আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ূন আহমেদ এর শয়তান ফেরেশতা !!!!????

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে কর্কট রোগে আক্রান্ত আমার প্রিয়তম লেখক ইতিমধ্যে হয়তো ঢাকায় চলে আসেছেন । আশা করি উনি অনেক দিন বাচবেন । পাঠক হিসাবে আমি খুব খারাপ এক জন । মানুষ এর লেখা কঠিন বই পড়তে খুব কষ্টো হয় ।

তাই প্রিয় লেখক খুব বেশী নাই । যে দুই এক জন আছে তাদের মধ্যে রাজা হলেন হুমায়ুন আহমেদ । তার ও যে আমি অনেক বই পড়েছি তা বলা ঠিক হবে না । যাই হউক কথা বড় করে লাভ নাই । মূল কথাটা বলে ফেলাই ভাল কারন আমার লেখা ও কাচা ।

তিন চার মাস আগে কর্কট রোগে আক্রান্ত আমার প্রিয়তম লেখকের একটা বই পড়ছিলাম । হঠাৎ তিনি কোন এক ঘটনার বাকে শয়তান এর প্রসঙ্গ টানলেন । এবং বললেন বা তার কোন চরিত্র কে দিয়া বলালেন যে শয়তান নাকি ফেরেশতা । না , কথা টা তিনি ঠিক এই ভাবে বলেন নাই বা বলান নাই , তিনি বলতে চেয়েছেন বা বলাতে চেয়েছেন যে ইসলাম এবং আল কুরআন এ নাকি এই নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য আছে, কোথাও শয়তান কে বলা হয়েছে জিন আবার কোথাও নাকি বলা হয়েছে ফেরেশতা !!!!!! কষ্টো পেলাম । অনেক কষ্টো পেলাম ।

আগেও তার লেখার প্রতিটা বিন্দু থেকে বিন্দু যে ভাল লাগত তা বোলব না । তবে আগে কষ্টো পাইনি । আগে আমি শুধুই মুসলমান ছিলাম, এখন আমি আর তা নই, এখন মুমিন হবার চেষ্টায় আছি তাই হয় তো কষ্টো পেলাম । শয়তান যে জিন তা মুসলমান ঘরের বাচ্চা বাচ্চারা ও জেনে যায় গল্পের ছলে বাবা মার কাছ থেকে, আর ওনার মত বড় লেখক, যিনি এত এত রেফারেন্স বই পড়েন, কত কত বড় বড় লেখক এর লেখা ধার করে নিজের লেখায় পাতার পর পাতা কোট করেন, যিনি প্রায়ই আল কুরআন এবং হাদিস থেকে কোট করে গল্পের মোড় ঘুরান সেই তিনি এক বার কি পুরা কুরআন টা পড়েন নাই..। ।

………….। । ???? তার অজ্ঞতার ভিত্তি হয়তো নিম্নের আয়াতটি (২;৩৪) সূরা বাকারা আয়াত ৩৪ “এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল।

“ এই আয়াতটির কথায় লেখা আছে যে ইবলীস ফেরেশতা ? এত বড় লেখক উনি এখন কুরআন এর ভাষা এবং বর্ণনার হেয়ালি বুঝলেন না ? নাকি ব্লগ এর পাতি নাস্তিকদের মত আল কুরআন এর ভাষা নিয়ে একটু মজা করলেন ? যাই হোক আল কুরআন এর প্রতিটা আয়াত যে বিভিন্ন মাত্রার বুদ্ধি সম্পন্ন, বিভিন্ন মানোষিকতা সম্পন্ন মানুষ ঠিক ভাবে বুঝবেনা বা বুঝতে চাইবেনা তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আগেই জানতেন, তাই তো তিনি আমাদের শিক্ষক হিসাবে হযরাত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে দিয়াছিলেন, যেন আমরা কিছু বুঝতে না পাড়লেই সুন্নাহ এর দিকে তাকাই । তবে এই বিষয়টা জানার জন্য সূরা কাহফ পর্যন্ত গেলেই চলত । সেখানে তা স্পস্ট ভাবে বলা আছে ৫০ নং আয়াতে । (১৮;৫০) সূরা কাহফ আয়াত ৫০ “ যখন আমি ফেরেশতাদের কে বললাম , আদম কে সেজদা কর, তখন সবাই সেজদা করল ইবলিস ব্যতীত । সে ছিল জিনদের একজন ।

সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতয়েব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধু রূপে গ্রহন করছ ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালিমদের জন্যে খুবই নিক্রিষ্ট বদল । “ তাই নিসন্দেহে বলা যায় কর্কট রোগে আক্রান্ত আমার প্রিয়তম লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর সাথে যে শয়তানটা থাকে সেও ফেরেশতা নয় , সেও এক জিন, অথবা ইবলীস সয়ং…………………। ।

পুনশ্চ ঃ বইটার নাম আমি ভুলে গেছি, ফালতু পাব্লিসিটি যেন না হয় তাই আমি বইটার নাম বাদ দেয়াও প্রয়ো্জন মনে করলাম, তাই আর খুজলাম না বইটার নাম । পাদটীকা ঃ এর পরও উনি আমার প্রিয় লেখক । উনার মত সহজ করে কেউ মনে হয় লিখতে পারনা । হায় !! এই মানুষ গুলো যদি ইসলাম আর মুসলমানদের জন্য লিখত । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.