আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেড়া সালমান খান

গত বৃহস্পতিবারে গিয়েছিলাম বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়েতে । শুক্রবারে বিয়ে । তাই বৃহস্পতিবারে গিয়ে পৌছেছিলাম , সারারাত সবাই মিলে খুব আনন্দ করলাম । আর শুক্রবারে স্বন্প দেখছিলাম আরো অনেক অনেক আনন্দ করবো , ভাইয়ের শালিকাদের সাথে ইয়ে করবো......................... কতো কিছু । ভাবতে ভাবতে রাতে আর ভালো ঘুম হলো না ।

সকালে তারাতারি উঠে ভালো ভাবে রেডি হয়ে গেলাম । বন্ধুর বাবা আমাকে আর আমার বন্ধুকে মিষ্টি কেনার দায়িত্ব দিলো । তিনি বললেন এখনি দু'জন গিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসো । তো আমার বন্ধু বললো এখোন আনার কি দরকার , বের হয়ে একেবারে রাস্তা থেকে নিলেই হবে । আমিও তার সাথে সায় দিলাম ।

বন্ধুর বাবা বললো ঠিক আছে , তোমরা যা ভালো মনে করো । যথা সময়ে আমরা বরযাত্রী নিয়ে বের হলাম । এবার একটা মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কিনে যখনি আমরা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে রাস্তা পার হতে লাগলাম ঠিক তখনি একটা রিক্সা এসে আমার প্যান্টে বাধিয়ে দিয়ে আমার হাটুর নিচের প্যান্টের একটি আংশ ছিড়ে গেলো । সঙ্গে সঙ্গে আমার সব স্বপ্ণ ভেঙ্গে গেলো । হায় হায় এখোন কি করি ।

বড়ি থেকে আনেক দুরে চলে এসেছি । আমি কোন কুলকিনারা পাচ্ছিলাম না । হঠাৎ আমার বন্ধুর ডাকে সস্তি ফিরে এলো । বন্ধু : কিরে , কি ভাবিস তারাতারি আয় । বাবা রাগ করছে , দেরি করা যাবে না ।

আমি কিছুই বলার সুযগ বা সাহস পেলাম না । তারাতারি করে গাড়িতে উঠতে বাধ্য হলাম । গাড়িতে বসে শুধু ভাবছি আর ঘামছি.......................... ঘামছি আর ভাবছি , কি করা যায় ....কি করা যায় । পকেট থেকে রুমাল দিয়ে মুখতা মুছতে মুছতে রুমাললের দিকে আমার নজর পরলো । মাথায় চটকরে একটা বুদ্ধি এলো ।

রুমালটা দিয়ে পায়ের নিচে বাধলে কেমন হয় । কিন্তু সবাইতো পাগল ভাববে । আবার ছেড়া প্যান্ট দেখলে তো কনো মানসন্মানই থাকবে না । এটাই আমার একমাত্র ভরসা । এটা একটা নতুন স্টাইল বলে চালিয়ে নিতে হবে , তা ছারা আমারতো আর কনো উপায় নাই ।

আর কিছুক্ষণ পরেইতো রাত হবে । যা ভাবনা তাই কাজ । মেয়ের বাড়ির সামনে আমরা পৌছে গেলাম । নতুন এক স্টাইল নিয়ে গাড়ি থেকে বেড় হলাম । কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ আমার বন্ধুর ছোট ভাই আবির দেখে ফেললো।

আবির : ভাইয়া পায়ে রুমাল বেধেছ কেনো ? আমি তো শেষ এইডা যে পাকনা ছেলে, মনে হয় আমি ফাইস্যা গেছি । আবির : আবার বললো বলো না , কি হয়েছে ? আমি বললাম : এটা একটা নতুন স্টাইল , সালমান খান স্টাইল । আবির : ভ্রু কুছকিয়ে , সালমান খান স্টাইল !!! কই আগেতো এরকম স্টাইল কখনো দেখি নাই । আমি : কাপা কন্ঠে , আরে দেখবে কি করে , এটা তো নতুন স্টাইল , আর মুভিটাতো এখনো মুক্তিই পায়নাই , টিভিতে দেখনাই ? মাঝে মাঝে প্রচার করছে ? আবির : আবার ভ্রু কুছকিয়ে , আসলে পরীক্ষার জন্য আম্মু কয়েকদিন টিভি দেখতে দেয়নাই। যাই হোক , এভাবেই চলছিলো ।

কিন্তু কিচুক্ষন পর যা দেখলাম , একেবারে আবাক করার পালা। দেখলাম আবির সহ সবগুলো ছোট মানুষগুলো পায়ে রুমাল বেধে ঘুরছিল , আর যাদের রুমাল নাই তারা টিসু বেধে ঘুরছে । আমি শুধু দেখে মুচকি মুচকি হাসলাম তারপর সব যেন আমার অনুকুলেই চললো , আবশেষে বাড়ি ফেরার পালা । আনেক রাত হয়ে গেছে । ভাবছিলাম যাক আবশেষে মানসন্মান নিয়ে ফিরতে পারছি ।

ফিরতে ফিরতে গাড়ির ভিতরে কখোন যেন ঘুমিয়ে পরেছি । ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির সামনে গাড়ি থামানো , মানে পৌছে গেছি । কিন্তু সবাই আমার প্যান্ট ধরে টানছে কেন ? ভালো করে চোখ মুছে দেখি , গাড়িতে আলো জলছে আমার রুমালটা খুলে ছেড়া প্যান্ট বের হয়ে গেছে , কখোন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক পাই নাই, তখোন সবাই আমার নতুন স্টাইল বুঝে ফেলেছে আর ছেড়া অংশ ধোরে টানাটানি করছে। আর ছেড়া সালমান খান বলে হাসাহাসি করছে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।