আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থামছে না দগ্ধ মানুষের কান্না

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে দগ্ধ মানুষের কান্না থামছেই না। প্রতিদিনই বার্ন ইউনিটে ভর্তি হচ্ছে আগুনে দগ্ধ মানুষ। অবরোধে পেট্রলবোমায় দগ্ধ মানুষের যন্ত্রণা আর স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় পুড়ে যাওয়া মানুষের যন্ত্রণা আর গোঙানির শব্দে বার্ন ইউনিট যেন এক বিভীষিকাময় এলাকা। আগুনে পুড়ে ঝলসানো বিবর্ণ রংয়ের দেহ আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ক্ষত নিয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় পার করছে প্রতিটি মিনিট।

আপনজনের শয্যাপাশে বসে দিশাহারা স্বজনদেরও যেন শুকিয়ে গেছে চোখের পানি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির মৃত্যুযন্ত্রণা দেখে নির্বাক পরিবারের সদস্যরাও। বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষ, পোস্ট অপারেটিভ কক্ষ, রেড ইউনিট, গ্রিন ইউনিট জুড়েই চলছে রাজনীতির নৃশংসতার শিকার মানুষের আর্তচিৎকার।

ইউনিটে সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত নার্সরা জানান, ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শনিবার রাতে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে গুরুতর দগ্ধ হন শাহজাহান। তার শরীরের ৩১ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে রাখা হয়েছে। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছিল শাহজাহানের ওপর। ছেলের এমন বিপর্যয়ে দিশাহারা হয়ে গেছেন মা। তিনি বলেন, 'অভিশপ্ত রাজনীতির নৃশংসতার বিচার কার কাছে চাইব'।

বিরোধী দলের পঞ্চম দফা অবরোধ চলাকালে শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়েছেন তিনজন।

তারা হলেন সিরাজগঞ্জের ট্রাকচালক শাহীন শাহ (৩৫), তার সহকারী মাজেদুল ইসলাম (৩০) ও গৌরীপুরের সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী মো. শাহজাহান (৩০)। এ তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুযন্ত্রণায় ভুগছেন। তিনজনকেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে রাখা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, আগুনে মাজেদের শরীরের ৯০, শাহীনের ৭০ ও শাহজাহানের ৩১ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়াও তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

তারা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।