আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ১৩ ধাপ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে....

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ আমরা হুজুগে এশিয়ান। যেটা ধরে আছি সেটাকে শ্রেষ্ঠ মনে করি। যেটা পালন করি সেটাকেই সঠিক মনে করি। যাকে ভালবাসি তাকেই সৎ মনে করি।

বছরে ২ বার কালচার নিয়ে লাফালাফি করি, নিজ কালচার ছেড়ে অন্যকালচার গ্রহণ করাকে আধুনিক মনে করি। কিন্তু সব ক্ষেত্রে আবার ভালকে ফলো করি না, যেটা সহজ শুধু সে ক্ষেত্রেই ফলো করি। যেমন পড়া লেখায় আমরা আমেরিকানদের ফলো করতে পারি না কিন্তু টাকা কামাইর ক্ষেত্রে তাদের ফলো করি। আমরা সারা বছর খেলাধুলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকি অথচ অলিম্পিক গেম্স থেকে সোনা আনতে পারিনা একটাও। আমি শুধু আমাদের কথা বলছি না, বলছি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের কথা।

আমরা এই তিনদেশে পৃথিবীর প্রায় তিন ভাগের একভাগ সদস্য বসবাস করি। সে ক্ষেত্রে আমাদের অন্তত অলিম্পিকের তিন ভাগের একভাগ সোনা জেতা উচিত, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা ৩০ ভাগের একভাগ সোনাও জিততে পারি না। কোন জরিপ জানিনা তবে আমার মনে হয় বিশ্বের অর্ধেক চাউল আমরাই খাই। তাহলে কী চাউলে শক্তি নাই???? বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। প্রতি চার বছর পরপর হয় বিশ্বকাপ।

অথচ এই আয়োজনে প্রতিদন্দিতা করার স্বপ্ন দেখাও পাপ ক্রেকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের। আমার মনে হয় না যে আগামি ১০০ বছরে এই তিন দেশের কোন দেশ চুরান্ত পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। কেন কেন কেন কেন কেন কেন কেন ?????????? তবে কি, না সাদা না কালো এমন রং এর মানুষদের হাড়ের ভিতর মজ্জা নেই?? আজ ফিফার নতুন র‌্যাংকিং প্রকাশ হলো। প্রতি পেইজে ৩০টি দেশের নাম সহ সাত পেজে ২০৫টি দেশের তালিকা। এতে বাংলাদেশ, ভারতের সিরিয়াল খুজতে গিয়ে ক্লিক করতে হলো ৬ নম্বর পেজে।

আর পাকিস্তানের রোল নম্বর মিলল গিয়ে সাতের মধ্যে সাত নম্বর পেজে, মানে উল্টো দিক থেকে প্রথম পেজে। - বাংলাদেশ: > ১৫২। - ভারত > ১৬৫। (ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ২বার) - পাকিস্তান> ১৮২। (ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন) - শ্রিলন্কা> ১৮১।

(ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন) - মালদ্বীপ> ১৬৪। - ইন্দোনেশিয়া> ১৫১। - মালয়েশিয়া> ১৫৬। Click This Link বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট লীগ (আওয়ামিলীগ বাদে) ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ও স্পানিশ লীগ। এই লিগ গুলোতে দুর্ভিক্ষ কবলিত আফ্রিকা অন্চলের দেশ সমুহ হতে প্রচুর খেলোয়াড় খেলে থাকে, আমাদের অন্চল থেকে কয়জন খেলে সেটা বের করতে অনুবিক্ষন যন্ত্রেও কাজ হবে না।

(কারণ একটাও খেলে না) আমরা পাইছি এক ক্রিকেট। সালার পাঁচ দিন ধরে দৌড়াদৌড়ি করে ফলাফল ড্র। প্ল্যান অনুযায়ী খেলতে গিয়ে হটাৎ বৃষ্টি, খেলা বন্ধ, সব ঠিকঠাক থাকা সত্বেও আলো স্বল্পতার কারনে ম্যাচ হার। আবার একজন স্পেশালিষ্ট অপেনিং ব্যাটসম্যান ১ম বলে আউট হলে সারাদিনের খেলায় তার আর কোন কাজই থাকেনা। আসলে ক্রেকেট খেলায় যুক্তির চেয়ে অযৌক্তিক বিষয় কম নয়।

সুতুরাং ক্রিকেট খেলায় কিছু পরিবর্তন চাই। প্রত্যেক খেলোয়ারকে পাঁচ ওভার করে ব্যাট ও পাঁচ ওভার করে বল করতে দিতে হবে....আউট হৈলেও সমস্যা নাই শুধু ১০ রান মাইনাচ। এতে করে দলের আসল শক্তি মাপা সম্ভব হবে,, আফনেরা একমত হলে হাত তুলেন... ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.