আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকা এক শিল্পীর গল্প (আবদূর রোউফ সরকার [১৩ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮-২৪শে এপ্রিল ২০১১)

জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক ** আই,সি,ইতে দেখে আসলাম। আব্বাকে কেমন একটা অবুঝ শিশুর মত দেখাচ্ছে। নিশ্চিন্তে যেন ঘুমিয়ে আছেন। বিছানার পাশে রাখা ব্লাডের একটা প্যাকেটের দিকে চোখ পড়ল। অনেকখানি গাঢ় কালো রং‌য়ের রক্ত প্যাকেটে জমে আছে।

ইসিজির চার-পাচটি তার তাকে অক্টোপাসের মত জেকে রয়েছে। মনিটরে সব দেখাচ্ছে,”হার্টবিট ৭৪,৫৪,৩০ এই রকম উঠানামা করছে। আর প্রেসার [১১৩/৭৫-৭৬]। সব ইনফো দেখে তার মুখটি দেখলাম। গত রাত্রে চ্যানেল আইয়ের লোকেরা বলছিল সে গান গাচ্ছে, [আব্বা খুব রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে মাঝে সাঝে আম্মাকে শুনাতেন।

একবার জাপানেও শুনিয়ে খুব প্রশংসা পেয়েছিলেন। ]কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পেলাম না। আর ডান হাতটা মুষ্ঠিবদ্ধ করা আর মনে হচ্ছে ব্যথায় কুকড়ে যাচ্ছে। হঠাৎ খুব জোরে আব্বা বুঝি একবার নিঃশ্বাস নিলেন। সারা শরীরটা কেপে উঠল।

দীর্ঘাঙ্গী মানুষটাকে কখনো এরকম শুয়ে থাকতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। জীবন সায়াহ্নে এসে রক্তিম আভায় বর্নিত শিল্পী। সারাজীবন যে কাগজ আর ক্যানভাসে রং দিয়েছেন তিনি নিজেই রক্তবর্নে রঞ্জিত। আগুনের স্ফুলিংগ যেমন কাঠখড়িতে পড়লে প্রজ্জ্বলিত হবে,তেমনি তুমি হৃদয়ের কুঠুরিতে আঘাত দিয়ে অনুভূতির জোয়ার বইয়ে দিতে। তোমার স্পর্ষে কাঠখোট্টা হূদইয়হীন মানুষও একটু একটু করে মায়াবী হয়ে উঠত।

চিত্রপটে লেখার ধারের খোচায় যখন শব্দগুলো ধোঁয়াটে হইয়ে উঠত তখন তুমি স্থুতি দিতে। বইয়সের ভারে চোখের ছানিতে জগৎ যখন নয় ছয় হত তখন তুমি থামতে। লেখকের গল্প বার বার অনুধাবন করা, তারপর পেন্সিল হাতে নেওয়া। পেন্সিল কাটার দিয়ে নয় নিজ হাতে ব্লেড বা চাকু দিয়ে সযত্নে পেন্সিলের শীষের মাথাকে ধার করতে তুমি। নিজের মত করে যত্ন করে পেন্সিলকেও সাজাতে তুমি।

কাজের ভারে যখন ক্ষয়ে শীষের মাথাটি ভোতা হয়ে যেত। তুমি আবার তা ধার করতে। 6B,8B,4B,2HB পেন্সিলের রেঞ্জগুলি সবে শিখতে শুরু করেছি। মাঝে সাঝে পেন্সিল ফুরিয়ে গেলে তোমার ঘরে খুঁজতে যেতাম আমি। নিলে একটুও বিরক্ত হতে না তুমি।

বলতে নাও। কোনদিন তোমার কাছে কিছু চাইলে তুমি না করতে না। সেটা কমপ্লেন হোক কিংবা মধু হোক কিংবা চামনপ্রাস হোক। গাজর, শসা যা চাইতাম পারলে আকাশের চাঁদ চাইলে তাও বুঝি এনে দিতে। শুধু আমাকে না সবাইকে কিন্তু আমি বুঝি একটু বেশিই আহলাদ পেয়েছিলাম।

হঠাৎ একদিন দেখি অনেকগুলি কাঠের গূড়ি নিয়ে আসলে। তা শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘসছ। আমি শুধালাম “কি করবে”। চুপ করে রইলে। আবার শুধালাম।

বড় বড় আগুন বর্ন চোখ তুলে বললে,”লাঠি বানাচ্ছি। ” ও দারুন তো বলে আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রয়েছি। আম্মা এসে লাগিয়ে দিল,”কি করছ” কার জন্য করছ? তুমি কি মানুষকে দিয়ে দিবে। তুমি দিতে পারবা না। অশান্তি বাড়ার আগেই তুমি লাঠি-টাঠি সব নিয়ে বেড়িয়ে যেতে।

আম্মা আম্মার গ্যাজ-গ্যাজ করেই চলেছে। রোজ এসে আম্মাকে নিয়ে আর আমাদের নিয়ে ভ্যাস্পায় চড়ে ঘুরা তোমার অভ্যাস ছিল। শিশু পার্কে, সোরওয়ার্দি উদ্যান,চিড়িয়াখানা নইলে কারো বাসায় আড্ডা আর যেদিন কোথাও যেতে না আমাদের বাসায় তোমার প্রিয় মানুষদের ডেকে কি যে খাওয়া খাওয়ি ধুম-ধারাক্কা। আর আত তোমার চাপাবাজি গাল-গপ্পো আর পানের ছড়াছড়ি। তুমি বদরাগী কিংবা ক্যাটক্যাট্টা লোক দেখতে পারতে না,যেদিন কোন মানুষ এমন অভিযোগ নিয়ে আহাজারি লাগাত এক মহা-ঔষধ দিতে তাদের কাচা সুপারি দিয়ে পান।

কেল্লাফটে কিছুক্ষন পর লোকটি ঘামতে ঘামতে অস্থির। আর বলতে তুমি যে কাচা সুপারি ব্রেনের জন্য অনেক ভাল। আমরা বাসা ভাড়া নিতাম কারন তোমার অফিসের বেতনের বেশিরভাগতো সব মানুষের সেবা করতে করতেই যেত। তো বাড়ির সামনে ধুন্দল গাছ, সজনে গাছ কিভাবে যে সজনে আর ধুন্দল পাড়তে তুমি। এক্কেবারে লাঠি বানিয়ে তার নিচে পলিথিন দিয়ে... পেশাদার চোর ছিলে।

চাচারা দিনাজপুর থেকে আসলে তোমার দুষ্টামির বাহাদুরির প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। বন্ধুকে সাথে নিয়ে তারই ছাগল চুরি করে খেয়েছ কিংবার আরেক বন্ধুর হাসের মাংস খেয়েছ চুরি করে এইগুলি সব তামাসা। ক্লাশ এইট পর্যন্ত টানা ক্লাশে ফাস্ট বয় ছিলে, গান গাইতে কবিতা আবৃতি করতে, ছবি আঁকতে , পাড়ার সব ভাবীদের সাথে রান্না সেলাই কি না করতে নাহলে বন্ধুদের সাথে মাছ ধরা আমাদের আম/লিচু -বাগানে ঘোরাঘুরি। পাকিস্তান আমলে দিনাজপুর জেলা থেকে তোমার ক্রিকেটের দল বুঝি পাকিস্তান ফার্স্ট লীগে সেমিফাইনালে উঠেছিলে। তুমি নাকি খুব ভাল ফার্স্ট বোলার ছিলে।

খেলতে গিয়েই তো নাকটা ভেঙ্গেছিলে। তোমার আব্বা ছিলেন ঠসা ডাক্তার। বেশি আদর করতেন। আবার সব ভাইবোনের ছোট। সবাই তোমাকে আদর দিয়ে ভালই ত্যাদর বানিয়েছিল।

দাদা বুদ্ধিজীবি আর দাদী ছিলেন রায়গঞ্জ হাই স্কুলের টিচার। তাদের নিয়ে আরেকদিন লিখব। তারপর আর পড়তে চাইতে না। শুধু ছবি আঁকতে। তাই তো তোমাকে সবাই মিলে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল।

সেজবাবু তখন ঢাকা মেডিকেলের ডাঃ। তোমাকে যত্ন করে পড়াতেন। তুমি কি কাউকে তোয়াক্কা করতে মেজবাবু শওকত আলীর বন্ধুদের তুমি বন্ধু বানিয়ে নিলে। তাদের লেখা পড়ে তুমি প্রচ্ছদের কাজ শুরু করে দিলে। তোমার প্রথম প্রচ্ছদ ছিল লাল-সালুর প্রচ্ছদ সৈ্যদ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস।

বার টাকা পেয়েছিলে। তোমার এই যাত্রা থেমে থাকেনি। শাহবুদ্দিন চাচার ফ্রান্সের স্ক্ললারশিপটা পেয়ে গেলেন,ওনার একাডেমিকের থেকে আগের রেকর্ড ভাল দেখে তিনি বাগিয়ে নিলেন। তোমার একাডেমিক রেজ়াল্ট স্বত্তেও তোমার হল যুগোস্লাভিয়ায় ফুল স্ক্ললারশিপ। গেলে না তুমি।

আম্মার সাথে তোমার সাত বছরের প্রেম চলছে। যদি অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেয়। নির্ঘাত মারা যাবে তুমি। মাষ্টারস করছে আম্মা, বয়স বেড়ে যাচ্ছে । তুমি বই, তার গল্পের চিত্রপট এইসব থেকেই জাতীয় গ্রন্থ-কেন্দ্রে ৩০০ টাকা মাইনের চাকুরী নিয়ে আম্মাকে দেখালে।

আম্মা বাসার মানুষের সাথে যুদ্ধ করে তোমাকে বিয়ে করল। মামারা বলল,”টাকা না থাকলে প্রেম জানালা দিয়ে পালাবে। “ সত্যি তোমাদের ৩৩/৩৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে আমি তোমাদেরকে ভালই দেখেছি। তুমিই বুঝি এমন যাদু দিয়ে রাখতে যে আম্মা টাকা-পয়সা নিয়ে ভাবেনি। সে এক গুনি আর ভাল লোককে বিয়ে করেছে।

আম্মার বিয়ের শর্ত ছিল “আব্বা কোনদিন হারাম টাকা আনতে পারবে না, অফিসে ঘুষ-দূর্নীতি করবে না,আরেকটি ছিল রাজনীতিতে জরাবে না। “ ভাবি কি সততা আর মিষ্টি ভালবাসা ছিল সেই যুগে। এই সাত বছরে শুধুই নাকি তোমরা গল্প করেছ। হাতও নাকি ধরোনি। শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়।

তোমাদের বিয়েতে তাই শামসুর রহমান আশির্বাদ লিখেছিলেন যা ঐ সময়কার পত্রিকায় ছাপিয়েছিল। আমাদের নিয়েও তোমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। তাই আমাদেরকে অতি- তিথি অতিথি মর্যাদায় রাখতে। আমাকে সব সমইয় বলতে শ্বাশুড়ি আপনার জন্য আমি কি খেদমত করতে পারি। আম্মা একটু শাসন করলে বলতে,”তোমার আম্মা তো।

একটু খাতির যত্ন কর আগের জন্মে ঠিকমত কর নাই। “ আমাকে বলত “ কি আপনি আগের জন্মে আপনার মেয়েকে ভাল করে কিছু শিক্ষা টিক্ষা দেন নাই। ” আর অতিকে আব্বা বলতে”ঠসা ডাক্তার” কি করবেন। আম্মাও চান্স পাইলে অতিকে বলত “কি তোমার ছেলেকে শিক্ষা-টিক্ষা দাও নাই। খালি পাগলামি-ছাগলামি করে।

“ জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র। সবে শুরু হয়েছে। বিল্ডিংয়ের কাজ আর কেন্দ্রটির কাজের অবকাঠামো পরিকল্পনা সবই সরদার জইয়নুদ্দিন আর তুমি আর কিছু শুরুর দিকের লোকেরা করেছিল। চলল তোমাদের জেলায় জেলায় বই সম্প্রসারন, লাইব্রেরী স্থাপন , বই পাবলিকেশন ও ডিজাইনিং এর উপর শর্ট কোর্স করতে তুমি কত বিদেশে গেলে,জাপান, চীন, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, জার্মানী মোট ২৪টি দেশ। তোমার বিখ্যাত ভেস্পায় চড়ে বাংলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন আর যাদুঘর থেকে শুরু করে সব জায়গার মেলার সাজ-সজ্জ্বার কন্ট্রাক্ট নিতে তুমি।

তোমার বন্ধুর অভাব নেই। শিল্পী-সাহিত্যিক,পলিটিশিয়ান, বিদেশী সব। ছোট-বড় সবার সাথে মিশতে পার বলে কি যে পছন্দ করত লোকে। মাঝখানে মনে পড়ে মানিক চাচা কম্যুনিষ্ট পার্টির ওরা আমাদের বাসায় গেড়া বাধত। পুলিশ যেন খুজে না পায় সব আমাদের বাসায় লুকাতো।

ওদের সব ডিজাইন তুমি করে দিতে। যখন মানিক চাচার প্রান শংকটাপন্ন কিভাবে জানি তোমরা সকলে মিলে তাকে মার্কিন মুল্লুকে পাঠিয়ে দিলে। এই মানিক চাচাই ২০ বছর পর দেশে এসে যখন দেখল তুমি ক্যান্সারে ভুগছ তখন যাদুঘরের নিরু সামসুন্নাহারের সাথে মিলে একটা শিল্পী- সাহিত্যিক ফাণ্ড খুললেন। মাত্র নমাস তুমি যুদ্ধ করলে সব রাজার মত তোমার চিকিৎসা হল। তোমার চিকিৎসার ফান্ডে আজও বুঝি ২- ৩ লাক্ষ টাকা পড়ে আছে।

আরও পীর ছিলেন তাদের সাথেও তোমার কত খাতির। উনাদের ইসলামিক বইয়ের প্রচ্ছদ করেছ, ইসলামিক কত বইয়ের প্রচ্ছেদ করেছ তুমি অথচ তুমি নামাজ পড়তে না। কর্মই জীবন-মৃত্যুর পর আর মানুষের কিছুই থাকে না – নাউজুবিল্লাহ এই মতে ছিলে। কিন্তু রোজার মাসে কি উৎসাহ করেই না আমাদের সেহেরী আর ইফতার পাকাতে। আর দেয়ালী করতেও তুমি খুব পছন্দ করতে।

সারা ঘর বাতি নিভিয়ে মোমবাতি আর প্রদীপ দিয়ে বারান্দায় আলো জ্বলত আর আতশনাজি আর তারাবাত্তি নিয়ে আসতে। মাংস আর রান্না ভুরিভোজ। আমি গাইতাম” হিমের রাতে ঐ গগনের দ্বীপগুলিরে “। ঈদ মানেই উল্লাস আর এটা বুঝি তোমার থেকে আর কেউ জানত না। তোমাকে কে না ভালবাসত বল।

যে পছন্দ করত না তাকেও এমন কিসব যাদু দেখাতে যে তোমার ভক্ত হয়ে যেত। ২০০০ এ জেনেভার আজীবন সম্মাননা পদকটি নিতে গেলে না। ইন্ডিয়ায় দিচ্ছিল। আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। তাই , জানায়ো নি যে তুমি এই পদক পেয়েছিলে।

তুমি আর ফর্মটা পূরন করনি। আজো ঐ ফরম র‌ইয়ে গিয়েছে। জার্মানী থেকে এশিয়া থেকে সর্বপ্রথম চিত্রশিল্পী হিসেবে যে পুরস্কার পেয়েছিলে বাংলা একাডেমী/সরকার আজও আয়োজন করে তোমাকে দেয়নি। জার্মানীরা কত পছন্দ করতে তোমাকে। তোমাকে ওরা নাগরিত্ব দিয়েছিল।

জাপানীরাও। দেশ দেশ করে থাকলে না। বাংলাদেশের দলিলপত্রের প্রচ্ছদকারক, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের অবকাঠামোর অন্যতম পরিকল্পক আর বিবিধ গল্প-উপন্যাস আর কবিতার বইয়ের প্রচ্ছদকারক(বেশিরভাগ বাংলা একাডেমীর)। বই মেলার প্রসারক আর বহু মানুষের হৃদয়ে আঁকা মিষ্টি সুখ-স্মৃতির রোউফ ভাই তুমি আজ মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছ। আজ তোমার এক বছর পূর্ন হল তুমি এই মিষ্টি স্মৃতিগুলি রেখে চলে গিয়েছ।

তোমার চলে যাবার পর তোমার আরো বাবুরা (যাদেরকে নিজের ছেলেমেয়ের মত দেখেছ)যাদের জন্য করেছ তারা এসে অস্থির ছিল। আর কাকে কবে ২০,৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলে তারা ঐ টাকা দিয়ে গিয়েছে। আজ আমার অনেক কষ্ট হবার কথা , কিন্তু কি জান আমি অনেক ভাল আছি কারন আমার আব্বাকে নিয়ে কেউ বলেনি এই লোকটা হারাম খেয়েছে বা কারো সর্বনাশ করেছে, সবাই এক বাক্যে বলেছে শিশুর মত নিস্পাপ ছিলে তুমি আর ছিলে খুব অভিমানী। তুমি ভাল থেকো আব্বা, আমরা তোমাকে নিয়ে কাঁদছি না, শুন্যতা আছে অনেক, সব জায়গা শুন্য কিন্তু কেন জানি এক বিস্ময় ভাললাগা আছে তোমায় ঘিরে। এই সুখস্মৃতি নিয়েই আমরা বেঁচে আছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.