু-একজন শুধু দাড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষন, আর চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে............ এই আমাদের দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, একুশ শতকের বাংলাদেশ।

ধ্ধিক!..........................  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।