আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমা কার কাছে চাইবেন, ক্যান চাইবেন?

আমি খুব ভালো মানুষ নিজেদের ধর্মপ্রান ভাবে আসলে বর্বর, উগ্রপন্থী, হুরলোভী জানোয়ার - এমন সব জানোয়ারদের জন্যই আজকের এই মারাত্মক পরিস্থিতি। এদের কারনেই মানুষের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘৃনাবোধ জন্মায়। এরা অদৃশ্য আল্লাহর জন্য দৃশ্যমান মানুষ খুন করতে প্রস্তুত। নিজের ধর্মকে আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনা। আল্লাহকে এরা এতৈ অক্ষম ভাবে যে নিজেরাই ইসলামের হেফাজতকারী বনে গেছে।

এরা কি মুসলমান? না কাফের? এরা কাফেরেরও অধম। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রকাশ্যচর্চা পুরাপুরি নিষিদ্ধ করা উচিৎ। পাশাপাশি আর সব ধর্মেরও। এখন সব দেশেই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা আছে। আল্লাহ/ ভগবান/ ঈশ্বরের ভয় বা বেহেস্ত / সর্গের লোভ দেখায়া মানুষকে ভালো কাজ করা বা খারাপ কাজ থেইকা বিরত রাখার চেস্টা করার কোন প্রয়োজন এখন আর নাই।

আর তাই ধর্মগুলা এখন সুবিধাবাদী শয়তান প্রকৃতির লোকজনের হাতিয়ার হয়া দাঁড়াইসে। সকল মসজিদ মন্দির ভেংগে ফেলা উচিৎ। মানুষ এবাদত করবো ঘরে। পুজা করবো ঘরে। প্রকাশ্যে চলতে পারে শুধু ধর্মের তাত্ত্বিক শিক্ষা।

মসজিদ নাকি আল্লাহর ঘর। আল্লাহর কোন কিছুর প্রয়োজন নাই। কিন্তু তিনার একটা ঘরের খুব প্রয়োজন। সেই ঘরে গিয়া গিয়া সব কুলাংগারের মাথায় শুধু শয়তানি বুদ্ধি খেলে। দেশ বা সমাজের উন্নতি রাইখা অবনতির ফন্দি আঁটে।

অবশ্যই সকল মুসলিম এক না। আমি নিজে এমন মুসলিম নই। আজকে মুসলমানদের কুপমন্ডুকতা দেখলে ইসলামের সত্যতা নিয়া প্রশ্ন করে অমুসলিমরা। আর এজন্য মুসলিম নামধারী কুলাংগারদের অপকর্মই দায়ী। ওদের কারনেই মানুষ ইসলাম অবমাননা করার সুযোগ পায় এবং করেও।

আবার আজকে ফেসবুকে একটা ছবি দেখে রিতিমত জবান বন্ধ হবার উপক্রম হৈসিল। একজন বৃদ্ধ পান্জাবি টুপি পরা লোকরে আট দশজন জোয়ান লাঠিয়াল পোলাপান মারতেসে দেখা যায় ঐ ছবিতে। বিবরনে লেখা ছিল ঐ সকল কুলাংগারেরা নাকি হেফাজতি সন্দেহে ঐ লোকরে মারতেছিল। সত্য মিথ্যা জানিনা। জানার দরকারও মনে করিনা।

নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের মূর্ত প্রতিক ঐ ছবিটা। দুই চাইরজন নাস্তিক ব্লগার কি এমন ক্ষতিবৃদ্ধি করসিল ইসলামের? ওরাতো কারো মাথায় বারি দেয়নাই। ওরাতো ২০ জন মিলে একজনরে পিটায়া মারেনাই। ওরাতো কারো পায়ের রগ কাটে নাই। তারপরেও সব ক্ষোভ তাদের উপরে? যখন রাস্তাঘাটে এত জানোয়ার যারা বাপের বয়সি লোকের গায়ে আঘাত করে! যারা দলবেঁধে একজন নিরস্ত্র মানুষকে আক্রমন করে! এদের শাস্তির দাবী আগে ওঠা উচিৎ নাকি নাস্তিকদের মৃত্যদন্ডের দাবী আগে ওঠা উচিৎ? নাস্তিক ব্লগারের ব্লগ পড়তে ভালো না লাগলে পড়বানা।

তার হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবা। অবশ্য যদি তুমি আল্লাহরে সর্বশক্তিমান বিশ্বাস করো তাইলে। আর না করলে অবশ্যই নিজ হাতে তাদের শাস্তি দিতে চাইবা। বাংলাদেশে উগ্রপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল ফান্ডামেন্টালিস্ট ফ্যানাটিকদের এহেন উত্থান আসলেই আশাকরি নাই। আমি বিশ্বাস করি যে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি ভারসাম্যতা হারাক এইটা আওয়ামি সরকার মনেপ্রানে চাইছে।

নিজেদের নানান অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়া সহ বিদেশে অবৈধভাবে কালোটাকা পাচারের সুবিধার্থে এরকম ঘোলাটে পরিস্থিতিই তাদের দরকার। আর তাই উগ্রপন্থীদের একাট্টা হওয়াটাকে তারা বাধা দেয় নাই। বরং নানা ভাবে তারা ঘংঘাতকে উস্কে দিচ্ছে। আবার এমনো হতে পারে যে দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক পরিস্থিত চরম অস্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছানোর পর তারা জরুরী অবস্থা ঘোষনার মাধ্যমে বিরোধী দলগুলার রাজনৈতিক ততপরতা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে। রাজনিতির মাঠে শেখ হাসিনার আওয়ামিলীগ এর আগেও নানান হঠকারী ঘটনা ঘটিয়েছে।

নিতিবিবর্জিত অমানুষদের মনে কি আছে সেটা বলা মুশকিল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.