আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানি দেবেনা এক আনা কিন্তু ইলিশ চাই ষোল আনা।পশ্চিমবঙ্গে'ইলিশ-বরণ'উৎসব।

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার 'ফ্রোজেন' ইলিশ পৌঁছাল পশ্চিমবঙ্গে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্তে সাড়ম্বর এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ বরণ করেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা। গতকাল সকালেই সীমান্ত পার হয়ে তিন কনটেইনারে ১৫ টন হিমায়িত ইলিশ আসে বাংলাদেশ থেকে।

এ মৌসুমে এটিই বাংলাদেশ থেকে আসা প্রথম ইলিশের চালান বলে জানায় রাজ্যটির মৎস্য দপ্তর। বাংলাদেশের ফিশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ইমদাদ হোসেন বাংলাদেশি ইলিশ মন্ত্রীদের হাতে তুলে দিলে কার্যত ব্যতিক্রম এ 'পদ্মার ইলিশ-বরণ' অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভারতের ফিশ ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাশ ও সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মোকসেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'ভাতে-মাছে বাঙালি। আর এ জামাইষষ্ঠীর দিন যদি পদ্মার ইলিশ না আসে তবে এপারের জামাইরা বড্ড অখুশি হন।

তাই ওপারের পদ্মার ইলিশ এ সময় আমাদের কাছে বড় অমূল্য উপহার। ' মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, 'রাজ্যে ৫০০ টন ইলিশের চাহিদা থাকলেও আমরা ২৫০ টন ইলিশের জোগান দিতে পারব এ বছর। বাকি ইলিশ আনতে হবে মিয়ানমার থেকে। ' বাংলাদেশ থেকে আসা পদ্মার ইলিশের জন্য পেট্রাপোল-কলকাতা ৮০ কিলোমিটার রাস্তায় তিনটি কোল্ড স্টোরেজ করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, শিগগিরই পদ্মার ইলিশ নিয়ে কলকাতায় ইলিশ-উৎসব করা হবে।

সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বাংলাদেশের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে ইলিশ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে পশ্চিমবঙ্গে চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আনা সম্ভব হবে কি না- কালের কণ্ঠের এ প্রশ্নের জবাবে মৎস্যমন্ত্রী সুব্রত সাহা জানান, পদ্মার ইলিশ রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলবেন। তিনি বলেন, 'শুধু বাংলাদেশ নয়, আমরা চেষ্টা করছি মিয়ানমার থেকেও ইলিশ আনা যায় কিনা। '  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.