আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থামছে না নদী দখল

যেমন কর্ম তেমন ফল। রাজধানী ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলে নিতে দখলদাররা আবার বেপরোয়া। প্রকাশ্যে চলছে এই দখলযজ্ঞ। বুড়িগঙ্গায় নদীখেকোরা থেমে নেই। অবৈধ দখলে পাল্টে গেছে তুরাগ নদের চিত্র।

বহাল তবিয়তে শীতলক্ষ্যার দখলদাররা। দখলে বিপন্ন বালু নদ। মহানগরীর চারপাশের নদীগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে দখলের নানা চিত্র। প্রকাশ্যে এই চার নদীর দখলযজ্ঞ চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা কারণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএর দুর্বলতার কারণে অবৈধ দখলের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।

তবে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের চার নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে তার মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছার অভাব নেই। এখন থেকে নদীর যেসব স্থানে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে, সেখানেই গড়ে তোলা হবে বিনোদন কেন্দ্র ও ওয়াকওয়ে। সরেজমিন বুড়িগঙ্গা নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়াভাবে দখলদারি চালাচ্ছেন। দক্ষিণপাড় ঘুরে দেখা গেছে, আটি, খোলামোড়া, আগানগর, কালিগঞ্জ হয়ে পারগেন্ডারিয়া ও হাসনাবাদ এলাকায় নদীর তীর দখল করে কাঁচাপাকা তিন শতাধিক টংঘর গড়ে তোলা হয়েছে।

আগানগর থেকে শুরু করে হাসনাবাদ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর পাড়ে একাধিক প্রভাবশালী মহল বালুর ব্যবসা শুরু করেছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান ভলগেটের মাধ্যমে বালু এনে তা নদীর তীরে খালাস করছেন। ফলে তীরসহ তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ভরাট জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। এ ছাড়া দোকানপাট তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনই এখানে নদীর কোনো না কোনো অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চলছে ভরাটের কাজ। ভরাট অনেক স্থানেই নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন, শিল্প-কারখানাসহ কাঁচাপাকা একাধিক ভবন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কামরাঙ্গীর চরের ঝাউলাহাটির হযরত নগর এলাকায় তীর ঘেঁষে নদী ভরাট করছেন মোহাম্মদ জয়নাল গাজী। জানা গেছে, বিসমিল্লাহ অ্যান্ড গাজী এন্টারপ্রাইজ নামে নদীর তীরে তার ইট, সুরকি ও বালু বেচাবিক্রির একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নদীর পাড়সহ বিশালাকার নদী দখল করে তিনি পাকা ইটের দেয়াল ও টিনের ছাউনি দিয়ে একটি কারখানা ভাড়া দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোহাম্মদ জয়নাল গাজী দাবি করেন, এখানকার পুরো জায়গা তারই। নদীর কোনো জায়গা নেই। কামরাঙ্গীরচর খোলামোড়া ঘাট-সংলগ্ন মাদবর গদির ঘাটে ৩০ বিঘারও বেশি জায়গা ভরাট করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মুন্সি সাঈদ মাদবর। নদীর পাড়সহ জলসীমা ভরাট করে ইট-বালুর ব্যবসা করছেন তিনি।

দখল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুন্সি মাদবর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে জায়গা ভরাট করা হয়েছে পুরো জায়গা তার নিজের। সেখানে সরকারি বা নদীর কোনো জায়গা নেই। কামরাঙ্গীরচর ছাতা মসজিদ-সংলগ্ন নদীর পাড় দখল করে রিকশার গ্যারেজ করেছেন আবদল গনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই জায়গা তিনি ভাড়া নিয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউনুছ মিয়ার কাছ থেকে। ওই জায়গায় ইউনুছ মিয়া কিছু গাছ লাগিয়েছেন।

তিনি সেখানে তার পরিচয়সহ একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া এপারে কেল্লার মোড় বাসস্ট্যান্ড ও কামালবাগ এলাকায় নদী ভরাট করে তিনটি রিকশার গ্যারেজ গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিলীন হতে চলেছে বুড়িগঙ্গার শাখা নদীর অস্তিত্ব। পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পার্শ্ববর্তী নদীর তীর ইজারা নিয়ে বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা রিপন নামের এক ব্যক্তি। এই বালুর একটা অংশ গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গা নদীতে।

এতে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পাল্টে গেছে তুরাগ তীর দখলের মহোত্সব চলছে তুরাগ নদের পাড়ে। সিমেন্টের পিলার আর বাঁশের খুটি স্থাপন করেও রক্ষা করা যায়নি নদীকে। অভিযানের সময় অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতায় ভাটা পড়লেও আবার শুরু হয় দখল উত্সব। গত এক বছরে তিন বার অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেও দখলদার মুক্ত করা যায়নি তুরাগ।

বারবার দখলের কবলে পড়ে ক্রমেই শীর্ণকায় হচ্ছে নদী। ফলে কয়েকটি স্থানে নাব্যতা হারিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিপজ্জনক বাঁক। ঝুঁকির মুখে ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ, মিরপুর ও আশুলিয়া ব্রিজ। ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলার সড়ক যোগাযোগ। গতকাল দিনভর তুরাগ নদীর পাড়, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শাহ আলী বাগ, পল্লবী, আশুলিয়া ও সাভারের আমিনবাজার এলাকা সরজমিন ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

রায়ের বাজারে ঢাকা শহর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক তীর দখল করে ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানের আশপাশ এলাকায় তীরে শতাধিক দোকান ও বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর ব্রিজের নিচে দেখা গেছে ইট, বালু, লাকড়ি, সুরকি, পাথর ও সিমেন্ট বিক্রির জমজমাট ব্যবসাকেন্দ্র। কোন ধরনের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এসব ব্যবসা। সরকারি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও একশ্রেণীর লোক এ অবৈধ দখলে জড়িত।

একের পর এক দখলের কারণে ব্রিজের দুপাশের এক ইঞ্চি জমিও অবশিষ্ট নেই। আশুলিয়া ব্রিজের আশপাশের মাটি কেটে নেওয়ায় সেখানেও ঝুঁকির মুখে ব্রিজটি। মিরপুর ব্রিজ এলাকার পশ্চিম পাশে সরকারি দলের পরিচয়ে চলছে দখল উত্সব। যুবলীগ নেতা ইয়াকুব হোসেন সেখানে কয়েকটি সমিতির নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে পাড় দখল করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মহব্বত মিয়া জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে তীর দখল করে ফেলেছে।

তারা বালু ফেলে খরস্রোতা নদীক মৃতপ্রায় বানিয়ে ফেলেছে। করুণ শীতলক্ষ্যা ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের মদদে দখলদারিতে শীতলক্ষ্যা আজ করুণ। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে নদী ভরাটের মাধ্যমে প্রবাহ বন্ধ করে ইট, সুরকি, বালুর পরসা সাজিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় এ কার্যক্রম চলায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে চলছে শীতলক্ষ্যায় দখল-বাণিজ্য।

নদীর পাড় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়েছেন তিনি। এমপি কায়সারের মদদে দখলযজ্ঞ চালাচ্ছেন নূর হোসেন চেয়ারম্যান। অন্যদিকে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টারের ছত্রচ্ছায়ায় চলছে অন্য অংশে দখল-বাণিজ্য। ভাতিজারা দোর্দণ্ড দাপটে চালাচ্ছে নদী দখল। এ ছাড়া শতাধিক ব্যবসায়ী কাঁচপুর ব্রিজ-সংলগ্ন বালুর ব্যবসা করছেন।

এ ছাড়া বসানো হয়েছে পাথর ভাঙার মেশিন (ক্রাশার)। এগুলোর ঝাঁকুনিতে ব্যস্ততম ব্রিজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। জানা যায়, ২০০৬ সালে বিআইডব্লিউটিএ ৪৪টি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে। কিন্তু মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও এসব জায়গা দখলে নেন পুরনো ব্যবসায়ীরা।

চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তত্কালীন স্থানীয় এমপি গিয়াস উদ্দিন এ দখল কার্যক্রম চালাতেন। দুই তীরের ভয়াবহ দখলে খরস্রোতা শীতলক্ষ্যা সংকুচিত হয়ে গেছে। জানা গেছে, উচ্ছেদের জন্য প্রসাশনের লোকজন গেলে তারাও হামলার শিকার হন। মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ ৫ নম্বর ঘাট হয়ে সুলতানা কামাল সেতু পর্যন্ত উভয় তীরে চলছে দখলের মহৌত্সব। সুলতানা কামাল সেতুর নিচে আকাশ এন্টারপ্রাইজ নদীর বিশাল এলাকা ভরাট করে ব্যবসা করছে।

ব্যবসা করছে জেরিন ট্রেডার্স। বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক আলমগীর কবীর জানান, কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় ব্যবসার জন্য কাউকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যারা ব্যবসা করছেন তারা সবাই অবৈধ। বিপন্ন বালু তুরাগের মত অবৈধ দখলের কারণে বিপন্ন হতে চলছে বালু নদ। প্রায় ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর তীরবর্তী বেশির ভাগ এলাকা এখন অবৈধ দখলদারের কবলে।

স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কারণেই দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে নদটি। ভুঁইয়াপাড়া, টেকপাড়া, মেরাদিয়া, ত্রিমোহনী, নাসিরাবাদ, ডুমনি, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও, কাজলা, পুলারটেক ও মানিকনগর এলাকাগুলোর বেশির ভাগ তীরভূম অবৈধ দখলে চলে গেছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসাকেন্দ্র। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৭ নেতা-কর্মীর অবৈধ দখলে বালু। সেখানে মাসে আদায় হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা।

ওই নেতাদের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারা সে দলের সমর্থক বনে যান। তাদের বর্তমান পরিচয় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক। একইভাবে দখল-বাণিজ্যের কারণে টঙ্গী রেলসেতু ও সুলতানা কামাল সেতু এখন ঝুঁকির মুখে। যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলার সড়ক যোগাযোগ।

ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় অনেককেই তীর ভাড়া দিয়েছেন খিলগাঁও থানা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক নেতা জসিম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ৪০টি পরিবারের কাছ থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা নিচ্ছেন। রয়েছে বেশ কয়েকটি খেয়াঘাট। এগুলো কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইজারা দিয়েছেন। অবৈধভাবে কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

ঘাট এলাকায় টংঘর বানিয়ে ইজারাদারের লোকজন সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২ টাকা করে টোল আদায় করছে। মেরাদিয়া ও ডুমনি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় দুই শতাধিক বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলম। এ স্থান থেকে তার আয় হয় মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা। এর আগে তিনি বিএনপি করতেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দম্ভভরে তিনি বলেন, আমার কাছে রাজনীতি বড় বিষয় নয়।

আমি নদীর পাড়ে ঘর ও দোকান করেছি। এতে দোষের কিছু থাকতে পারে না। টেকপাড়া বাজারের কাছে পাড় কেটে টংঘর বানিয়েছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি হেদায়েত হোসেন। পুলারটেক বাজার ও আশপাশ এলাকার অনেক জায়গায় তীরের মাটি চুরি হয়ে গেছে। সেখানে দুই কিলোমিটার এলাকায় ইট, বালু ও লাকড়ির ব্যবসার জন্য ছোট ছোট প্লট করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

ভাড়া তুলছেন বিএনপি নেতা কামাল উদ্দীন। টঙ্গী ব্রিজের এলাকায় আবদুস সালাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা লাকড়ির গোডাউন করেছেন। এ ছাড়া অস্থায়ী নৌবন্দর বানিয়ে বাবুল, কালাম, সোহাগ নামের তিন যুবলীগ নেতা পাথর,বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করছে। ফলে নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এসব কারণে ঝুঁকির মুখে রেল ব্রিজ।

উত্তরার ময়নারটেক এলাকার পেছনে নদীর বাঁধ কেটে ইট, বালু ও লাকড়ির ব্যবসা করছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা তোফাজ্জল। কাজলা এলাকায় দেখা গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বাঁধের ওপর ৬৫টি ঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। আর ডেমরা এলাকায় পাড় দখল করে ৪৬টি দোকানঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।