আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহলে কোন চারটি পত্রিকা?

লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু। ১। ‘দৈনিক আমার-দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক গ্রেফতার হয়েছেন। কারো কাছে এ পত্রিকাটি সরকার-বিরোধী দৈনিক বিজ্ঞাপন জাতীয় একটা কিছু।

তারা এর সম্পাদককে কোনোভাবেই সম্পাদক বলতে ও মানতে নারাজ। এর সংবাদ পরিবেশনেও তারা নানা ত্রু“টি সন্ধান করে থাকেন। আশা করি, এ গ্রেফতারে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন। আর যারা অন্য পত্রিকার ওপর আস্থা হারিয়ে বা ধর্মীয় আবেগের খোরাক পেয়ে, একেই একমাত্র বস্তুনিষ্ঠ পত্রিকা হিসাবে গণ্য করে নতুন পাঠক হয়েছেন, তারা হতাশ হবেন। সমস্যা নেই, পৃথিবীতে একই সঙ্গে সবার আশা পূরণ হয় না।

তারা একটু বয়সী হলে শেখ মুজিবের শাসনামলে সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতি উদ্ধারের চেষ্টা করবেন। তবে বলা যাচ্ছে না, মাহমুদুর রহমানকে আল-মাহমুদের সঙ্গে তুলনা করা যাবে কি-না। ২। ৭১ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী সরকারের প্রতিপক্ষ ছিল বাম ঘরানা দলগুলো। এদের সঙ্গে তখন সরকারের প্রতিযোগিতাটা ছিল অত্যন্ত কঠোর।

অন্য কোনো দল তখন আওয়ামী লীগের মোকাবেলায় আসে নি বা পাল্লা দিতে পারে নি। হতে পারে সে পরিস্থিতি ও সক্ষমতা অপরাপর দলগুলোর ছিল না। এবারে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। জামায়াত হল ঝিয়ের মর্যাদায়, যাকে মেরে মেরে বউকে শেখানোর বাংলা বুলি প্রচলিত আছে। সে-কালের নিপীড়িত বামরা এখন আওয়ামী লীগের বন্ধু।

বামরা যখন একে একে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ছিলেন, উর্দি গায়ে পরেই জিয়াউর রহমান বহুদলীয় শাসনের আবরণে তাদের রাজনীতির মুক্ত আলো-বাতাসে নিয়ে এসেছিলেন। আজ যখন বিএনপি নিষ্পেষণ ও গ্রেফতারের শিকার, বামরা একেবারে নীরব। ক্ষেত্রে বিশেষে সরকারের এই আচরণের অংশীদার ও সমর্থক! ৩। তাহলে কি আবারও নতুন কোনো একদলীয় বা সমন্বিত একদলীয় শাসনের প্রতিরূপ দেখা দিতে পারে? ইতিহাসে, রাজনীতিতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু যখন এই বাকশালী ব্যবস্থার দিকে গিয়েছিলেন, তখনও তার সামনে অসংখ্য যুক্তি ছিল।

সামনে বর্তমান আওয়ামী লীগেরও নানা যুক্তি তৈরি হতে পারে। এখন অধিকাংশ বাম কলমযোদ্ধা আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী। এ প্রবর্তিতব্য ব্যবস্থায় তাদের নগদ লাভের সম্ভাবনা আছে। তাই তারা নীরব বা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা-ই পালন করবেন মনে হয়। ৪।

যদি একদলীয় শাসনের প্রয়োজনই (?) দেখা দেয়, তৈরি হয়, তাহলে দেশে পত্রিকা কয়টি থাকবে? আগের মতো চারটি, নাকি সংখ্যা বাড়ানো-কমানো হবে। পাশের দেশ মায়ানমারেই তো এতোদিন পাঠকের সংবাদপত্র বাছাইয়ের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। পৃথিবীর কিছু দেশে এখনো এমন অবস্থা বিরাজ করছে। আমরাও, না হয়, তাদের মতো হলাম! তাই যদি হয়, তাহলে আমরা অগ্রিম একটা জরিপ করতে পারি, যাতে স্পষ্ট হবে, সরকার কোন পত্রিকাগুলো চান বা চাইতে পারেন। শুরু করা যাক তাহলে: ক) দৈনিক জনকণ্ঠ? খ) দৈনিক সমকাল? গ) দৈনকি যুগান্তর? ঘ) দৈনিক ইনকিলাব? ঙ) দৈনকি প্রথম আলো? চ) ? ছ) ?... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.