আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেস্ট বৈশাখী মেলা এবং ডালাসের বর্ষবরন ১৪১৯

বাংলাদেশী এক্সপেট্রিয়েট সোসাইটি অফ টেক্সাস (বেস্ট) এর আয়োজনে ২১শে এপ্রিল ডালাসের প্লেনো ওকপয়েন্ট এম্পিথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলা ১৪১৯ বর্ষবরন এবং বৈশাখী মেলা - ২০১২। এই প্রথমবারের মত ডালাসের কোন মেলায় বৈশাখী শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় যেখানে হয় রং বেরং এর মুখোশ পড়ে ঢোলের তালে তালে সবাই নেচে গেয়ে বৈশাখী মেলার অনুষ্ঠান শুরু করে। এই মেলায় স্থানীয় শিশু-কিশোর শিল্পী সহ প্রায় ৮০ জনের মত পারফর্মার ছিলো যারা মাতিয়ে রেখেছিলো উপস্থিত প্রায় দুই সহস্রাধিক দর্শককে তাদের মনমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে। এরপর বাংলাদেশ থেকে আগত অতীথি শিল্পী এস.আই. টুটুল আর উইনিং এর চন্দনের পরিবেশনায় শুরু হয় সংগীত অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় সব গানের তালে তালে হাজার দর্শক শ্রোতার প্রানোচ্ছ্বল অংশগ্রহনে মনে হচ্ছিলো যেনো একটুকরা বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে ডালাসের ঐ জায়গাটুকু।

অতিথি শিল্পীসহ সবাই খুব প্রশংসা করেছে পরিপাটি আয়োজন আর ডালাসের বাংলাদেশী অধিবাসীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশের। বিশেষকরে ডালাসের বাংলাদেশী কমিউনিটির শিশুশিল্পীদের পরিবেশনা ছিলো সবার জন্য খুবই বিষ্ময়কর। মেলায় আরো ছিলো বিভিন্নরকমের মজার দেশী খাবার, শাড়ী, গয়না এবং খেলনার দোকান। ডালাসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছিলো এই মেলায় অংশ নিতে। ফলে একসময় মেলার আংগিনার ধারন ক্ষমতা অতিক্রম করে যায় এবং টিকেট সোল্ড আউট ঘোষনা করতে হয় যা ডালাসের কোন অনুষ্ঠানে আর কখোনই হয়নি।

এবং মেলার শেষে শুরু হয় বছরের সবচেয়ে বড় চমক, যেকোন বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত ফায়ারওয়ার্কস বা আতশবাজী। ফায়ারওয়ার্কসের পরে দর্শকরা বর্ষবরনের পরিপুর্ন আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরে যায়। অংশগ্রহনকারী সবার মন্তব্য ছিলো অসাধারন এমন অনুষ্ঠান ডালাসে এই প্রথমবারের মত তারা দেখেছেন। এবং এর জন্য ডালাসবাসী এবং তাদের সংগঠন বেস্টকে সকলে ধন্যবাদ দেন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।