আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিকে দেখে এলাম

এক দেশে এক রাজা ছিলোর দেশে যাব । অগ্রন্থিত কবিতা কবিকে দেখে এলাম দেখে এলাম কবিকে আনন্দের কবিতা একাদিকক্রমে লিখে চলেছে তবুও পয়সা রোজগার করার দরকার আছে তার কেউ উইল করে কিছু রেখে যায় নি। চাকরি নেই,ব্যবসার মারপ্যাঁচ বোঝে না সে শেয়ার মার্কেটে নামলে কেমন হয় জিজ্ঞেস করলে আমাকে লাইফ ইনশিওরেন্সের এজেন্সি নিলে হয় না শুধায় লটারির টিকেট কিনলে কেমন হয়? মাইনাস এইট লেন্সের ভিকর আধমরা চুনো মাছের মতো দুটো চোখ; বেঁচে আছে !না মরে? কোনোদিন যেৌবনের স্বদ পেয়েছিলো? পায়নি মরুশ্বেত দুটো চুনো মাছ চোখের বদলে কাজ করছে যেন। (কবি,অগ্রন্থিত) আলোচ্য কবিতাটি কবির ব্যর্থ জীবনের চিত্র। তিনি নানাভাবে সচ্ছলতার পথ খুজেঁছেন;কিন্তু কোন পথ ধরে সামনে এগিয়ে যাবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি।

সবার কাছে যা সহজ কবির কাছে তা ধাঁধাঁ, সকল কাজে বাধাঁ। সামান্য অধ্যাপনার চাকুরি করেছেন বারবার চাকরিচ্যুত হয়েছেন,এক বন্ধুর সাথে তুচ্ছ ব্যবসাও করেছেন,কিন্তু তা আর হয়ে উঠেন্ প্রতিনিয়তই তিনি উপেক্ষিত হয়েছেন। এমনকি তাঁর সহযোগী অধ্যাপকরাও তাকে নত্য বিদ্রোপ করতেন। তার উপর আর্থিক অসচ্ছলতা তাকে অস্থির করে রেখে ছিলো। অস্বীকৃতি অবহেলা উৎপীড়ন,অনিশ্চতা,নিত্যনৈমিত্তিক দাম্পত্য কলহ লেথক হিসেবে পদে পদে অপমান কবিকে আত্নহনের দিকে ঠেলে দিয়ে ছিলো।

যে কবি জীবিত অবস্থায় প্রার্থনায় পাঁচশো টাকা পাননি মৃত্যুর পর তাঁর নামে পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষনা করে। আর যারা জীবনানন্দকে নানা কষাঘাতে জর্জরিত করেছিলেন তারাই আবার কবির মৃত্যুর পর কবির পক্ষে কথা বলতে লাগলো। এ সব বিচিত্র নাটকের অন্যতম নায়ক ছিলেন সজনী কান্ত দাশ। আসলে যারা রবীন্দ্রনাথকে সারা জীবন পূজো করেছেন তারা জীবনানন্দকে দেখতেই পারতেন না। সত্যি ভাবতে অবাক লাগে যাকে আজ আমরা আধুনিক কবি বলি তার প্রতি কেন এ অবিচার করা হলো।

হতাশাগ্রস্থ কবি প্রতিনিয়ত এথেকে মুক্তির পথ খুজেঁছেন; ভেবেছেন তাঁর স্ত্রী লাবন্য দাশ এর কাছে আশার বাণী শুনতে পাবেন,ক্তিু হায়!সংসার জীবনেও কবিকে নানা কথা শুনতে হয়েছে। যার ফলে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। এর কারণ আর্থিক অসচ্ছলতা। কবি মাঝে মাঝে কর্মহীন হয়ে পড়তেন যার ফলে লাবণ্য দাশকে শিক্ষিকার জীবিকা গ্রহণ করতে হয়েছিলো। কবির স্ত্রী চাইতেন কবি চাকরি করুক কিন্তু কবি নিজেকে লেখালেখির মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাইতেন।

কবির একটি উক্তি এমন‌''কি নিদারুণ সময়ের অপচয়,বড়ো ক্ষতি হয়''। আর একটু নিরালা পরিবেশের জন্যে হাহাকার করেছেন। জীবনানন্দ ছিলেন সময়চেতনার আধুনিক মানসিকতার কবি। বাঙালি পাঠক সমাজে বিড়ম্বিত কবি,একক ও নির্জরতম কবি;আধুনিক বাংলা কবিতায় যার সার্থক মূল্যায়ন আজো হয়নি...। আজো হয়নি...।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।