আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্কার নিয়ে সকল রেকর্ড : একটি রেকর্ড মেকিং সিরিজ

আমি কিছুই না..... আবার অনেক কিছু । স্বপ্নের পুরুষ্কারের নাম একাডেমী এওয়ার্ড । অস্কার থাকে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত সকল কলা-কৌশলীর স্বপ্ন । তবে এই অস্কার পেতে পেতে ও রেকর্ড গড়ে ইতিহাসে ঠাই পেয়েছেন কয়েকজন । তাদের নিয়েই এই পোষ্ট।

একাডেমী এওয়ার্ডস এর ইতিহাসে সব চেয়ে বেশী পুরুষ্কার জেতা চলচ্চিত্র আছে তিনিটি । চলচ্চিত্র গুলো যৌথ ভাবে ১১ টি অস্কার জিতে এই রেকর্ড শেয়ার করছে । ১. Ben-Hur (1959) সর্বমোট ১২ টি বিভাগে একাডেমী এওয়ার্ড মনোনয়ন পায় এবং ১১ টিই জিতে নেয় এই চলচ্চিত্র টি। এই রেকর্ড টি ৩৮ বছর পর্যন্ত অটুট থাকে । ১৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই মুভিটি তখনকার সময়ের সবচেয়ে ব্যায়বহুল চলচ্চিত্র ছিল ।

২.Titanic (1997) দীর্ঘ ৩৮ বছর পর জেমস ক্যামেরুনের টাইটানিক বেন-হুরের রেকর্ডে ভাগ বসায় এবং জিতে নেয় ১১ টি একাডেমী এয়ওয়ার্ড । তবে টাইটানিক পিছিয়ে ছিল কিছু দিক দিয়ে যেমন সেরা অভিনেতা এবং সেরা অভিনেত্রীর পুরুষ্কার টাইটানিকের ঘরে যায় নি । এমনকি লিওনার্ডো ডি ক্যাপরিও মনোনয়ন ও পায় নি এ ছবির জন্য কোন । কেট উন্সলেট মনোনয়ন পেলেও নিতে পারেন নি সেরা অভিনেত্রীর পুরুষ্কার । সবচেয়ে বেশী আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় টাইটানিক ২য় স্থান নিয়ে চলচ্চিত্র ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগেই ।

টাইটানিক আরেক টি রেকর্ড ও শেয়ার করছে “ অল এবাউট ঈভ” চলচ্চিত্রের সাথে যৌথ ভাবে । সর্ব্বোচ্চ মনোয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের খেতাব পেয়েছে ১৪ টি মনোনয়ন পেয়ে । ৩.The Lord of the Rings: The Return of the King (2003) লর্ড অফ দ্যা রিং মুভি ট্রিয়লজির উপসংহার টানা হয়েছে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে । ১১ টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে মুভি টা ১১ বিভাগেই পুরুষ্কার জিতে নেয় । ১১ টি পুরুষ্কার জিতে যদিও বেনহুর এর সাথে রেকর্ড শেয়ার করলো তবুও টাইটানিক এর মত এটি ও পিছিয়ে রইলো কিছু দিক দিয়ে ।

সেরা অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর পুরুষ্কার জিততে পারেনি লর্ড অফ দ্যা রিংস : দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং । সর্ব্বোচ্চ আয় করা ছবির তালিকায় এটা আছে ৫ম স্থানে । লর্ড অফ দ্যা রিংস: দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং টি এক মাত্র চলচ্চিত্র যা ১১ টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে ১১ টি তেই পুরুষ্কার জেতে । একাডেমী এওয়ার্ডস এর ইতিহাসে এটিই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত যা অটুট আছে । সর্বাধিক পুরুষ্কার(পরুষ) : ওয়াল্ট ডিজনী ওয়াল্ট ডিজনী ২৬ টি অস্কার জিতে একক ভাবে শীর্ষে আছেন ।

মনোনয়ন পেয়েছিলেন ৫৯ টা । এছাড়া এক বছরে সর্ব্বোচ্চ ৪ টা অস্কার জেতার রেকর্ড ও তার । সর্বাধিক পুরুষ্কার(নারী) :এডিথ হেড নারী দের ভেতরে আছেন কস্টিউম ডিজাইনার এডিথ হেড সর্বমোট ৮ টি অস্কার জিতে । মনোনয়ন পেয়েছিলেন ৩৫ টি । এনিমেশন মুভি “দ্যা ইনক্রেডিবলস” এর ভেতর একজন কস্টিউম ডিজাইনার আছে নাম “এডনা” ।

বলা হয়ে থাকে এডিথ হেড এর অনুকরনেই এই চরিত্র । সর্বাধিক পুরুষ্কার প্রাপ্ত পরিচালক : জন ফোর্ড সর্বমোট ৪ টি অস্কার জিতে জন ফোর্ড আছেন শীর্ষে । চলচ্চিত্র ৪ টি- দ্যা ইনফর্মার (১৯৩৫) , গ্রেপস অফ র্যাথ (১৯৪০), হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি (১৯৪১),দ্যা কোয়াইট ম্যান (১৯৫২)। জন ফোর্ড(১৮৯৪-১৯৭৩) প্রায় ১৪০ টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন । লোকেশন শুটিং এবং লং শট এর পাইওনিয়ার তিনি ।

আলফ্রেড হিচকক বলেছিলেন “A John Ford film was a visual gratification” । তার প্রভাব আছে স্পিলবার্গ কুবেরিকের মত পরিচালকের ওপর। সত্যজিৎ রায়ের একটা উক্তি না বললেই না “A hallmark is never easy to describe, but the nearest description of Ford's would be a combination of strength and simplicity. The nearest equivalent I can think of is a musical one: middle-period Beethoven” . জন ফোর্ড শতাব্দী তে একবারই আসে । সবাই তাকে জন ফোর্ড বললেও আমি তাকে “দ্যা মাইটি ফোর্ড” ই বলবো । সর্বাধিক অস্কার অভিনয় বিভাগে : ক্যাথরিন হেপবার্ন অভিনয় করে সর্ব্বোচ্চ অস্কার জেতার রেকর্ড টি ক্যাথরিন হেপবার্নের(১৯০৭-২০০৩) ।

মোট ৪ টি অস্কার জেতেন তিনি এবং সব গুলোই সেরা অভিনেত্রীর । ছেলেদের মত ছোট করে চুল কাটা টমবয় হেপবার্ন যে বড় হয়ে সব রেকর্ড উড়িয়ে দেবেন তা হয়তো তার বাবা মা ধারনা করেনি । তবে মেয়েকে দিয়েছিলেন মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা । মঞ্চে কাজ করার পর হলিউডেও সাফল্য পান যদিও তা সাময়িকই ছিল । মাঝখানে খড়ায় ছিলেন সাফল্যের ।

কিন্তু ফিরে এসিছিলেন নিজরুপেই আবার । স্পেন্সার ট্রেসির সাথে ২৬ বছরে সম্পর্কে ছিল এবং হেপবার্ন তার অটোবায়োগ্রাফী তে লিখেছিলেন “"It was a unique feeling that I had for [Tracy]. I would have done anything for him.” এছাড়াও এ পর্যন্ত চার জন অভিনেতা তিনটি করে অস্কার জিতেছেন ১.ইনগ্রিদ বার্গম্যান (১৯১৫-১৯৮২) বার্গম্যান সবচেয়ে বেশী স্বরণীয় “ক্যাসাব্লাঙ্কা(১৯৪২)” চলচ্চিত্রের চরিত্রের জন্য । তিনি গ্যাসলাইট(১৯৪৪) , এনাসটেসিয়া (১৯৫৬) এবং মাড্যার অন দ্যা অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস (১৯৭৪) এর জন্য অস্কার পান । বার্গম্যান কাজ করেন আলফ্রেড হিচকক এর কয়েকটি চলচ্চিত্রে এবং তার অভিনয়শৈলীর পরিমাপ হিচকক ঠিক ভাবেই করেছিলেন। ফলস্বরূপ সফল হিচককিয় চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন ।

২.জ্যাক নিকলসন(১৯৩৭) জ্যাক নিকলসন হচ্ছেন ১৯৬০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত প্রতিটি দশকে একাডেমী এওয়ার্ড নমিনেশন পাওয়া অন্যতম একজন অভিনেতা । তার অস্কার পাওয়া চলচ্চিত্র গুলো ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কুক্কুস নেস্ট (১৯৭৫) , এজ গুত এজ ইট গেটস (১৯৯৭) এবং টার্মস এন্ড এন্ডিয়ারমেন্ট (১৯৮৩) । ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কুক্কুস নেস্ট এর অভিনয়ে তাকে শুধু এপিক বললেই বোধহয় কম হয়ে যায় । এর পাশে বসাতে পারেন দ্যা শাইনিং এর জ্যাক টরেস কে । দ্যা ডিপার্টেড এর ফ্রাংক কস্টেলো এবং এবং চায়নাটাউনের মি: গিটিস ও কম যায় না ।

হেপবার্নের পাশে ৪ টি অস্কার নিয়ে দুইজন দাড়াতে পারে, সেই দুজনের ভেতর নিকলসন একজন । তার আরেকটি অনবদ্য অভিনয় এর অপেক্ষায় আছে অস্কারের স্টাচ্যু। ৩.মেরিল স্ট্রিপ(১৯৪৯) হেপবার্নের পাশে দাড়ানোর আরেকজন যোগ্য অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। ক্রেমার ভার্সাস ক্রেমার (১৯৭৯), সোফি’স চয়েস (১৯৮২) এবং দ্যা আয়রন লেডি (২০১১) তে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি একাডেমী এওয়ার্ডস পান । স্ট্রিপ অভিনয়ের জন্য যত না বিখ্যাত তার চেয়ে বিখ্যাত তার ডায়নামিক একসেন্ট এর জন্য ।

একাধারে তিনি ইটালিয়ান, জার্মান, ব্রিটিশ, ড্যানিশ,নিউজিল্যান্ড একসেন্ট ব্যাবহার করেন বিভিন্ন চলচ্চিত্রে । দ্যা আয়রন লেডি তে তার ব্রিটিশ একসেন্ট অনবদ্য ছিল । তাকে প্রশ্ন করা হয় কিভাবে এটা পারেন তিনি । তার উত্তর ছিল “I listen” ৪.ওয়ালটার ব্রেননান(১৮৯৪-১৯৭৪) ওয়াল্টার ব্রেননান তিনটি অস্কারের সবগুলোই পেয়েছিলে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে । চলচ্চিত্র গুলো কাম এন্ড গেট ইট(১৯৩৬), কেনটাকি (১৯৩৮), দ্যা ওয়ের্স্টানার (১৯৪০)।

সত্যি বলতে তার কোন অভিনয় দেখা হয় নি । তার অভিনয় সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে ইতিহাসবেত্তা দের সাথেই মাথা ঝোকাতে হয় । সর্বাধিক অস্কার সিনেম্যাটোগ্রাফি: জোসেফ রুটেনবার্গ এবং লিওন শ্যামরয় সিনেম্যাটোগ্রাফি তে সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফার হিসেবে দু জন এ পর্যন্ত সর্ব্বোচ্চ চারটি অস্কার জিতেছেন । জোসেফ রুটেনবার্গ (১৮৮৯-১৯৮৩) জোসেফ রুটেনবার্গ ১৯৩৮, ১৯৪২, ১৯৫৬, ১৯৫৮ তে সিনেম্যাটোগ্রাফি তে অস্কার পান । সিনেম্যাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন “ড: জেকিল এন্ড মি: হাইড”, “গ্যাসলাইট” এবং “জুলিয়াস সিজার” এর মত চলচ্চিত্রে।

লিওন শ্যামরয় মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ার লিওন তার ইন্জিনিয়ারিং ছেড়ে ক্যামেরাম্যান হিসেবে যোগ দেন ১৯২০ সালে চলচ্চিত্রে । ১৯৪২, ১৯৪৪, ১৯৪৫,১৯৬৩ তে অস্কার জেতা এই সিনেম্যাটোগ্রফার এর কাজ ক্লিওপেট্রা (১৯৬৩) এবং দ্যা ব্লাক সোয়ান (১৯৪২) এ ফুটে ওঠে ভিন্নরকম ভাবে । তিনি ম্যারলিন মনোরোর স্ক্রিন টেষ্ট প্রথম নিয়েছিলেন । সিনেম্যাটোগ্রফার এই দুজন এর কাজ লক্ষ্য করলে দেখবেন, এ দুজনই প্রায় চলচ্চিত্রর শুরুর দিকে কাজ করতেন । তাদের কাজে অনেক বৈচিত্র, উদ্ভাবনী কলা-কৌশল প্রথম বারের মত স্ক্রিনে দর্শক এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধা রা দেখেছেন ।

নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগ থেকে এরকম কাজ সবাইকেই বিনোদন দিতো । হয়তো বা এ কারনেই তারা পরুষ্কৃত হয়েছেন সর্বাধিক বার। সর্বাধিক অস্কার আর্ট ডিরেকশন :সেডরিক গিবসন এ বিভাগে ১১ টি অস্কার জিতে শীর্ষে আছেন সেডরিক গিবসন। গিবসনের আরেকটি পরিচয় তিনি একাডেমী অফ মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইনস এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন । তাকে অস্কার স্টাচ্যুর ডিজাইনার হিসেবে ক্রেডিট দেয়া হয় ।

৩০ থেকে ৫০ এর দশক জুড়ে তিনি কাজ করেছেন বহু চলচ্চিত্র । এই সময়ই তিনি ১১ টি অস্কার জেতেন শিল্প নির্দেশনা দিয়ে । মেট্রো-গোল্ডউন-মেয়ারের সাথে কাজ করেছেন ৩২ বছর ধরে । সর্বাধিক পুরুষ্কার সেরা মেকআপ : রিক বেকার রিক বেকার যিনি সেরা মেক আপ বিভাগে ৭ টি অস্কার জিতেছেন। তার অন্যতম কাজ গুলো হল মেন ইন ব্লাক, স্টার ওয়ারস , এক্স-মেন এর মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করা ।

অভিষেকেই বাজিমাত অভিষেকেই পারফর্ম করে অস্কার জেতার রেকর্ড আছে অনেকের । সেরা অভিনেত্রী বিভাগে আছেন ৪ জন । ১.শার্লি বুথ (১৮৯৮-১৯৯২) “কাম ব্যাক,লিটল শেবা (১৯৫২)” তে অভিষেক হয় শার্লি বুথের । তিনি সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পান এবং জেতেন ও । তবে পরবর্তী তে তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বেশী দূর বিস্তৃত হয় নি ।

তবে তিনি কাজ করে গিয়েছেন থিয়েটারে ১৯৭৪ পর্যন্ত। ২.জুলি এনড্রুইস ( ১৯৩৫ ) অভিষেক হয় ডিজনীর মিউজিক্যাল ফিল্ম “ ম্যারি পুপিনস (১৯৬৪)” এ । জেতেন অস্কার । তারকাখ্যাতি পান ৬০ এর দশকে আকাশছোয়া । এখনও পর্দার আড়ালে ভয়েস এক্টরেস হিসেবে কাজ করছেন ।

এনিমেটেড ফিল্ম শার্ক এ কুইন লিলিয়ান , ডিসাইপল মি তে গ্রু‌ এর মা হিসেবে ভয়েস দিয়েছেন । গ্রামি এওয়ার্ড জেতা এই গায়িকার গলায় বড় অস্ত্রোপাচার হলেও তিনি চালিয়ে গেছেন তার মিউজিক্যাল ক্যারিয়ার । ৩.বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড বারবারা স্ট্রেইস্যান্ড জিতেছেন অস্কার, এমি, গ্রামি এবং টনি এওয়ার্ড যা খুব কম তারকার পকেটেই আছে । ফানি গার্ল (১৯৬৮) এর জন্য অভিষেকেই অস্কার জেতা টা খুব সহজ ছিল না কারন তার প্রতিদন্দ্বী হিসেবে ছিলেন ক্যাথরিন হেপবার্ন । তবে কাউকেই নিরাশ করেনি একাডেমী ।

দুজনই বিজয়ী হিসেবে ঘোষিত হন । এ ছাড়াও বারবারা পরবর্তী তে আরও একটি অস্কার জেতেন সেরা সঙ্গীত এর জন্য । এই অভিনেত্রী ও গায়িকা মোট ৮ টি গ্রামি পেয়েছেন তার সুরেলা কন্ঠের জন্য । চিনতে অসুবিধা যদি হয় তবে একটু সাহায্য করি, মিট দ্যা ফকারস দেখেছেন ? পুরুষ নার্স বেন স্টিলার অর্থাৎ পর্দার গে লর্ড ফকারের মা রোয ফকারের চরিত্রে বারবারা কে দেখেছেন আপনারা ডাস্টিন হফম্যানের সাথে!!! ৪.মারলে ম্যাটলিন মারলে ম্যাটলিন এর কথা বলতে গেলে একটা কথা বলে নিতে হয়, কোন বাধাই স্বপ্ন কে আটকে রাখতে পারে না । ১৮ মাস বয়স থেকে তিনি শ্রবন প্রতিবন্ধী ।

চিলড্রেন অফ এ লেসার গড (১৯৮৬) চলচ্চিত্র অভিনয় করেন একজন শ্রবনপ্রতিবন্ধীর ভূমিকায়। দাপটের সাথেই জিতে নেন অস্কার । রেখেন নিজের অটোবায়োগ্রাফি। সিএসআই মিয়ামি তে অভিনয় করেছেন । যুক্ত আছে অসংখ্য সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ।

সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এ বিভাগে দুজন আছেন। ১.হ্যারল্ড রাসেল(১৯১৪-২০০২) ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে আক্রমনের ফলে তিনি এতটাই প্রভাবিত হন পরের দিন তিনি আর্মিতে যোগ দেন । দুটি হাতই হারান যুদ্ধে । অভিনয় করেন দ্যা বেস্ট ইয়ারস অফ আওয়ার লাইভস (১৯৪৬) এ এবং অভিষেকে জিতে নেন দুটি অস্কার একটি চরিত্রের জন্য । একটি অভিনয় এবং আরেকটি সম্মাননা পুরুষ্কার একজন ওয়ার হিরো হিসেবে।

উল্লেখ্য চলচ্চিত্রেও তিনি একজন যুদ্ধাহত সৈন্য হিসেবে অভিনয় করেন । পরবর্তী জীবন কষ্টেই কেটেছে তার। ১৯৯২ সালে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে তিনি তার অস্কারের স্টাচ্যু টি বিক্রি করে দেন । বাস্তবতার চাবুকে পুরুষ্কার আরেক বার হার মানে সেদিন । ২.হেইং এস গর কম্বোডিয়ান এই চিকিৎসক দ্যা কিলিং ফিল্ডস (১৯৮৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং অভিষেক অভিনয় দিয়ে পার্শ্ব-অভিনেতা বিভাগে অস্কার জেতেন ।

১৯৯৬ সালে তাকে চায়নাটাউনে গুলি করে হত্যা করা হয় । বলা হয় লোকাল গ্যাং এর সাথে নৈতিক বিরোধের কারনবশত এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী এ বিভাগে আছেন ৮ অভিষিক্ত অস্কার বিজয়ী রা । ১.গেল সনডারগার্ড (১৮৯৯-১৯৮৫) অভিনেত্রীর অভিষেক হয় এনথনি এডভার্স (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে এবং অস্কার জিতলেও তার পরবর্তী ক্যারিয়ার পুরোটা প্রায় সাদামাটাই কেটেছে । আর তেমন কোন সাফল্যের মুখ দেখেন নি একমাত্র এনা এন্ড কিং অফ সিয়ামের (১৯৪৬) এক মাত্র একাডেমী এওয়ার্ড মনোনয়ন ছাড়া ।

২.ক্যাটিনা প্যাক্সিনোউ (১৯০০-১৯৭৩) এই গ্রীক অভিনেত্রী এবং অপেরা সিঙ্গার পরিবার থেকে বিতাড়িত হন যখন তিনি মঞ্চে কর্মজীবন শুরু করবেন বলে ঠিক করেন । অস্কারজয়ী অভিনয় করেন ফর হুম দ্যা বেল টোলস (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে । ৩.মার্সিডিজ ম্যাক ক্যামব্রিজ (১৯১৬-২০০৪) জীবদ্দশায় তাকে পরিচালক ওরসন ওয়েলেস বলেছিলেন “the world's greatest living radio actress” । তার অভিষেক হয় অল দ্যা কিংস মেন (১৯৪৯) চলচ্চিত্রে । যা চলচ্চিত্র এবং তাকে অস্কার এনে দেয়।

৪.ইভা ম্যারি স্যাইন্ট অন দ্যা ওয়াটারফ্রন্ট (১৯৫৪) এ অভিষেক এবং অস্কার পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে। এর আগে তিনি ছোট পর্দায় কাজ করেন প্রায় এক দশকের কাছাকাছি । তার সর্বশেষ কাজের ভেতর সুপারম্যান রিটার্নস (২০০৬) এ সুপারম্যানের মা মার্থা কেন্ট হিসেবে অভিনয় করেন । ৫.জো ভ্যান ফ্লিট তার প্রথম রোল ছিল ইস্ট এন্ড ইডেন (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে যা তাকে অস্কার এনে দেয়। এছাড়াও তিনি টিভি তে কাজ করে টনি এওয়ার্ড পান এ র আগে ।

৬.ট্যাটাম ও’নীল ট্যাটাম ও’নীল ১০ বছর বয়সে পেপার মুন (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অভিষেক এবং কম বয়সী অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জেতেন যা দুটি ক্ষেত্রেই রেকর্ড । অল্পবয়সে খ্যাতি তাকে একটু বখেই দিয়েছে। তার প্রথম বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন । তিনি মাদক বিশেষ করে হেরোইনে আসক্ত ছিলেন এবং পরবর্তী ২০০৮ সালে তিনি কোকেইন সহ গ্রেফতার হন । এছাড়ও আরও অনেক অপরাধের সাথে তিনি জড়িত বলে শোনা যায় এবং তার অনেগুলো তিনি তার অটোবায়োগ্রাফিতেও স্বীকার করেন ।

৭.আন্না প্যাকুইন আন্না পেকুইন দ্যা পিয়ানো (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের জন্য যখন অস্কার জেতেন, তখন তার বয়স ছিল ১১ বছর । এরপর তিনি এমিসটাড, হানিবল রাইজিং, এক্স-মেন সিরিজে অভিনয় করেন । আন্না প্যাকুইন বাই-সেক্সুয়াল এবং এ সম্পর্কে তার মন্তব্য "I'm Anna Paquin. I'm bisexual, and I give a damn" । এছাড়াও তিনি গে,লেসবিয়ান, বাই-সেক্সুয়াল এবং ট্রানসজেনডার দের সম অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন প্রচারনা চালাচ্ছেন। ৮.জেনিফার হাডসন ২০০৬ সালে ড্রিমগার্ল (২০০৬) চলচ্চিত্রে অভিষেক এবং অস্কারপ্রাপ্তি।

এছাড়াও আমেরিকারন আইডলের ২০০৪ এর আসরে ফাইনালিস্ট দের একজন ছিলেন । বারাক ওবামার বন্ধু হিসেবে পরিচিত জেনিফার বিভিন্ন ফান্ড রেইজিং এ প্রেসিডেন্ট কে সাহায্য করেছেন । ২০০৮ সালে তার মা এবং ভাই খুন হন । বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে ২০০৯ সালে তিনি ফিরে আসেন মিডিয়া তে আবার। সেরা পরিচালক এই বিভাগে আছেন ৬ জন পরিচালক।

১.ডেলবার্ট ম্যান ২য় বিশ্বযুদ্ধে বৈমানিক হিসেবে যুদ্ধ করা ডেলবার্টের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল মার্টি (১৯৫৫) . এটা তারই পূর্ববর্তী টেলিভিশন প্রোগরামের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় । চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষিক্ত হয়েই দেখা পান অস্কারের । ২.জেরমী রবিনস তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ব্যালে ড্যান্সিং ক্যারিয়ার এর জন্যই । ওয়েস্ট সাইড স্টোরি (১৯৬১) তে তার পরিচালনা অভিষেক ঘটে রবার্ট ওয়াইজ এর সাথে, সহ-পরিচালক হিসেবে । যদিও বলা হয়, প্রতাকশনের সময় তাকে বের করে দেয়া হয় কারন চলচ্চিত্রের রিহার্সাল এ তিনি বেশী সময়ক্ষেপন করছিলেন ।

যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে সহ-পরিচালক হিসেবে ক্রেডিট দেয়া হয় । ফলাফলস্বরূপ তিনি অস্কার পান সেরা পরিচালক হিসেবে রবার্ট ওয়াইজের সাথে । এছাড়াও ওই বছর তার অসামান্য নৃত্যশৈলীর পুরুষ্কার স্বরূপ সম্মানসূচক একাডেমী এওয়ার্ডস এ ভূষিত হন তিনি । এছাড়াও তিনি টনি এওয়ার্ড সহ ফ্রান্সের সর্ব্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরুষ্কার ও লাভ করেন । ৩.রবার্ট রেডফোর্ড অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ড ১৯৮১ সালে তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র “অর্ডিনারি পিপল” এর জন্য অস্কার পান ।

এছাড়াও দ্যা কুইজ শো (১৯৯৪) এর একাডেমী এওয়ার্ডস এর জন্য মনোনয়ন পান । তিনি অভিনয় করেছেন দ্য গ্রেট গ্যাটসবি(১৯৭৪) ,অল দ্যা প্রেসিডেন্টস মেন (১৯৭৮) এর মত চলচ্চিত্রে। ৪.জেমস এল ব্রুকস তার প্রথম পরিচালনা টার্মস এন্ড এন্ডিয়ারমেন্ট (১৯৮৩) । এখানে জ্যাক নিকলসন অভিনয় করে অস্কার পান, সাথে ব্রুকস ও পেয়ে যান পরিচালক হিসেবে প্রথম অস্কার । অস্কার তাকে ভীত করে তুলেছিল ।

পুরুষ্কারের চাপ তাকে না আবার গতানুগতিক করে ফেলে । ৫. কেভিন কোস্টনার কেভিন কোস্টনার ড্যান্সেস উইথ ওলভস (১৯৯০) এর পরিচালনা করে যাদু দেখিয়েছিলেন । জিতে নিয়েছিলেন পরিচালনার সাথে সেরা চলচ্চিত্রের পুরুষ্কারও । যদিও তিনি অনেক নান্দনিক চরিত্রেই অভিনয় করেছেন, তবুও সবচেয়ে বাজে অভিনয় করার জন্য দেয়া রেজি এওয়ার্ড যেন তার ফিছু ছাড়ছিলো না । একাধিক বার সবচেয়ে বাজে অভিনয়ের পদক টি তার দিকে গেছে, মনোনয়ন ও পেয়েছেন বহু বার ।

তার পরেও তার অভিনীত এ পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড (১৯৯৪) , বিল ডুরহাম (১৯৮৮), দ্যা আনটাচেবল (১৯৮৭) অন্যতম। ৬.স্যাম মেনডেস অসাধারন প্রতিভাবান কয়েকজন পরিচালক হলিউডে আছেন, স্যাম মেন্ডেস তাদের ভেতর একজন । তিনি তার চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন আমেরিকান বিউটি(১৯৯৯) এর মাধম্যে । অসাধারন এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কাপিয়ে দেন মুভি জগৎ। এর পর তিনি রোড টু পারডিশন (২০০২), রেভুলুশনারি রোড (২০০৮) এর মতো চলচ্চিত্রের পরিচালনা করেন ।

তার পরবর্তী চলচ্চিত্র জেমস বন্ড সিরিজের ছবি স্কাইফল (২০১২) । উপরের ৬ জনের ভিতর যারা জীবিত আছেন, তাদের ভেতর স্যাম মেন্ডেস যে আবারো অস্কার জিতবেন এটা নি:সন্দেহে বলা যায় । বিগ ফাইভ উইনার : সেরা পাচটি বিভাগে অর্থ্যাৎ সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে এ পর্যন্ত তিনটি ছবি জিততে পেরেছে । ১.ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট (১৯৩৪) রোমান্টিক কমেডি মুভি হিসবে সেরা পাচটি বিভাগে জিতেছিল ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট চলচ্চিত্র টি । চলচ্চিত্র টির অভিনেত্রী ক্লডেট কোলবার্ট যখন কাজ শেষ করেন, তখন তিনি বলেন , “I just finished the worst picture in the world” . এমন কি যখন অস্কারে তার নমিনেশন দেয়া হয়, তিনি ভেবেই রেখেছিলেন তিনি কোনদিনও এই মুভির জন্য অস্কার পাবেন না ।

তিনি বরং চলে গিয়েছিলেন রেলে চড়ে ঘুরতে । কিন্তু তার নাম যখন বিজয়ী ঘোষনা করা হয় তখন তাকে স্টেশন থেকে আনতে লোক পাঠানো হয় । ২.ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্যা কুক্কুস নেস্ট (১৯৭৫) মানসিক হাসপাতালের ভেতরের কাহিনী নিয়ে সাজানো চলচ্চিত্র টি আজও মনে গেথে থাকবে অনেকের । সেরা পাচটি বিভাগেই পুরুষ্কার পাওয়ার মত এই মুভি টা । তবে চলচ্চিত্রের নামকরনের বিষয় টি চলচ্চিত্রে নেই, তবে মূল উপন্যাসে আছে ।

এটা ছোটদের ছড়া যেটা “চিফ” ছোটবেলায় পড়েছিল Vintery, mintery, cutery, corn, Apple seed and applethorn, Wire, briar, limber lock Three geese in a flock One flew East One flew West And one flew over the cuckoo's nest. ৩.দ্যা সাইলেন্স অব দ্যা ল্যাম্বস (১৯৯৩) এফবিআই এর এক নারী এজেন্টে আকৃষ্ট হয়ে যায় এক ভয়ানক সিরিয়াল কিলার এন্থনী হপকিনস । চরিত্র হানিবাল লেকটার এর শান্ত চোখের দৃষ্টি এবং শান্ত স্বরে ওই এজেন্ট কে “ ক্লারিস” বলে ডাকা শুধু মাত্র হপকিনস এর পক্ষেই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব । ছবিটি যেমন নন্দিত হয়েছে, অনেকে নিন্দাও করেছে । একজন সিরিয়াল কিলার কে হিরো তে রুপান্তর কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল । পর পর দুবার অস্কার: ধারাবাহিক ভাবে অর্থ্যাৎ পর পর দু বার অস্কার জেতার রেকর্ড গড়েছেন অনেকেই সেরা অভিনেত্রী পর পর দু বার অস্কার জেতা অভিনেত্রী দুজন।

১.লুইস রেইনার পর পর দুবার অস্কার পান The Great Ziegfeld এবং The Good Earth চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর । জার্মান এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে ২য় বিশ্বযুদ্ধের প্রভার বেশী পরেছিল । যুদ্ধশেষে তার চুক্তি শেষ হয়ে যায় হলিউডে । তিনি পরবর্তী তে একটি ছোট চলচ্চিত্র করেন যা নিয়ে তিনি নিজেও সন্তুষ্ট ছিলেন না । ১৯৪৩ সালের পরে তিনি ১৯৯৭ সালে আবার পর্দায় আসেন ।

তিনি বর্তমানে অস্কার বিজয়ী সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি । ২.ক্যাথরিন হেপবার্ন যা বলার উপরে বলেই দিয়েছি সেরা অভিনেতা পর পর দুবার অস্কার জেতা অভিনেতা দুজন আছেন। ১.স্পেনসার ট্রেসি ট্রেসি কে হলিউডের সোনালী সময়ের অভিনেতা বলা হয় । ৯ বার অস্কার নমিনেশন পাওয়া ট্রেসি পর পর দুবার Captains Courageous এবং Win for Boys Town চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার পান । স্পেন্সার ট্রেসি এবং ক্যাথরিন হেপবার্নের সম্পর্ক হলিউডে অমরগাথার মত হয়ে থাকবে ।

ট্রেসির মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তাদরে সম্পর্ক অটুট ছিল । শেষ দিকে অতিরিক্ মদ্যপান, ধুমপান তাকে দূর্বল করে দেয় । অসুস্থ অবস্থায় হেপবার্ন তার নিয়মিত দেখাশুনা করে গিয়েছিল । ২.টম হ্যাংকস টম হ্যাংকস Philadelphia and Forrest Gump মুভি তে অভিনয় করে পর পর দুবার একাডেমী এওয়ার্ডস পান । Big, Saving Private Ryan and Cast Away তে অভিনয় গুলি তাকে অস্কার নমিনেশন এনে দিয়েছিল ।

মাত্র ৫৫ বছর বয়সী হ্যাংকস এর কাছে তার ভক্ত রা আরেক টি অস্কার চাইতেই পারে, এটা অসম্ভব কিছু না তার জন্য । সেরা পরিচালক পর পর দুবার অস্কার জেতেন দুজন পরিচালাক। ১.জন ফোর্ড The Grapes of Wrath এবং How Green Was My Valley জন্য পর পর দুবার অস্কার পান দ্যা মাইটি ফোর্ড । ২.জোসেফ এল ম্যানকিউজিক একমাত্র জোসেফ ই ফোর্ডের পাশে নিজের নাম লিখিয়েছে পর পর দুবার A Letter to Three Wives এবং All About Eve এর পরিচালনার মাধম্যে অস্কার পেয়ে । চলচ্চিত্রে কাজ করার আগে বার্লিনের একটি পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন।

লেখালেখির কাজ টা ভালই পারতেন। লিখেছেন ৪৮ টি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, যার ভেতর একটির জন্য অস্কার পান । সেরা পার্শ্ব অভিনেতা এ বিভাগে পর পর দুবার অস্কার জেতেন ১ জনই । জ্যাসন রোবার্ডস ইউএস নেভির রেডিওম্যান হিসেবে কাজ করা জ্যাসন প্রথমে মঞ্চ এবং রেডিও তে ছোট ছোট কাজ করতেন । ধীরে ধীরে পরিচিতি পেয়ে যান এবং সাফল্য পান All the President's Men এবং Julia চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ।

সেরা এডাপটেড স্ক্রিন প্লে ১.জোসেফ এল ম্যানকিউজিক A Letter to Three Wives এবং All About Eve পরিচালনার সাথে স্ক্রিন প্লে ও তিনি লিখেছিলেন তিনি । ২.রবার্ট বোল্ট Doctor Zhivago এবং A Man for All Seasons চিত্রনাট্য লেখেন যা তাকে একাডেমী এওয়ার্ড এর মুখ দেখায় । তিনি গান্ধী চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখলেও তা পরিচালকের কাছে তত টা ভাল লাগে নি । বিবিসি রেডিও কাজ করেছে ৫০ এর দশকে যদিও তার কাজের সম্পূর্ন তালিকা নেই । সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফি জন টোল Legends of the Fall এবং Braveheart চলচ্চিত্রের সিনেম্যাটোগ্রাফির জন্য তিনি অস্কার পান ।

এছাড়াও Tropic Thunder,Gone Baby Gone এবং The Last Samurai এ তিনি সিনেম্যাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন। সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা এনগুস ওয়াল এবং কির্ক ব্যাক্সটার বামে কির্ক ব্যাক্সটার এবং ডানে এনগুস ওয়াল এ দুজন চলচ্চিত্র সম্পাদক The Social Network এবং The Girl with the Dragon Tattoo এর জন্য অস্কার পান । এছাড়াও লিখেছেন এনগুস ওয়াল এবং কির্ক ব্যাক্সটার ডেভিড ফিনচারের প্রায় সব কয়টি চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত । অস্কারে যা প্রথম প্রথম এশিয়ান পরিচালক হিসেবে অস্কার এং লি তাইওনিজ এই পরিচালক Brokeback Mountain এর জন্য অস্কার পান। এছাড়া তার পরিচালিত Crouching Tiger, Hidden Dragon বিদেশী চলচ্চিত্র বিভাগে ২০০০ সালে অস্কার পায় ।

তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে Sense and Sensibility এবং Hulk অন্যতম । প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে অস্কার ক্যাথরিন বিগলিউ একাডেমী এওয়ার্ডস এর ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে The Hurt Locker এর জন্য ২০০৯ সালে অস্কার পান । শুধু অস্কারেই না , প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে বাফটা,ডিরেক্টর’স গিল্ড এবং ক্রিটিক চয়েস এওয়ার্ড ও জেতেন তিনি। ২০১০ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের করা প্রভাবশালী ১০০ নারীদের ভেতর একজন ছিলেন ক্যাথরিন । প্রথম ফ্যান্টাসী ফিল্ম যা অস্কার পায় লর্ড অফ দ্যা রিংস : দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং পিটার জ্যাকসনের লর্ড অব দ্যা রিং ট্রিওলজির শেষ চলচ্চিত্র লর্ড অফ দ্যা রিংস : দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা কিং যা প্রথম ফ্যান্টাসী ফিল্ম যা অস্কার পায় ।

মোট ১১ টি বিভাগে মনোনয়ন পাওয়া চলচ্চিত্র টি ১১ টি বিভাগেই জয়ী হয় । বয়সভিত্তিক রেকর্ড সবচেয়ে কমবয়সে অভিনয়ের মাধ্যমে অস্কার ট্যাটাম ও’নীল ওপরে আলোচিত । সবচেয়ে কমবয়সে অস্কার শার্লি টেম্পেল তৎকালীন ফাস্ট লেডী এলেনর রুজভেল্ট এর সাথে শার্লি টেম্পল একাডেমী জুভেনাইল এওয়ার্ড পান যা ১৯৬১ পর্যন্তই দেয়া হত । শার্লি মাত্র ৬ বছর বয়সে জুভেনাইল এওয়ার্ড পান তার অসামান্য প্রতিভাময় কাজের জন্য । যদিও পরবর্তী তে সে এটাকে বিস্তৃত করতে ব্যার্থ্য হন এবং ২২ বছর বয়সে তার ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ।

সবচেয়ে বেশী বয়সে অভিনয়ের মাধ্যমে অস্কার ক্রিস্টোফার পামার ১৯৫৭ সালে ক্রিস্টোফারের চলচ্চিত্র জগতে আগমন । The Insider Up the Shane Acker production 9, The Last Station, The Imaginarium of Doctor Parnassus, The Girl with the Dragon Tattoo and Beginners এর মধ্যে Beginners এর জন্য তিনি অস্কার পান ২০১২ সালে । এ বিভাগে নারী অভিনেত্রী হিসেবে আছেন জেসিকা ট্যানডি বামে জেসিকা ট্যানডি ১৯২৬ সালে লন্ডনের মঞ্চে উঠেছিলেন । চলচ্চিত্র জগৎ এ ছিলেন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত । ১৯৮৯ সালে Driving Miss Daisy তে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অস্কার পান ।

১৯৯০ সালে পিপলস ম্যাগাজিনের ৫০ জন মোস্ট বিউটিফুল পিপল এর ভিতর জেসিকা ট্যানডি ছিলেন । সবাই যে শুধু জিতেই রেকর্ড করে গেছেন তা নয় । এর ব্যাতিক্রম ও আছে । অনেক ব্যাতিক্রম দূ:খ জনক । দুটো ছবি মোট ১১ টি মনোনয়ন পেয়েও একটি তেও জিততে পারেনি ।

The Turning Point (1977) The Color Purple (1985) সবচেয়ে বেশী মনোনয়ন সবচেয়ে বেশী মনোনয়ন পেয়ে এগিয়ে আছেন মেরিল স্ট্রিপ পর পর চার বার মনোনয়ন একজনই পেয়েছেন পর পর ৪ বছর মনোনয়ন পেয়ে একমাত্র অভিনেতা হিসেবে আছেন মারলন ব্রান্ডো । এর ভেতর ১৯৫৪ সালে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পান । সবচেয়ে বেশী বার মনোনয়ন পেয়েছেন কিন্তু কোন বারই অস্কার জেতেন নি এমন একজন কেভিন ও’কনেল । মোট ২০ বার মনোনয়ন পান এই সাউন্ড এডিটর, কিন্তু একবারও জিততে পারেনি । কাজ করেছেন ট্রান্সফর্মার, এপোক্যালিপটো, স্পাইডারম্যান এর মত চলচ্চিত্রে , কিন্তু মনোনয়ন পর্যন্তই শেষ ।

সবচেয়ে বেশী বার মনোনয়ন পেয়েছেন সেরা অভিনেতা হিসেবে কিন্তু কোন বারই অস্কার জেতেন নি এমন একজনই হচ্ছেন পিটার ও’টোল । তিনি T. E. Lawrence ছিলেন Lawrence of Arabia তে । এ জন্য বিখ্যাত । যদিও তাকে একাডেমী সম্মানজনক পুরুষ্কার দিয়েছেন । সবচেয়ে কমসময়ে অভিনয় করে অস্কার পেয়েছেন বিয়াট্রিস স্টেরেইট ।

নেটওয়ার্ক ছবিটি তে মাত্র ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড অভিনয় করে তিনি অস্কার জেতেন । মোটামুটি এই তো । অনেক রেকর্ড বাদ দিয়েছি । যা বিতর্কিত । যেমন প্রথম কালো অস্কার বিজয়ী, প্রথম আফ্রিকান যা আমার কাছে রেসিজম এর ই ব্যাপার এর মত মনে হয়েছে ।

এভাবে আলাদা করা টা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না । __________________________________________________ অস্কার নিয়ে আমার বাকি তিনটি পোষ্ট: প্রথম অস্কার ১৯২৯: একটি ব্লগীয় সারসংক্ষেপ একাডেমী এওয়ার্ড রিফিউজাল : যারা অস্কার প্রত্যাখান করেছিল অস্কার ২০১২ : একটি ব্লগীয় সারসংক্ষেপ __________________________________________________ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।