আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজের ঢাক নিজেই বাজাই..বাজুক বুকে সুখের সাঁনাই...

ধূমপানের ক্ষতিকর দিক এবং ধূমপান না করার সুফল সবাই কম বেশি জানে। তারপরও........ জেনে রাখা ভালো: একটি সিগারেটে ৪০০০ রকমের কেমিক্যাল থাকে যার কিছু কিছু ভয়াবহ রকমের বিষাক্ত। এই কেমিক্যালগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাপথালিন, যা পোকামাকড় মারার ওষুধ বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। সিগারেটে রয়েছে বিষাক্ত নিকোটিন যা হৃদপিন্ডে সমস্যা করে। - প্রতিটি সিগারেট একজন মানুষের আয়ু ১০ মিনিট কমিয়ে দেয়।

- একজন সাধারণ মানুষের লাংস ক্যান্সার হওয়ার যতটুকু সম্ভাবনা, একজন ধূমপায়ীর লাংস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তার চাইতে ২৬ গুণ বেশি। - একজন ধূমপায়ী যখন ধূমপান করেন, তখন নিজের ক্ষতি করার পাশাপাশি তার সিগারেটের ধোঁয়ার মাধ্যমে কাছাকাছি যারা থাকে তাদেরও ক্ষতি করেন। - প্রতি বছর ৪, ৪৩,০০০ জন মানুষ শুধুমাত্র এই ধূমপানের কারণেই মারা যান। আমার কথা: ১৯৯০ থেকে ২০১১ প্রায় ২১/২২ বছর দিনে কমপক্ষে দুই প্যাকেট সিগারেট খেতাম। মোট ৪০টি।

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি গত বছর (২০১১) ২ জুলাই তারিখে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আমার উদ্যোগে ধূমপান ত্যাগ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় ধূমপান ত্যাগ করি আনুষ্ঠানিক ভাবে। আজ প্রায় এক বছর হতে চললো। একদিনও আর একটি সিগারেটও স্পর্শ করি নি। কি করে সম্ভব হলো: আমার একমাত্র কন্যা সন্তান অর্চি মোস্তাফিজ তখন বয়স ছিল ৬+। প্রায় দিন একটি টিভি বিজ্ঞাপনের কথা আমাকে বলতো।

যাতে ধূমপানের ভয়াবহতা দেখানো হয়েছে। আমি কান দিতাম না। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম তাকে কোন কাজ নিষেধ করলে সে কাউন্টারে বলতো..তুমি আমাদের কথা ভাবো...না ভাবো না। আমাদের কথা শোন না। এর প্রায় ৬মাস পর......ত্যাগ করলাম ২২ বছরের প্রেম।

এক সময়ের প্রিয় ধূমপান। ..............কেবল প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা থেকে আমি ধূমপান ত্যাগে সফল হয়েছি। এখন আর সিগারেটের ধোঁয়া বা গন্ধ কোনটাই সহ্য হয় না। এর ফলাফল: ধূমপান না করায় প্রতিদিন প্রায় ১২০ টাকা হিসেবে মাসে ৩৬০০ টাকা এবং গত এক বছরে ৪৩২০০ টাকা অপচয় রোধ। কমপক্ষে দিনে ২০ টাকার পান খেতাম।

পান বাবদ মাসিক আনুমানিক খরচ ৬০০টাকা হিসেবে গত এক বছরে ৭২০০ টাকা অপচয় রোধ। সবচেয়ে বড় সুখবর হলো আমার শারীরিক অনেক সমস্যা আর নেই। মুখে গন্ধ নেই। এমনকি শরীরে এক ধরনের গন্ধ ছিল তাও আর নেই। মন্তব্য: আমার মা অনেক ভাবেই আমাকে ধূমপান থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

আমার স্ত্রী নেহায়েতই ভদ্রতার খাতিরে,সামাজিকতার দায়ে ত্যাগ করে নি। আজ বুঝি কেবল করুণা করেই ওরা আমার মতো ধূমপায়ীকে মেনে নিয়ে চলতো। অবশেষে আমার একমাত্র মেয়ে যার বর্তমান বয়স ৭+ সে আমাকে মানসিক চাপ দিয়ে বাধ্য করলো ধূমপান ত্যাগ করতে। মেয়ে সেই ধূমপান বিরোধী টিভি বিজ্ঞাপনের একটি সংলাপ ব্যাকুল ভাবে উচ্চারণ করতো আমার সামনে,“ প্লিজ বাবা..আমার জন্য ..আমাদের জন্য বাঁচো। সিগারেট ত্যাগ করো।

পান খেয়ো না। আমি পেরেছি...অবশেষে ত্যাগ করেছি ধূমপান। বিঃদ্রঃ বলছি না ধূমপান ছাড়তেই হবে। তবে সুস্থ ভাবে বাঁচতে হবে ওদের জন্য। যে আমাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সহযোগিতা করেছে এক নজরে দেখুন তারে ...................... কৃতজ্ঞতা: তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ব্লগার মনিরুল হাসান..তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

রাশেদ আবদুল্লাহ অনুর একটি লেখায় মন্তব্যের ঘরে শেয়ার করেছিলাম আমার ধূমপান ত্যাগের বিষয়টি। ওই মন্তব্য পড়ে ব্লগার অনিন্দ্য অন্তর অপু একটি সতন্ত্র পোস্ট দেবার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। তারপর....... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.