আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্যে আরো কতগুলো দাঙ্গার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে?

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি জন্মলগ্ন থেকেই সন্ত্রাস আর দাঙ্গা হাঙ্গামার সাথে জড়িত জামায়াতে ইসলামী নামের সংগঠনটি। লাহোরের কাদিয়ানী দাংগা থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এরা নিজেদের চেহারা দেখিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অখন্ডতাকে ইসলাম রক্ষার সাথে মিশিয়ে গনহত্যায় অংশ নিয়েছে। জামায়াত একটা সংগঠিত ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন। এরা গনতান্ত্রিক রাজনীতির চাইতে ক্যাডার ভিত্তির শক্তি প্রদর্শনেই বেশী পারদর্শী।

যা আমার দেখেছি সময় সময়। বিগত জোট সরকারের নির্বাচনের পর জামায়াত শিবির দেশটাকে একটা অস্থির জনপদে রূপান্তরিত করেছিলো। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের জীবনক বিপন্ন করে তুলেছিলো। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো - এই সংগঠিত সন্ত্রাসী শক্তি সময় সুযোগের অপেক্ষা করেই সুযোগ পেলেই এরা ধর্মের নামে দাঙ্গা সৃষ্টি করে মানুষকে সন্ত্রস্ত করে। এদের লক্ষ্য হলো সংখ্যা লঘু।

যদি ইসলাম দাঙ্গাক হত্যার চেয়ে গুরুতর অপরাধ হিসাবে গন্য করে - যেহেতু জামায়াতের ইসলামী ইসলামকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে - সেহেতু এরা ইসলামের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করতে অভ্যস্থ। পত্রিকার খবরে যা দেখা যাচ্ছে - সাতক্ষীরায় জামায়াত পরিকল্পিত ভাবে দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে এবং অগ্নি সংযোগ করে জনপদে সন্ত্রাস করেছে। এরা সংঘবন্ধ ভাবে ইসলামকে ব্যবহার করে ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে। তাই প্রতিটি মুসলমানকে জামায়াতের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জরুরী। সরকারের সতর্ক নজর থাকার পরও এরা এই সময়ে যদি এই ধরনের দাঙ্গা লাগানোর মতো সাহস পায় - তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপির মিত্র হিসাবে ক্ষমতায় গেলে আরো কতগুলো গ্রাম আর বাড়ীতে আগুন জ্বলবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আর সরকারের উচিত সাতক্ষীরার ঘটনাটি অত্যান্ত গুরুত্বের বিবেচনায় নিয়ে সাথে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জনগনে প্রকৃত ঘটনা জানানো এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা। এই কাজটা জরুরী এই জন্যে যেন ভবিষ্যতে কোন গোষ্ঠী ধর্মের নামে দাঙ্গা তৈরী করে - বাড়ী ঘরে আগুন লাগিয়ে সন্ত্রাস করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে। যদি তদন্তে সুষ্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হয় যে - জামায়াতে ইসলামী এই দাঙ্গার সাথে জড়িত - এদের পরিকল্পনায় এবং অংশ গ্রহনে দাঙ্গা হয়েছে - তাহলে জেএমবি, হরকতুল জেহাদের মতো জামায়াতকেই নিষিদ্ধ করা উচিত। আরো একটা ঘটনা ঘটার আগেই সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা। সময় মতো একটা সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে এক সময় হয়তো বাংলাদেশও পাকিস্তানের মতো একটা মরনপুরীতে রূপান্তরিত হবে - কারন জামায়াত এখনও পাকিস্তানের প্রেতাত্বা তাদের মধ্যে ধরে রেখেছে।

এদের হেড অফিস এখনও লাহোরে। ধর্মকে পুঁজি করে সাধারন জনগনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরী করে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হওয়ার আগেই গনতন্ত্রের বিষফোঁড়া জামায়াতকে দমন করা উচিত। খবরের বিস্তারিত দেখুন: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.