আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের হিন্দু সমাজ অচিরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে-

সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির আংশিক বা সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ঘরবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ, খুন, লুণ্ঠন, ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এ তাণ্ডব কিছুটা কমে আসতেই সরকার দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৩ শিরোনামে হিন্দু শাস্ত্র ও স্বার্থবিরোধী আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে । ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত দেবোত্তর সম্পত্তি সরকারীকরণের ষড়যন্ত্র করেছে একটি কুচক্রী মহল।

এ জন্য সরকার সনাতন ধর্মে বিজ্ঞ ও পণ্ডিত লোকদের বাদ দিয়ে আমলানির্ভর কমিটি দিয়ে দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৩ করে। এর ফলে দেশের বেশির ভাগ মঠ-মন্দির, আখড়া ও রথখোলার মতো দেবোত্তর সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের ৩৯ ও ৪০ ধারা অনুযায়ী সরকার হবে মঠ-মন্দির ও দেবালয়ের মালিক। সেবায়েত, সাধু, মোহন্ত, ব্রহ্মচারী ও সন্ন্যাসীরা হবেন বেতনভুক্ত কর্মচারী। ইতিপূর্বে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পত্তি দখল হয়ে গেছে।

নতুন আইন তাদের মঠ, মন্দির, দেবালয় কেড়ে নেবে। ------------------------------------------------------------------------------------- “আইনের ছয় ও সাত ধারা মোতাবেক দেবোত্তর বোর্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির ১৭ সদস্যের মধ্যে ১২ জন হবেন বিশিষ্ট হিন্দু নাগরিক। আমরা এ ব্যাপারে অতি মাত্রায় আতঙ্কিত। কারণ, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুযায়ী ঐ ১২ জন ব্যক্তির কোনো নির্দিষ্ট যোগ্যতা অথবা ধর্মীয় ও আধ্যাত্নিকতার কোনো স্তর নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। ফলে দলীয় ভাগবাটোয়ারায় পরে এ দেশের মন্দিরগুলো তাদের পবিত্রতা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য হারিয়ে হানাহানির রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত হবে এবং আধ্যাত্মিকতাসহ দেশের হিন্দু সমাজ অচিরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

” ৪/৬/২০১৩ তাং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী সভায় বলেন, আইনটি চালু হলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা জানান, দেবোত্তর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় অবহেলার জন্য ৫০০০ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দেবোত্তর সম্পত্তির ব্যাপারে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - ----------------------------------(ক্ষমতার প্রভাবে প্রধান মন্ত্রী নিজেই হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করার আইন করলেন) অনেক প্রতিবাদ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর কৃত আবেদন উপেক্ষা করে আইন হল।

দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দু সম্পত্তিনা সরকারি সম্পত্তি। মহান সংসদে বিরোধী দলীয় সাংসদরা হিন্দুদের কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখছে। সরকার ক্ষমতায় থেকে কোন প্রতিবাদ করেনা। উপেক্ষিত, বেবিচারের শিকার, হিন্দু জাতীগুষ্টির কথা মানবাধীকারের চেয়ারম্যান এম.রহমান বলেছিলেন আগামী ২০বছরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে হিন্দু সম্প্রদায়। দেবোত্তর সম্পত্তি আইন হিন্দু সম্প্রদায় বিলুপ্তিকে আরো তরান্নিত করবে।

সম্প্রতি সাইদির রায়ের পর যে ধ্বংশ তান্ডব বাংলাদেশে ঘটল তার বিচার প্রক্রিয়াকরণে কোন পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দেখা যায়নি কেন ? ধ্বংশযোগ্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হয়নি কেন? হিন্দু জাতীগুষ্টি এ দেশের কিছুনা- এসব আলামত কি সেই ইঙ্গিত বহন করেনা ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.