আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দান করা হোক।

জামায়াতকে ইসলাম রক্ষা করার জন্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলাম রক্ষা করার জন্য অন্য কোনো দলের চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু জামায়াত নয়। কিংবা জামায়াতই থাকুক। তবে তাদের সংশোধন আনতে হবে।

বড় রকমের সংশোধন। এক সেট লোভী মানুষ দিয়ে শুরু থেকেই পরিচালিত দলটি। আমরা সাধারণ জনগণ। যারা আমাদের পাশে থাকবে তাদেরকে সমর্থন দেবো। কিন্তু পাশে থাকার অর্থ যদি হয় পরবর্তীতে একটা বড় ক্ষতি করব।

তাহলে আর কী করার থাকে? আমন্ত্রণ জানাই। আপনার জামায়াত সম্পর্কে জানুন। চিন্তাভাবনা করুণ। তারপর যদি মনে হয় তারা ভালো। আমার আর কোনো কিছু বলার থাকবে না।

তারা ধর্ম প্রতিষ্ঠা করছে কিংবা করবে এমন ভেবে এই দলে যোগ দেওয়ার কোনো মানে হয় না। জানুন। তারা আদৌ ধর্মের জন্য কাজ করেছিল কিংবা করছে কিনা? আমার তো মনে হয় দেশের মানুষকে রাজী করিয়ে তাদেরকে কয়েকবছরের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিই। ‘নে বাবা তোরা চালা দেখি কী করিস?’ কিন্তু ভয় হয়। কয়েকবছর নয়, কয়েকমাসের জন্যও তাদের প্রতি বিশ্বাস নেই।

কী নিষ্ঠুরভাবে ওরা মাত্র দুইদিনের মাথায় এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল! সে সময় তারা ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তারা? যদি সেসময় তারা ভুল না হতো তাহলে সত্যিই আজ তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করত। ওরা কিছুদিন আগে বিদেশী মিডিয়ায় আশ্রয় খুঁজেছে। বিবিসি, রয়টার্সসহ সকল তথাকথিত আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিশ্বে ইসলাম প্রসারের জন্য কাজ করছে বলে তারা হয়ত বিশ্বাস করে। ওরা এখন তাদের সমর্থককে মন ভুলায় এই বলে যে তারা ক্ষমতায় যাবে আগামীতে।

আগামী দশ-বছরের মধ্যে তারা লিড দেবে দেশকে। ব্যাপারটি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ এক আযাজিল শয়তান পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এরা কেন পারবে না? আগামী ভবিষ্যত তো শয়তানদের জন্য। প্রতারকদের জন্য।

কাউকে ভোলাবার জন্য ন্যূনতম কাজ তারা করে ফেলেছে। জামায়াত যদি সত্যিকার আদর্শভিত্তিক দল হত তাহলে তারা পারত না এভাবে ভবিষ্যত বানী করতে। যে তারা কয়েকবছর পরই ক্ষমতায় আসছে। একটা ছোট দলকে ক্ষমতায় যেতে কতটা জনগণের কাছে যেতে হয় তারা কি সেটা জানে? তারা তো জনগণের ভালো চায় না। তাই বিকল্প রাস্তা খুঁজছে।

প্রশাসন দখল, আইন ও বিচার, সেনাবাহিনীতে তাদের লোক প্রবেশ করানো, এমনকি শুনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও তাদের লোক আছে। আর খালেদা জিয়ার আশেপাশেই তো ওরা ঘুরে বেড়ায়। এসবই প্রমাণ করে তারা আদর্শে বিশ্বাস করে না। তারা দখল করতে চায়। আমরা আবারও শিকার হতে পারি তাদের দ্বারা।

এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর পৃথিবীতে আমরাই একটা জাতি যারা বারবার শিকার হতে অভ্যস্ত। কারণ আমরা ইতিহাস জানি না। ইতিহাস চর্চা করি না। সরকারের একটা পলিসি থাকে জনগণকে সচেতন না করার? আসল শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করার কৌশল।

এটা একটা নষ্ট কৌশল। এটার ফাঁদে তারাই পড়ে যারা এটা করে। আমি নিশ্চিত বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বড় বড় দলগুলো এই ফাঁদে পড়বে। এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করাও সহজ নয়। কারণ যারা এদেশের দেশপ্রেমিক দল তারাই তাদের লালন করেছে।

তাই চাচ্ছি যে জামায়াত একবার ক্ষমতায় আসুক। কিছু অন্ধ সমর্থক আছে। তাদের দৃষ্টি ফিরুক। হেরেছি, হারছি প্রতিনিয়তই হারছি। আরো একবার হারি।

আসুন আমরা তাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.