আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যান অন আ লেজ (২০১২) - রুদ্ধশ্বাস ক্রাইম থ্রিলার - টরেন্ট সহ

ভবের খেয়া এবার বাওয়া হইল আমার শেষ; এবার তরী ভাসিয়ে দিলাম পরপারের দেশ । । ম্যান অন আ লেজ (২০১২) ক্রাইম, থ্রিলার রানটাইম - ১০২ মিনিট ডিরেক্টর - অ্যাসগার লেথ অভিনয়ে - স্যাম ওয়ারদিংটন, এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস, জেইমি বেল, জেনেসিস রড্রিগুয়েজ, এড হ্যারিস। । আইএমডিবি রেটিং - ৬.৬/১০ ডাউনলোড - ২টি টরেন্ট লিঙ্ক - ৬৫০ এমবি + ৪.৩৬ জিবি অ্যালার্ট - আপনার কি অ্যাক্রফোবিয়া বা উচ্চতা ভীতি আছে ? আমার মতো ২০ ফিট উপর থেকে নীচে তাকালে মাথা ঘোরে ? তাহলে হয়তো এই মুভি আপনার না দেখাই ভালো ? তবে না দেখলে মিস করবেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় ! ইউ হ্যাভ বিন ওয়ার্ন্ড ! কাহিনী সংক্ষেপ - নিউইয়র্কের বিখ্যাত রুজেভেল্ট হোটেলের ২১ তলার একটা স্যুইটে এক আগন্তুক (স্যাম ওয়ারদিংটন) চেক-ইন করলো।

এর পরপরই সে ২৪০ ডলার দামের ব্রেকফাস্টের অর্ধেকটা খেয়ে, কাগজে কি একটা নোট লিখে, স্যুইটের জানালা দিয়ে শরীর গলিয়ে বিল্ডিঙের কার্নিশে নেমে দাঁড়ালো। কার্নিশটা ২ ফিট চওড়াও হবে কিনা সন্দেহ, ৩০০ ফিট নীচের ব্যাস্ত রাস্তায় গাড়ি আর পথচারীদের ছোটাছুটি। প্রবল বাতাসে কার্নিশে দাঁড়ানোই কঠিন। ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার আগের মুহূর্ত। হঠাৎ পথচারীদের একজন উপরে তাকিয়ে তাকে দেখে ফেলল - চিৎকার, চেঁচামেচিতে সব মানুষ উপরে তাকিয়ে স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে গেল।

মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড এসে লোকজন কিছুটা সরিয়ে, নীচে কুশন পেতে দিল। কুশনের অবস্থান দেখে নিয়ে, আগন্তুকটি একটু সরে দাঁড়ালো যাতে লাফ দিলে কুশনের উপরে পরতে না হয়। এদিকে পুলিশের একজন হোস্টেজ / সুইসাইড নেগোশিয়েটার স্যুইটের জানালা দিয়ে মাথা গলিয়ে আগন্তুকের সাথে কথা বলতে চাইতেই, সে জানালো যে সে কেবল পুলিশের নেগোশিয়েটার, লিডিয়া মার্সারের (এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস) সাথেই কথা বলবে, আর কারুর সাথে নয়। লিডিয়া মার্সারকে ঘুম থেকে উঠিয়ে স্যুইটে আনা হল, সে জানালা দিয়ে মাথা বের করে জিজ্ঞাসা করলো - লিডিয়া - তোমার নাম কি ? আগন্তুক - ওয়াকার। লিডিয়া - আমাকে তো তুমি চেন না, আমাকে চাইলে কেন ? আগন্তুক - কারণ, তুমি একজন বড় সুইসাইড নেগোশিয়েটার।

লিডিয়া - কিন্তু আমি তো অনেককেই বাঁচাতে পারিনি ! আগন্তুক - তাতে কিছুই যায় আসে না। লিডিয়া - তুমি ভিতরে এসে কথা বল ! আগন্তুক - না। লিডিয়া - তুমি কি চাও ? আগন্তুক - জানি না, অপেক্ষা করে দেখো ! লিডিয়া - তুমি কি আসলেই ঝাঁপ দেবে ? আগন্তুক - দেখা যাক, হয়তো বা দেব ! *** রুজেভেল্ট হোটেলের অন্য ফ্লোরের অন্য একটি স্যুইট। বিজনেস টাইকুন, এককালের ডায়মন্ড ও হালের রিয়্যাল এস্টেট ব্যবসায়ী ডেভিড ইংল্যান্ডারের (এড হ্যারিস) অফিস। এই রুথলেস ব্যবসায়ীটি আজ বেশ চিন্তিত, কিছু সময়ের মধ্যেই তার তৈরি একটি হাইরাইজ বিল্ডিঙের উদ্বোধন হবে।

তার শীতল, ক্রুর চেহারায় কি এক অশুভ চিন্তার লুকোচুরি। *** সবার মনোযোগ যখন এইদিকে, হোটেলের উল্টোদিকের এক বিল্ডিঙে দুটো বিশাল ব্যাগ নিয়ে সবার অগোচরে ঢুকে পড়ল জোয়ি (জেইমি বেল) ও অ্যান্জি (জেনেসিস রড্রিগুয়েজ)। *** এই মুভিটায় এতো প্লট টুইস্ট আর চমক যে, স্পয়লার ছাড়া রিভিউ করা কঠিন। তাই সে চেষ্টার এখানেই ইতি। তবে যারা এখনও ভাবছেন, দেখবেন কি দেখবেন না, তাঁদের জন্যে কিউ - আগন্তুকের আসল পরিচয় কি? সে কি আসলেই আত্মহত্যা করবে ? উল্টো দিকের বিল্ডিঙে ওরা কারা বা কেন ঢুকল ? আত্মহত্যার চেষ্টাটি কি আসলে একটি ডাইভারশন? আগন্তুকের সাথে ডায়মন্ড কালেক্টার ডেভিড ইংল্যান্ডারের সম্পর্ক কি ? শত্রুতা ?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.