আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিতো আওয়ামিলীগের কোন দোষ দেখিনা।

আজ অফিসে আসার পথে গাড়ির এক কোনে চুপ করে বসে ছিলাম, চোখে তখনও ঘুমের রেশ কাটেনি, হরতালের দিন আমাদের অফিসের গাড়ি ছাড়ে সকাল ৫ টায়, অফিসের জন্য প্রস্তত হতে হয় সেই রাত ৪টা থেকে। আমার সহকর্মীরা আওয়ামিলীগের সমালচনায় ঝড় তুলেছে। কেউ চিল্লায়, কেউ নিজকে গাল দেয়, কেউ আওয়ামিলীদের চেীদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে। আমারও খুব খারাপ লাগছিল চোখ বুঝে ভাবছিলাম সত্যিই কি আওয়ামিলীগ খারাপ কিছু করছে। অনেক বিশ্লেষণ করে দেখলাম না তারাতো খারাপ কিছু করছেনা।

বিরোধী দল হরতাল দিয়েছে। আমার সহকর্মীর ভাষ্যমতে এর জন্য সরকার দায়ী। সরকারতো যানেই তত্ত্বাবদায়ক ব্যবস্হা বাদ দিলে বিরোধী দল মানবেনা আওয়ামিলীগ বিএনপিকে মানে নাই বিএনপিও আওয়ামিলীগ কে মানবেনা। এটা সহজ হিসাব, এটা সবাই যানে। আওয়ামিলীগও যানে বতু্ও সেটা করা হয়েছে।

বিএনপি কে আন্দোলন করানোর জন্য। হরতাল ডাকার জন্য। কিন্তু বিএনপি হরতাল ডাকে না। যেখানে আওয়ামিলীগ ১৯৯১-১৯৯৬ বিএনপির সময় ১৭৩ দিন হরতাল করেছে ২০০১-২০০৬ সালে ১৩৬ দিন হরতাল করেছে কিন্তু বিএনপি ৪ বছরে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন হরতাল। বিএনপি কাজটা ভাল করেনি।

বিএনপির উপর রাগ করে আওয়ামিলীগ ২ দিন বাম দল গুলো দিয়ে হরতাল পালন করিয়ে একটু সুখ অনুভব করেছে। যে দলটি আন্দোলন এত ভালবাসে। তারা ক্ষমতায় থাকতে কোন আন্দোলন নাই তা কি করে হয়, তাইতো মামলা, জেল, অফিসে হামলা। এবার যাবা কোথায়, কর হরতাল। আমি মনে মনে ভাবলাম ঠিকইতো বিএনপি কেন হরতাল করবেনা।

হরতাল না ডাকা ওদের অপরাধ। রাজনীতি করবা আর হরতাল ডাকবানা, রাস্তায় মার খাবানা, তাতো হবে না। আওয়ামিলীগ মামলা, জেল, অফিসে হামলা করে খারাপতো কিছু করে নাই। মামুন হটাত হুংকার দিয়ে বলে উঠলো, দেখেন শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কুটি টাকা লুট করলো, কয়েক জন আত্মহত্যা করলো অর্থ উপদেষ্টা বিনিয়োগকারীদের নিয়ে উপহাস করলো, অর্থমন্ত্রী রাবিশ ফটকাবাজ বলে গালী দিল। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম সত্যিইকি আওয়ামিলীগ কাজটা খারাপ করেছে।

ক্ষমতায় আসতে হলে অনেক কাঠখর পোহাতে হয়, টাকা ব্যায় করতে হয়। ক্ষমতায় আসার জন্য, কোন একটা মহলের সাথে দলটির যদি এমন চুক্তি হয় যে আমরা ক্ষমতায় আসলে আপনাদের শেয়ার মার্কেট দিয়ে দিব, আপনারা ওখান থেকে যা লুট করার করবেন আমরা কিছু বলবনা, সেটা খারাপ কিছু না। এমনটা হতেই পারে। তেমনি ব্যাংক লুট, বিদ্যুত খাতে দুর্নীতি, পদ্মা সেতুর টাকা চুরি করতে চাওয়া দোষের কি?। ক্ষমতায় আসতে তাদের টাকা খরচ করতে হয়েছে না? জেলে যেতে হয়েছে, রাস্থায় মার ক্ষেতে হয়েছে।

কেন তারা টাকা কামাবেনা। বরং না কামালেই বোকা ভাবতে হবে। রনি বল্ল আমার মনে হয় ওরা ক্ষমতা ছাড়বেনা। যে ভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকবে। সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত তুলে ধরে বল্ল দেখেন এ সবই করা হয়েছে দেশে একদল কায়েম করার জন্য।

আমি ভাবলাম ঠিকইতো অন্যকেউ ক্ষমতায় আসবে কেন?। আ্ওয়ামিলীগের চেয়ে দেশকে, কে এত ভাল বাসে। তারা যুদ্ধকরে দেশ স্বাধীন করছে কি রাস্তায় থাকার জন্য। যারা দেশকে ভালবাসে তারাই স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, আর স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষের লোক আওয়ামিলীগ ছাড়া অন্যকোন দল করতেই পারেনা। দেশে একটাই দল থাকবে, সেটা দেশকে ভালবাসার দল, আর ভাল বাসার দলটি হল আওয়ামিলীগ।

তারা চাইলে শেয়ার বাজার লুট করতে পারবে, ব্যাংকের টাকা হাওয়াকরে দিতে পারবে। কোন রাবিশ এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পাবে না। দেশপ্রেমিকরা চুরি করলেও তারা দেশ প্রেমিক। তাই দেশে যদি এই দলটি চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য চিন্তাকরে থাকে তাতে দোষের কি। দেশের ৩৬%লোক তাদের ভোট দেয়।

এই ৩৬% ই দেশকে ভালবাসে বাকী ৬৪% লোকের কেউ রাজাকার কেউ দেশদ্রোহী। এই ৬৪% লোককে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার চিন্তা করলেও আমি তাদের সেলুট দিব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।