আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাইক্রোব্লগ ফ্রম ফেসবুক টাইমলাইন: অফটপিকস

গেরিলা কথাবার্তা এপ্রিল ০৪: মিডিয়া এমন যৌনকাতর কেন? ট্রাইব্যুনাল-প্রধান নিজামুল হক: “মনে হচ্ছে উনি সিআরপিসি এবং সাক্ষ্য আইন মাথা থেকে বের করতে পারছেন না। উনার মতো শিক্ষিত লোকজন যদি এরকম কথা (জংলি আদালত/আইন) বলেন, তাহলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ” সাকা চৌধুরী: “একদম সত্যি। আপনারা বলছেন, ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী সিআরপিসি ও সাক্ষ্য আইন এখানে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সত্যিই জংলি আইন! কিন্তু জংলি আইন হলেই যে আদালত জংলি হয়ে যাবে-এই কথা শতভাগ সঠিক না।

” : দেখুন এখানে । দুই পাণ্ডার এই বাহাস খুবই আগ্রহ-উদ্দীপক, আমি মজা পেয়েছি। ট্রাইব্যুনাল-প্রধান নিজামুল হকও যথেষ্ট ‘এনজয়’ করেছেন, উনি যেমন বললেন। কিন্তু বিডিনিউজে সংবাদটির শিরোনাম হলো: জেলে ‘একা’ লাগে সাকার, সঙ্গী চান এম কে আনোয়ারকে। সাকা এমন বলেছেন ঠিকই, স্বভাবসুলভ ধারাল রসিকতায়।

কিন্তু বিডি কেমন হোমো বানিয়ে দিল খোদ সংবাদটিকে। কেন? এই বাহাসটি কেন মিডিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না, পরিবর্তে একটি সরস হোমো পরিবেশনাই দরকার হল? মিডিয়া এমন যৌনকাতর কেন? এপ্রিল ০২: ‘মহামান্য’ ধর্মাবর্তার! অফটপিক ‘মহামান্য’ আদালতের কথা এবং কাজে মিল নেই, নইলে কথার অংশবিশেষ লিখিত হওনের সময় হাওয়া হয়ে যায় ক্যামনে? যদি এটাই নিয়তি, তাইলে ওইসব ‘অফটপিক’ কথা কওয়া-কওয়ি হম্বি-তম্বি বন্ধ করা যায় না এবার? পাবলিক এইটা নিয়ে কথা-বিকথা, ব্লগাব্লগি, টকশো বা আদালত অবমাননা করবে- পরে দেখা যাবে স্রেফ সময় নষ্ট, এমন ফ্লপবাজির কোন মানে হয়? ‘মহামান্য’ ধর্মাবর্তার! দেখুন, এখানে । দূররানির সাক্ষ্য দূররানির সাক্ষ্যের অনুলিপি না পাওয়া প্রসঙ্গে সরকারের ভাষ্যটি যদি সত্যি হয়, খালেদা বা হাসিনা বা যে কারু সাথে আইএসআই এর লেনদেন কী হয়েছে তার বিবেচনায় নয়, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাসিনা-মনমোহন যৌথ প্রশাসন কর্তৃক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাদের রিমাণ্ড ও প্রকাশ্য ট্রায়াল এর যে ধুন্ধুমার মহড়া চলেছে তার বিবেচনায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এর এই সিদ্ধান্ত ভঙ্গুর ধ্বজভঙ্গ রাষ্ট্রটির ভিতর বিস্তর স্মার্ট মনে হলো। মার্চ ২৭: ব্লগারস রাউণ্ড: কৈফিয়ত বন্ধুরা আমার কাছে জানতে চেয়েছে, ব্লগারস রাউণ্ড এর কী খবর! আপাতত উত্তর হলো, যে কারণে ব্লগারস রাউণ্ড করতে চাওয়া, সেই কারণটা হারিয়ে গেছে। তা আবার খুঁজে না পাওয়া তক, ব্লগারস রাউণ্ড বন্ধ।

মন্তব্য থেকে: আমি/আমরা ‘ভাল’ কাজের পূণ্য অর্জনের চেয়ে, একটা স্থিতিশীল কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। কারণটা রাজনৈতিক। কিছু বাংলা ব্লগ-অথরিটি ব্লগারদের লেখালেখির স্বাধীনতা হরণ করতে সরকারের সাথে যৌথ দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে, এই মহাদৌড়ঝাঁপ মোকাবেলার জন্যই ব্লগারদের জন্য লেখালেখির একটি ভিন্নতর প্লাটফর্মের কথা ভাবছিলাম। শুরুর কয়েকটি দিন উত্তেজনায় কাটলেও, পরে কিছু জান্তব বিষয় নজরে এলো।

এর জন্য টাকা প্রয়োজন, তা আগেই জানতাম। সামান্য টাকা-পয়সা খরচ করেও ফেলেছি। আমি শুরু থেকেই ঘোষণা দিয়েছি, আমরা কোন ডোনেশন নেব না, সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকভাবেই এই ব্লগ চলবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, বাণিজ্যিকভাবে চালাতে গেলে, বিজ্ঞাপন ছাড়া গতি নেই। আমার আবার বিজ্ঞাপনেও কিছুটা অনিহা আছে।

বিজ্ঞাপনদাতাদের কৃপাদৃষ্টির নির্ভরশীল হয়ে থাকা আমার চলবে না। দেখলাম, আর কোন অটোমেটেড ব্যবসা সৃষ্টি করতে এখন পর্যন্ত সক্ষম নয় স্রেফ একটি ব্লগ- অন্তত এখন পর্যন্ত। এইটা একটা কারণ। আর একটা কারণ হলো, যেই কারণে এই ব্লগ এর কথা ভাবা শুরু করেছিলাম, তা এই ব্লগ দিয়ে মোকাবেলা করা সম্ভব, এমন সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত নিঃসন্দেহ হতে পারি নাই। মার্চ ২৮: অতএব, হাইকোর্ট হইতে “বাংলা ভাষার দূষণ, বিকৃত উচ্চারণ, সঠিক শব্দচয়ন, ভিন্ন ভাষার সুরে বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা ভাষার অবক্ষয় রোধে” হাইকোর্টের নির্দেশে এই পুলিশি কমিটি।

অতএব সাবধান। সঠিক উচ্চারণে ক্বারী ও তাজবীদের সহিত বঙ্গভাষা কহিবেন। নচেত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হইতে পারে হাইকোর্টের নির্দেশে । অতএব, হাইকোর্ট হইতে সাবধান। মার্চ ৩০: ‘বঙ্গবন্ধু’ আকাশে উৎক্ষেপিত হবেন বছর তিনেক পর ‘বঙ্গবন্ধু’ আকাশে উৎক্ষেপিত হবেন।

বিটিআরসির এমন ঘোষণায় কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন। আজই নয় কেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।