আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমা না চাইলে ইমরানকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না: নাজমুল

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে মিথ্যাচার করার জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার মঞ্চের দুই পক্ষের মারামারির জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের দোষারোপ করে। এর প্রতিবাদে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনও করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মিথ্যাচারের জন্য ইমরান সরকারকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবে বলেও জানানো হয়।

গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সরে আসার কারণ হিসেবে সিদ্দিকী নাজমুল বলেন, মঞ্চ প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য ছিল সব চিহ্নিত রাজাকারের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের হাতকে মসৃণ করা। যে ইস্যুতে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সরকার তা পূরণ করার পর ১০ মাস আগে আমরা মঞ্চ থেকে সরে আসি। কিন্তু মঞ্চের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না।

সরকার ইতোমধ্যে একজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে এবং অন্যদের বিচার চলছে। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের মূল দাবি অর্জন হলেও তারা এখনো প্রোগ্রাম করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় গণজাগরণ মঞ্চ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দল, ছাত্র সংগঠন ও মানুষের। কোনো ব্যক্তির ছিল না। কিন্তু ইমরান সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও হটকারিতার কারণে মঞ্চ এখন জনবিচ্ছিন হয়ে পড়েছে।

ছাত্রসংসদ নির্বাচন সম্পর্কে সিদ্দিকী নাজমুল বলেন, আমরা সব সময় চেয়েছি ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক। কিন্তু যারা চায় না ছাত্র নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে জাতীয় নেতৃত্ব গড়ে উঠুক, তাদের অসহযোগিতার কারণে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হচ্ছে না।

সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠন ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো অপরাধের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদ হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বজিত্ হত্যা মামলায় বর্তমান সরকারের আমলেই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ফাঁসির রায় হয়েছে।

যা অন্য কোনো দলের পক্ষে সম্ভব হতো না। এ সময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দকে হত্যার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেন এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ছাত্রলীগকে ভবিষ্যতে কেমন দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্ণধার। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ও মনোমালিন্য থাকেব না। সংগঠনের সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকার রাখবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.