আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুন রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়াঃবৈশাখের রুদ্রতার কঠোরতার মাঝে এসব বাহারী ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন রঙ্গলীলামত্ত করে তুলেছে

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি বৈশাখের খরতাপে উত্তরাঞ্চলে গাছে গাছে ফুটেছে গ্রীষ্মের লাল, হলুদ আর বেগুনি বুনো ফুল। একই সাথে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া, সোনাইল আর জারুল ফুল। বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ জেলার গ্রামীণ সড়কের পাশে ও ঝোপ জঙ্গলে গাছের ডালে ডালে পাতার ফাঁকে লাল, হলুদ আর বেগুনি ফুল প্রকৃতিকে অপরূপ করে তুলেছে। বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ার গাছে লাল ফুলের সমারোহ। বৈশাখের রুদ্রতার কঠোরতার মাঝে এসব বাহারী ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন রঙ্গলীলামত্ত করে তুলেছে।

প্রায় দশ বছর আগে বগুড়া শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বনানী এলাকায় রাস্তার পাশে রোপণ করা হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া। ফুলবাড়ী এলাকায় বহু বছর আগে বেড়ে উঠেছে জারুল বৃক্ষ। শুধু গ্রীষ্মের ফুলের সৌন্দর্যেই জারুল বৃক্ষ পথের ধারে স্থান করে নিয়েছে। গাছ বিষয়ী মানুষের তেমন কোন কাজে না লাগলেও প্রকৃতিকে মোহময়ী করে তোলার কাজে এদের ভূমিকা অপরিমেয়। তাই মানুষ ওদের ভালোবাসায় লালন করে।

বনস্পতি যেমন বনেই জন্মে তেমনি প্রকৃতির সৌন্দর্যের অঙ্গ আভরণ রূপী মহীরুহ কৃষ্ণচূড়া আর জারুলের সেই বনেই বেড়ে ওঠা। বন আর জঙ্গল থেকে ওরা হাতছানিতে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে ডেকে বলে: রূপের ডাল মেলে ধরেছি, নয়ন-মন সার্থক করে নাও। বাকলের রং কালচে ও অজস্র ফাটলে রুক্ষ। সবুজ রঙের ছোট ছোট পাতাগুলো খর্বাকৃতি গোল ক্ষণভাবে বিন্যস্ত থাকে। এই গাছের শাখাগুলো উর্ধমুখী হয়ে বিন্যস্ত খাকলেও প্রশাখাগুলো নিচে ও সামনের দিকে হাল্কা নোয়ানো থাকে।

খর্বাকৃতি ছোট ছোট অসংখ্য পাতা। সুরু হাল্কা ডালপালাগুলো সবসময় ঝুলে থাকে। বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে অসংখ্য কচি পাতার সবুজে ভরে ওঠে গাছ। একই সময়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলগুলো কৃষ্ণচূড়া ফুটতে শুরু করে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের আভা আর মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতিতে।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফুল, ফল, পাখি, প্রাকৃতিক জলাধার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির অমলিন ভাস্কর্য আর নান্দনিক অট্টালিকা সমৃদ্ধ কৃষ্ণচূড়া ফুলের আভায় প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য এখানেই উজাড় করে দিয়েছে। পাপড়িগুলো প্রায় আট থেকে ১০ সেন্টিমিটারের মতো লম্ব^া হয়। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা আর ২০-৪০টি উপ-পত্রবিশিষ্ট হয়। কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া।

এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। গুলমোহর নামেও পরিচিত এ ফুল। ফুল আকারে কিছুটা ক্ষুদ্র হলেও বড় চার-পাঁচটি পাপড়িযুক্ত মঞ্জুরের প্রাচুর্য পরিবেশের সেই দীনতা নিমেষেই মুছে দেয়। ফুলের রঙ লাল, অনেক সময় লালের সাথে মিশ্র হলুদ। বসন্ত ও গ্রীষ্মের এই ফুল পুষ্পিতবিধি হওয়ায় মানুষের কাছে বেশ সমাদ্রিত।

উদ্ভিদবিদরা জানিয়েছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেরি হলেও কনকচূড়া, জারুল, মাধবী, রাধাচূড়া, হিজল আর অলকানন্দা প্রস্তুতি নিচ্ছে পত্রপল্লবে বিকশিত হতে। এই গাছের বেশ মূল্যবান না হলেও বয়স্ক গাছের কাঠ অনেক সময় জ্বালানি কিংবা আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.