আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি অন্যরকম জম্বি সিনেমা : ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ !!

I wanna love someone who is not popular but unsafe! হলিউডের একটা বড় অংশ দখল করে আছে জম্বি সিনেমা। এ বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ তার ই একটা নির্দশন। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ সিনেমাটার বিষয়বস্তু হল মানুষদের উপর জম্বিদের আগ্রাসন। জম্বি মুভির সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হল জম্বিদের চলাফেরা। যারা নব্বইয়ের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের জম্বি মুভি নিয়মিত দেখে এসেছেন, তারা অনেকেই হয়তো এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত।

একদল পচেগলে যাওয়া মানুষ প্রচ- আড়ষ্ট ভঙ্গিতে হেলতে দুলতে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর আশপাশের মানুষদের উপর হামলা করছে, তাদের মাংস খাচ্ছে। জম্বিদের এই পুরনো ধাঁচের চলাফেরার সময়টুকুতে আপনি আপনার আশপাশের ছোটখাটো কাজ সেরে ফেলতে পারবেন। ব্র্যাড পিট অভিনীত ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’-র সুবিধাটা হল, এটি এই বিরক্তিকর জম্বি ধারণা থেকে কিছুটা হলেও সরে আসতে পেরেছে। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ মূলত ২০০৬ সালে ম্যাক্স ব্রুক্সের একই শিরোনামে লেখা অ্যাপোকালিপ্টিক হরর উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। যদিও অনেক সমালোচক অভিযোগ করেছেন, মূল প্রসঙ্গ ছাড়া উপন্যাসের সঙ্গে আর তেমন কোনো মিল নেই সিনেমাটির।

কিন্তু ব্র্যাড পিটের প্রযোজনা সংস্থা, ‘প্ল্যান-বি’কে ২০০৬ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর ‘আপ্পিয়ান ওয়ে’র সঙ্গে নিলাম-যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি : অ্যান ওরাল হিস্ট্রি অফ জম্বি ওয়ার’-এর মুভিস্বত্ব পেতে। অবশেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর দশ লাখ ডলারের বিনিময়ে ‘প্ল্যান-বি’ লাভ করে এটির স্বত্ব। অবশ্য ব্রুক্সের সঙ্গে পিটের চুক্তি হয় এমনভাবে যে লেখকের তেমন কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। ম্যাক্স ব্রুক্স অবশ্য স্বীকার করেছেন এক পর্যায়ে তিনি স্ক্রিপ্ট পড়ার অনুমতি পেয়েছেন। সিনেমাটির পরিচালক মার্ক ফর্স্টার অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন এটি তৈরির সময়।

শুধু চিত্রনাট্যই বদলানো হয় চারবার চারজন লেখকের সাহায্য নিয়ে। প্ল্যান বি প্রথমে দায়িত্ব দেয় ‘ব্যাবিলন ফাইভ’-এর স্রষ্টা জে মাইকেল স্ট্র্যাজনেস্কিকে, কিন্তু পরে দেখা যায়, তার লেখা চিত্রনাট্যে ব্রুক্সের উপন্যাসের প্রভাব অনেক বেশি। পরিচালক মার্ক চাচ্ছিলেন, একটি বড় ধরনের অ্যাকশন মুভি বানাতে যেখানে অ্যাকশনটাই প্রধান বিবেচিত হবে, জম্বিদের হররের তুলনায়। আর তাই, ২০০৮-এ সিনেমাটির কাহিনির প্রাথমিক খসড়া ইন্টারনেটে প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরও মার্ক চিত্রনাট্যটি বাতিল করে দেন। নিয়োগ দেন ‘লায়ন্স ফর ল্যাম্বস’ এবং ‘ডি কিংডম’খ্যাত ম্যাথু মাইকেল কারনাহানকে।

সিনেমার মূল চিত্রনাট্যটি কারনাহানের লেখা সত্ত্বেও ব্র্যাড পিটের অনুরোধে ছবির সমাপ্তিটুকু পরিবর্তন করে লেখানো হয় ডেমন লিন্ডলফকে দিয়ে। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি সিনেমার গল্প জাতিসংঘের কর্মী গ্যারি লেনকে (পিট) নিয়ে যে তার পরিবারকে রেখে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়ায় জম্বিদের হাত থেকে মানবজাতির ধ্বংস এড়াতে। গ্যারি লেন কি পারবে এই অল্পসময়ে পৃথিবীকে বাঁচাতে, নাকি তার আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে সবকিছু? উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে মুভির শেষ পর্যন্ত (স্পয়লার অ্যালার্ট : অধিকাংশ দর্শকের মতে ছবির সমাপ্তি চিত্তাকর্ষক!)। গ্যারি লেন চরিত্রে ব্রাড পিট অসাধারণ, প্রায় বিশ্বাসযোগ্য এবং এটিই সম্ভবত ছবির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ব্র্যাডের অসাধারণ অভিনয় না থাকলে সম্ভবত এটি শুধুই আরেকটি রহস্য-উন্মোচক, সাই-ফাই জম্বি থ্রিলার হিসেবে বিবেচিত হত।

অন্যান্য চরিত্রে আছেন মিরেইলি এনোস (কারিন লেন), আবিগালি হারগ্রভ (রাচেল লেন) এবং জেমস বাডজ দেল (ক্যাপ্টেন স্পেকি) এবং একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে ব্র্যাড-অ্যাঞ্জেলিনার দত্তক সন্তান ম্যাডক্সকেও। স্পেশাল এফেক্ট প্রশংসনীয়, দ্রুতগতির কাহিনি দর্শক ধরে রাখতে সমর্থ, রোমহর্ষক সব অ্যাকশন দৃশ্য-- সবমিলিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জি’ একটি প্রথাগত পপকর্ন মুভি যা অবসরকে বিনোদিত করার জন্য এককথায় আদর্শ। এখানে উক্ত মুভিটির একটি ভিডিও ট্রেইলার এর লিং দেওয়া হল। http://www.youtube.com/watch?v=HcwTxRuq-uk সূএ: bangla.bdnews24  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.