আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসরাইলের গোয়েন্দাসংগঠন মোসাদ এবং বাংলাদেশ বনাম ইসরাইল তত্ব(দূর্বলচিত্তের প্রবেশ নিষেধ)

এডিটেড বিশ্বের ভয়ংকরতম দুর্ধর্ষ সংগঠনসমূহ নিয়েধারাবাহিক পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আজকের পর্ব মোসাদ। মাফিয়ানিয়ে ১ম পর্বের লিংক। ইসরাইলী গোয়েন্দাসংস্হা মোসাদের নামতো কমবেশী সবাই শুনেছেন। শোনাই বা যাবেনা কেন?মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদেশের নাগরিকমাত্রই মোসাদের নামটি একবার হলেও শুনেছেন।

পুরো শতাব্দীর সব ঘটনাবলী পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রণকারী ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনার পরপরই মূলত বিশ্বব্যাপী মোসাদের ব্যাপারসেপারে সচেতন হতে থাকে মানুষ। সৌদীআরব,বাহরাইন,কুয়েত,কাতার,লেবাননের মত আরব দেশগুলোকে যেমন হাতে রাখে ইসরাইলী এই গোয়েন্দাসংস্হা তেমনি অন্যান্য আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রে যেমন ইরান,ইরাক,পাকিস্তান এবং কমিউনিস্ট চীনের সাথেও রয়েছে এই সংস্হার চরম প্রতিদ্বন্দিতা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ইহুদী,ইসরাইল,মোসাদ এই নামগুলো এমন আতংক,শংকা,ভয়,ঘৃণা,উদ্দীপনা,চমকের সাথে নেওয়া হয় যে যারা এমনকি বিশ্বরাজনীতির খবরও রাখেন না তারাও এইশব্দগুলো শুনতে শুনতে কানে ব্যাথা অনুভব করে থাকেন। অনেকেই সন্দেহপোষণ করে থাকেন বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ট্যারোরিষ্ট ট্যাগ দেওয়ার পেছনে মোসাদের অবদান শতভাগ। হয়ত হতেও পারে।

তবে এই গোয়েন্দাসংস্হাটি যেসব উপায়ে পূর্ব-পশ্চিম সবদিকই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইল এবং ইহুদী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে,তা রীতিমত অন্যান্য শীর্ষস্হানীয় গোয়েন্দাসংস্হাসমূহের কাছে রোমাঞ্চকর এবং অনুকরণীয়। কিডনাপ করা ও গুপ্তহত্যায় এই সংস্হাটা বিশ্বে অদ্বিতীয়। মোসাদ আসলে কি? আগেই বলেছি যারা জানেন তারা তো জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলি,একবার মোসাদ নজরদারী শুরু করলে বিশ্বের কোনো কোণেই লুকিয়ে নিস্তার পাওয়া অসম্ভব। ইহুদীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইহুদী, খ্রীস্টান ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ভূমি বলে পরিচিত বৃহত্তর ফিলিস্তিনকেই বেছে নিয়েছিল নতুন বাসভূমি হিসেবে।

কিন্তু আদর্শিকভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দী আরবরাষ্ট্রসমূহবেষ্টিত আরব ভূখণ্ডে ঘেরা একটি নতুনজন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং প্রতিদ্বন্দীদের মোকাবেলা করা মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীসময়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আত্মরক্ষার কৌশলাদী ও ব্যবসায়িক চাহিদা মেটানো খুবই জরূরী হয়ে পড়েছিল। সেই ঐতিহাসিক চাহিদা মেটাতেই রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার ১৯ মাসের মাথায় ১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডাভিড বেন গুরিয়ন গোয়েন্দাসংস্হা মোসাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিব্রু ইসরাইলের রাষ্ট্রীয়ভাষা। হিব্রূ ভাষায় মোসাদ শব্দের অর্থ 'প্রতিষ্ঠান'।

আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের এই বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম হয় 'দ্য ইনস্টিটিউট অব ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস'। এটি একইসাথে সামরিকগোয়েন্দাসংস্হা আমান এবং এনএসআইটাইপ আভ্যন্তরীণ সংস্হা শিনবেটের সাথে মাঠে নেমে ইসরাইলের জন্য কাজ করা শুরু করে। ইসরাইলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং মোসাদ: হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদীর মৃত্যুর পর গোটা দুনিয়ার ইহুদীদের একটি প্রভাবশালী অংশ নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের "স্বপ্নের কর্মসূচি"তে শামিল হয়। সেই লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাহাজে করে ইহুদীরা পবিত্রভূমি প্যালেস্টাইনে আগমন করে। জার্মানির ডিক্টেটর এদলভ হিটলার ইহুদীদের ধরে ধরে হত্যার আদেশ জারি করেন নিহত ইহুদীরা এদেরে মধ্যে প্রভাবশালী ও আক্রমণাত্মক হল জায়নবাদীরা।

তারা পৃথিবীরবুকে ইহুদী বাসযোগ্যভূমি নির্মাণে উঠেপরে লাগে। এই জায়নিস্ট উদ্যোগের ফলশ্রুতিই হল ইসরায়েল৷প্রথমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি,তারপর সম্মিলিত আরব শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে চমকপ্রদভাবে নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তিকে ক্রমশঃ আরও শক্তিশালী করে তারা গড়ে তুলেছে নব্যরাষ্ট্র ইসরায়েলের শক্তিশালী ভিত্তি৷ ইসরাইলের জাতীয় পতাকা ইউরোপে ইহুদী নিধনযজ্ঞ শোয়ার দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারেনি সেদেশের মানুষ৷ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও একবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তারা। তবে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতে ইসরায়েল যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে তাকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে প্রচুর। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ১৯ মাসের মাথায় প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডাভিড বেন গুরিয়ন ১৯৪৯ সালে মোসাদ প্রতিষ্ঠা করেন৷তবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগেই যেসব ইহুদী নিষিদ্ধ সংগঠন সংগ্রাম চালাচ্ছিল তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে যে কাঠামো গড়ে উঠেছিল তাকে মোসাদের পূর্বসূরি মানা হয়৷অর্থাৎ অর্থবল ও লোকবলের যোগান এবং টার্গেটস্হাপত্যের স্যাবোটাজ ঘটাতে যেসকল অতুলনীয় এবং সংঘবদ্ধ কিন্তু সশস্ত্রসন্ত্রাসবাদী এসব সংগঠন কৌশলাদী গ্রহণ করত তাই বিভিন্ন বিতর্কসত্বেও মোসাদ তার কার্যপদ্ধতিতে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়। কালের বিবর্তনে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে যা হয়ে ওঠে বিশ্বসেরা ইন্টেলিজেন্স স্ট্রাইকিং নেটওয়ার্ক।

নিচে কার্যপদ্ধতি অংশে এর আধুনিক কার্যক্রমের কিছুটা তুলে ধরেছি। নিরস্ত্র সিভিলিয়ান গাজাবাসীর উপর ফসফরাস বোমা হামলা ১৯৯৬ সালে যখন সাবতাই কে অপসারন করে ডেনি ইয়াতমকে নিয়োগ দেওয়া হয় এক ঘোষনার মাধ্যমে তখনই প্রথমবারের মত বিশ্ববাসী জানতে পারে এই সংস্হাটার প্রধান কে অথচ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যা ছিল একেবারেই অজানা। মোসাদের বেশীরভাগ লোকই সাবেক সন্ত্রাসী সংগঠন হাগানাহ,ইরগুন,স্টানগ্যাং এর লোক। ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডাভিড বেন গুরিয়ন ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ২৮তম কমিউনিস্ট সম্মেলনে যখন নিকিটা ক্রুশ্চেভ এক গোপন মিটিংয়ে স্টালিনকে অভিযুক্ত ও অস্বীকার করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষনা করেন,ঐ বক্তব্যের একটি কপি মোসাদ তৎক্ষণাত সিআইএর হাতে দিয়ে দেয়। এই প্রথম সিআইএ মোসাদের কার্যক্রম ও দক্ষতা উপলব্ধি করে যাতে সিআইএ অবিভূত হয়।

কারণ কানাঘুষা আছে সিআইএর মত সংস্হাটিও এ খবরটির মত একটি সেন্সেটিভ সংবাদ সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোসাদকে সাহায্য করার জন্য অগনিত ভলান্টিয়ার। এরা সবাই জন্মগত ইহুদী এবং জায়োনিস্টের সমর্থক। এরা সবসময় তৈরী থাকে শত্রুর তথ্য জানানো বা সন্দেহবাজনদের উপর গোয়েন্দাগিরী করা। কার্যক্রম: চরম গোপনীয়তার ঘেরাটোপে থাকা মোসাদের কীর্তিকলাপ সম্পর্কে নানা কাহিনী প্রচারিত থাকলেও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায় না।

ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী শুধু সংস্থাপ্রধানের নাম প্রকাশ করা যায়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হয় মোসাদের কার্যকলাপ। মোসাদের ওয়েবসাইটে সংগঠনের লক্ষ্য এবং কার্যকলাপ সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য রয়েছে। মোসাদের হয়ে কাজ করতে ইচ্ছুকদের জন্য একটি ফরম রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। এটিই হল মোসাদের ওয়েবসাইট।

তবে এ ওয়েবসাইটে নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। কথিত আছে মোসাদের ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই সংস্হায় সংরক্ষিত সার্ভারে মুহুর্তেই আইপি ট্রেস করে লোকেশন ডিটেক্ট করা হয়। হেডকোয়ার্টার বর্তমান প্রধান তামির পারদো মোসাদ হামলার জায়গায় থাকেনা। বেশীরভাগ সময়েই চেষ্টা করে স্হানীয় মাফিয়া বা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে নিজেদের কাজ করে নিতে। যদি মাফিয়াদের দ্বারা সম্ভব না হয় তাহলেই শুধুমাত্র মোসাদের কমান্ডোদের নিয়ে গঠিত ডেথ স্কোয়াড কাজ করে।

এদের কাজের পরিধি যথেষ্ট বিস্তৃত। সংগঠনটির ঘোষিত উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সীমানার বাইরে গোপণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা,শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলো যাতে বিশেষ ধরনের অস্ত্র তৈরি বা সংগ্রহ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা এবং দেশে-বিদেশে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলার ষড়যন্ত্র আগাম প্রতিরোধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। অন্যান্য বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার তুলনায় মোসাদের দায়িত্ব বা কাজের পরিধির বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়৷যেসব দেশে ইসরায়েলের অভিবাসন সংস্থা আইনত সক্রিয় হতে পারে না সেই সব দেশ থেকে ইহুদীদের ইসরায়েলে নিয়ে আসার দায়িত্বও পালন করে মোসাদ৷বিশ্বের যে কোন ইহুদী ব্যক্তির জন্য ইসরায়েলের দ্বার খোলা রয়েছে যেন তারা সেখানেই পাকাপাকি বসবাস করতে পারে৷ইসরায়েলের সীমানার বাইরে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা ও কার্যকর করার বিশেষ দায়িত্ব পালন করে মোসাদ৷ সংগঠন ব্যবস্হাপণা: http://www.globalsecurity.org/ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইসরায়েলি সামরিক ও অসামরিক গোয়েন্দা বিভাগের বাছাই করা কর্মকর্তাদের দিয়ে পরিচালিত মোসাদের মোট আটটি বিভাগ আছে। এর মধ্যে পাঁচটি ডিপার্টমেন্টের ব্যাপারে কিছু তথ্য জানা যায় : কালেকশন ডিপার্টমেন্ট: এটি মোসাদের সবচেয়ে বড় বিভাগ। বহির্বিশ্বে ডিপ্লোম্যাট, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য ছদ্মবেশে কাজ করেন এই বিভাগের এজেন্টরা।

পলিটিক্যাল অ্যাকশন এবং লিয়াজোঁ ডিপার্টমেন্ট: এ গ্রুপের কাজ প্রতিটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা। স্পেশাল অপারেশন ডিপার্টমেন্ট:এই গ্রুপকে গুপ্তহত্যার কাজে ব্যবহার করা হয়। ল্যাপ ডিপার্টমেন্ট: এই গ্রুপ প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের জন্য প্রচার চালায় ও শত্রু শিবিরে ভুল খবর ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে। রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট:যাবতীয় গোয়েন্দা গবেষণা ও 'কাউন্টার ইনটেলিজেন্স'-এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির নিরন্তর কাজ করে চলেন এই গ্রুপের গবেষকরা। কিছু অপারেশন: ১।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মোসাদ সপিস্টিকেটেড যন্ত্রের সাহায্যে মিশরের গতিবিধি নজরে রাখতো। একদিন সকাল সকাল যে সময়টা মিশর এয়ার ফোর্সের বেশীর ভাগ সদস্যই খাবার খায় এবং শিফট চেন্জ হয় ঠিক তখনই ইসরাইল বিমানহামলা করে বসে। যুদ্ধের জন্য তৈরী থাকা ৩০০ এরও বেশী বিমান ধংস হয়ে যায়। যদিও মিশরীয় গোয়েন্দাদের পূর্বপ্রস্তুতিতে যথেষ্ঠ ঘাটতি ছিল অবশ্য বলে লাভ কি যেহেতু আমাদের গোয়েন্দারাই তথ্যসংগ্রহ করে বঙ্গবন্ধুহত্যা,বিডিআরবিদ্রোহ এড়াতে ব্যর্থ মাত্র ৬ দিন যুদ্ধ করতে পারে আরবরা। যুদ্ধের পুরো কৃতিত্বই মোসাদের।

এ ঘটনায় মোসাদের গোয়েন্দা দক্ষতার ধার সম্বন্ধে সবাই আশ্বস্ত হয় এবং তাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃতিলাভ করে। হামলার পর ২। ১৯৭০ সালে ফিলিস্তিনে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ গড়ে উঠে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর নামে। এদের কাজ হল অপহরণ,মুক্তিপণ আদায়,গুপ্তহত্যা,মধ্যস্হতা। জার্মানীর মিউনিখে অলিম্পিক গেমস চলাকালে এরা ১১ জন ইসরাইলী এথলেটকে কিডন্যাপ করে।

২০০ ফিলিস্তিনির মুক্তি ও নিজেদের জন্য সেইফ পেসেজ দেওয়া ছিলো ওদের দাবী। জার্মান সরকার তা মেনে নেয় এবং চুক্তির জন্য মিলিটারী এয়ারপোর্টে আসতে বলে। এয়ারপোর্টে জার্মান এয়ারফোর্সকমান্ডোরা আগে হতেই প্রস্তুত ছিলো। অপহরণকারীরা যখনই বুঝতে পারে ওদের ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে তখনই সব বন্দী এথলেটদের হত্যা করা হয়। পুলিশের পাল্টাগুলিতে ৫ জন অপহরণকারী নিহত ও তিন জন বন্দী হয়।

ঘটনাটি ছিলো অতি ভয়াবহ। মোসাদ স্পেশাল টিম গঠন করে অপারেশান রথ অফ গড ঘোষনা করে। পুরো ইউরোপ জুড়ে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরগ্রুপকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়। ৭২ হতে ৭৩ পর্যন্ত এই গুপ্তহত্যার কাজ চলতে থাকে। এসব অভিযানের ফলে পিএলওর কোমড় ভেঙ্গে যায়।

৩। ১৯৭৬ এর জুনে ফ্রান্স হয়ে ইসরাইলগামী এক বিমান কে ফিলিস্তিনিরা হাইজ্যাক করে উগান্ডায় নিয়ে যায়। ওরা বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করতে থাকে। ইসরাইলী ও হোস্টেজকে উদ্বার করতে মোসাদ ইসরাইলী কমান্ডো সাথে নিয়ে চালায় অপারেশান থান্ডারবোল্ড। ঐ অভিযানের ক্ষীপ্রতা এতই ছিলো যে মাত্র ৯০ মিনিটে প্রায় সব বন্দীদের উদ্ধার করা হয়।

অপারেশন থান্ডারবোল্ডের প্রস্তুতির রিপোর্ট ৪। জনাথন পোলার্ড মার্কিন নৌবাহিনীতে চাকরি করতেন। মূলত তিনি মোসাদের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অনেক গোপন দলিলপত্র চুরি করে ইসরাইলে পাচার করে দিতেন। ইসরাইল ঐ দলিল সোভিয়েত রাশিয়াকে দিয়ে সামরিক সরঞ্জামের অনেক কিছুই হাসিল করে নিত।

পোলার্ড একদিন ধরা খেয়ে যান এবং সারা জীবনের জন্য কারাদন্ড দেওয়া হয়। শুধু পোলার্ডের কাহিনী নয়,এই রকম অনেক মার্কিনী(সবাই ইসরাইলী বংশোদ্ভূত)ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করতো যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর মিলিটারী রিসার্চ সেন্টারে। ৫। মনিকা লিউনেস্কি ও ক্লিনটনের ফোনে আড়িপাতার কাজও ওরাই করেছিলো। ৬।

২০১০ এ জানুয়ারিতে হামাস লিডার মাহমুদ আল মাবুহকে দুবাইতে রোটানা হোটেলের ভেতরে হত্যা করে মোসাদ। এজেন্টরা বিভিন্ন দেশ হতে দুবাইতে আসে। দুবাই পুলিশ জানিয়েছে এই হত্যায় ২৭ জন মোসাদ স্পাই অংশগ্রহন করে। মাহমুদ কে দুবাই এয়ারপোর্ট হতে অনুসরন করে মোসাদ। সিসিটিভিতে ধরা খাওয়া পুরো ঘটনায় দেখা যায় এয়ারপোর্ট হতে হোটেল,শপিং মল,লবি হতে লিফট পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে হোটেল রুমে গিয়ে যেভাবে ওরা মাহমুদকে হত্যা করে: হত্যায় অংশ নেওয়া এজেন্টরা ৭।

এছাড়াও আশির দশকে আততায়ীর হাতে নিহত ইরাকী নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্টদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে মোসাদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে ২০০৩ এর পর সাদ্দাম হোসেনের প্রশাসনের নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্টদের হত্যা করার অভিযোগের তীরটা মোসাদের দিকেই ছোড়া হয়। আজকের দিনেও যেসকল ইরানী নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট নিহত হচ্ছেন তাদেরকে হত্যার পেছনেও মোসাদের জড়িত থাকার কথা বারবার বলে আসছে ইরান। ৮। ইসরাইলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিপি লিবনি ছিলেন ঐ সময়কার মোসাদের লেডি স্পাই।

হামাস উৎখাতে বদ্ধপরিকর লিবনির পিতা আইতান লিবনি ছিলেন ইহুদী টেরোরিস্ট গ্রুপ ইরগুন এর চীফ। যিপি লিবনি ৯। আবু গরিব কারাগারের ইন চার্জ বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্হা আবু গরিব কারাগারের বন্দীদের ইনটারোগেশান করতো। ১০। কানাডার এক সায়েন্টিস্ট সুপারগাননামে নতুন এক ধরনের অগ্নোয়াস্র তৈরী করেন।

তার এই প্রযুক্তি কেউই সাড়া দেয় নি প্রথমে। পরে চীন এবং ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ঐ প্রোজেক্টের দিকে নজর দেন যা প্রোজেক্ট ব্যবিলন নামে পরিচিত। মোসাদ তদন্ত করে নিশ্চিত হয় ঐ সুপারগানের আক্রমন চীন হতে ইজরাইলের রাজধানী তেলআবিব পর্যন্ত যাওয়ার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীনের সামরিক গোয়েন্দাসংস্হা এমএসএস যা ইসরাইল পর্যন্ত যাবে। স্বাভাবিকভাবেই তা ইসরাইলের জন্য বড়ধরণের হুমকি। তৎখনাত চীনের সাংহাইতে অবস্হিত মোসাদ এজেন্ট কোনভাবে সেই হামলার আগাম রিপোর্ট এমএসএসের কাছ থেকে চুরি করে মোসাদের হাতে তুলে দেন।

ধারণা করা হয় স্হানীয় কারো সহায়তায় তিনি এসব করেছেন। অতঃপর কানাডার সেই সায়েন্টিস্ট গেরাল্ড বুলকেব্রাসেলসে তাঁর এপার্টমেন্টে পাঁচটা গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় ইসরাইল-চীন দন্দ্ব। http://world.std.com/~jlr/doom/bull.htm গেরাল্ড বুল ১১। ১৯৮২ সালে ইসরাইল লেবাননে যুদ্ধের পর সোভিয়েত তৈরী অনেক যুদ্ধাস্ত্র নিজেদের অধিকারে নিয়ে নেয়।

পরে সিআইএ,মোসাদ ও পাকিস্তানের আইএসআই মিলে ঐ অস্ত্রগুলো আফগানিস্তানে যুদ্ধরত জঙ্গীদের দেয়। ভারতের "র" এর সাথে মোসাদের গোপণ কাজ চললেও ওটা প্রকাশ হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। মোসাদের সাথে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাজ শুরু হয় জিয়াউল হকের আমলে। ৯/১১ এর পর সিআইএ, এফবিআই, মোসাদ ও আইএসআই একসাথে কাজ করে ওয়ার অন টেররে তালেবান ও আল কয়েদার বিরুদ্ধে। ১২।

১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে পিএলওর সদরদফতরে এক হামলায় নিহত হন আবু জিহাদ। তাঁর প্রকৃত নাম খলিল আল ওয়াজির। ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও)প্রতিষ্ঠায় আরাফাতের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তিনি। আবু জিহাদ আবু জিহাদের হত্যাকারী নাহুম লেভ নামের এক কমান্ডো। ২০০০ সালে লেভ মারা গেলেও এতদিন ধরে রোনেন বার্গম্যান নামের এক রিপোর্টারের নেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি কপি গোপণে সংরক্ষণ করে ইসরাইলী কতৃপক্ষ।

তবে সম্প্রতি সেটি প্রকাশ করা হয়। রোনেন বার্গম্যান ঐ সাক্ষাৎকারে লেভ বলেন,১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে পিএলওর প্রধান কার্যালয়ে হত্যা করা হয় আবু জিহাদকে। হত্যা অভিযানে গোয়েন্দা তৎপরতার তদারকি করে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়সায়ারেত মাতকালনামে ইসরাইলী এলিট কমান্ডো ইউনিট। লেভ বলেন,‘আমি তাঁকে (আবু জিহাদ) নিয়ে তৈরি সব নথি পড়েছি।

নাহুম লেভ তাঁর বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে মৃত্যুর জন্য চিহ্নিত করা হয়। আমি তাঁকে হত্যা করি। নারীর ছদ্মবেশে অন্য একজন কমান্ডোও আমার সঙ্গে ছিলেন। ওই কমান্ডো সন্ধ্যাকালীন ভ্রমণের ছলে আবু জিহাদের বাড়ির পাশে যান।

এরপর নিঃশব্দে গুলি ছুড়ে বাড়ির একজন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করেন তিনি। পরে মুখোশ পরা কমান্ডোরা বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। এ সময় একজন লেভকে পেছনে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠেন সেখানে লেভ প্রথমেই আবু জিহাদকে গুলি করেন। এ সময় নিচতলায় থাকা দ্বিতীয় দেহরক্ষী ও একজন মালীকেও হত্যা করা হয়। শেষ বয়সে লেভের একটি ছবি ব্যর্থতা: কিল খালিদঃ দ্যা ফেইলড এসেসাইনেশান অফ মোসাদ এন্ড দ্যা রাইস অফ হামাসবইয়ে অপারেশানটার কথা আছে।

১৯৮০ হতে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোসাদ দুর্দান্ত আকারে পিএলও এর নেতাদের হত্যা করে একেবারে কোমড় ভেঙ্গে দেয়। পিএলও ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রাম হতে। উল্টা পথে হামাসের উত্থান হতে থাকে। খালিদ মিশাল অনেক বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেন। ১৯৯৭ সালে খালিদ তার গাড়ি হতে নেমেই মাত্র হামাস অফিসে ঢুকবেন এ সময়েই হাতে ব্যান্ডেজ লাগানো তিন জন কানাডিয়ান টুরিস্ট তার গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলো।

একজন টুরিষ্ট(মূলত মোসাদের লোক)হঠাৎ খালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তার কানে কিছু একটা পুশ করতে চায় এবং বিষ ঢেলে দেয় তার শরীরে। খালিদ ছিটকে দুরে সরে যায়। আক্রমনকারীদের একজন পালিয়ে গিয়ে ইসরাইলী এমব্যাসীতে লুকায়। বাকী দুজনকে খালিদের দেহরক্ষী আবু সইয়াফ ধাওয়া করে। স্পাইদের ধারালো যন্ত্রের সাহায্যে আহত হয়ে যায় সাইয়াফ।

সাইয়াফের পাল্টা ঘুষিতে এক স্পাই মাটিতে পড়ে যায়। পরে সাইয়াফ হাসপাতালে এবং স্পাইদের পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। খালিদ মিশাল খালিদের অবস্হা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তাকে। জর্ডানের বাদশাহ হোসাইন এবার সরাসরি ফোন দেন নেতানিয়াহুকে।

যদি খালিদ মিশাল মারা যায় তবে তিন মোসাদ স্পাইকে হত্যা করা হবে এবং ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি বাতিল হবে। এরপর মোসাদের চীফ নিজেই ল্যাবরেটরীতে মডিফাই করা বিষের প্রতিষোধক নিয়ে আম্মানে আসেন। খালিদ মিশাল সুস্হ হয়ে উঠেন। এই ব্যার্থ হামলার পর মোসাদের চীফকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। খালিদ মিশালের উপর এই হামলায় কানাডার গোয়েন্দা সংস্হা (csis) ও জড়িত আছে বলে সন্দেহ করা হয়।

মিশরীয় বন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে ইসরাইল ভূল করে একবার একটি মার্কিন জাহাজে হামলা করে বসে। এই সেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লিবার্টি যেখানে ইসরাইল ভুল করে হামলা করে বসে। এতে ৩৪ জন মার্কিন নৌসেনা নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়। এ হামলাকে মোসাদের ইতিহাসের অন্যতম ব্যর্থ গোয়েন্দাতথ্যের ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাংলাদেশে কেন এত আলোচিত এবং কারা সন্দেহের পাত্র: বাংলাদেশে সাধারণত ইসলামবিদ্বেষী কোন কার্যকলাপ হলেই "র",সিআইএ এর সাথে মোসাদের নামটিও ছোট্ট করে শোনা যায়। আসলেই কি তারা বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী তৎপরতার সাথে জড়িত?তা হয়ত জানা হবে না কখনই তবে কোন বড় নাশকতা ঘটলেই নাস্তিক সম্প্রদায়ের উপর বরাবরই সেই আদিকাল থেকেই যত দোষ নন্দঘোষের মত মোসাদের সোল এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করার অভিযোগ উঠে আসছে। আবার নিরপেক্ষ সুশীল সমাজের সন্দেহের তীরটা যায় কিছু উগ্রমৌলবাদী সংগঠনের বিপক্ষে। তবে এর কোনটাই কোনদাবীকারীরা প্রমাণ করতে পারেন নি। তবে এমন একজন রয়েছেন যার বিরুদ্ধে অনেক ধরণের অভিযোগ শোনা যায়।

তিনি হলেন সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী। সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী তাঁর সম্পর্কে যা জানা যায় তা হল তিনি ২০০৩ সালে ২৯ নভেম্বর ইসরাইল যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরাইলী পাসপোর্টসহ আটক হন। উল্লেখ্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কোন নাগরিক ইসরাইল ভ্রমন করতে পারেন না। সেই সময় ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে গোয়েন্দাগিরীর অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর আটকের খবর প্রকাশ করে জেরুজালেম পোস্টে এবং অন্য একটিইসরাইলী পত্রিকায়খুব গুরুত্বের সাথে ছাপা হয় যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

উনার বিরুদ্ধে আনীত সবচেয়ে স্পর্শকাতর অভিযোগটি হল বহির্বিশ্বের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের হত্যা করার জন্য ব্যাপকভাবে আহবান করা হয়। তাঁর একটি লেখাআর্টিকেলপড়ুন। এছাড়াও তিনি যে ইসরাইলের বন্ধু তা তিনি একটি স্বাক্ষরনামায়স্বাক্ষর করে দেখান। ১লা ডিসেম্বর ২০০৩ ডেইলী স্টার লেখে,বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর কাছে একটি প্রোজেক্ট প্রোফাইল পাওয়া যায়। যাতে তিনি ইসরাইলের কাছে তিনটি দৈনিক পত্রিকা যথা দৈনিক সোনালী দিন,দৈনিক রূপান্তর,দৈনিক পরিবর্তন প্রকাশের জন্য ১২ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন করেছিলেন।

তিনি তার আবেদনে ইসরাইলী বন্ধুদের মুসলিম প্রধান দেশে মিডিয়া গড়ে তোলার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন,কোটি কোটি ডলার খরচ করে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চেয়ে মিডিয়া সৃষ্টি করুন,এতে ইসরাইল বেশি লাভবান হবে। সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের ১৫ অক্টোবর ২০০৬ এর কলামে বলা হয় মি. চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় মূলত ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন এবং পাসপোর্টে অনুমতি না থাকার পরেও ইসরাইল ভ্রমনের চেষ্টা করার জন্য। পত্রিকাটি মি. চৌধুরীর উদ্বৃতি দিয়ে লিখে, When I began my newspaper [the Weekly Blitz] in 2003 I decided to make an end to the well-orchestrated propaganda campaign against Jews and Christians and especially against Israel. In Bangladesh and especially during Friday prayers, the clerics propagate jihad and encourage the killing of Jews and Christians (আমি যখন প্রথম সাপ্তাহিক ব্লিতস (weekly blitz) প্রকাশ করি তখন সিদ্ধান্ত নেই ইহুদী খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে বিশেষত ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে সংঘবদ্ধ প্রচারনা চলছে তার অবসান ঘটাতে। বাংলাদেশে শুক্রবারের খুতবায় মোল্লারা মূলত জিহাদের বাণী প্রচার করে এবং ইহুদী খ্রীস্টানদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে) তাঁর জেলমুক্তির জন্য জোর লবিং চালাতে এগিয়ে আসেন স্বঘোষিত মানবাধিকার কর্মী ড. রিচার্ড বেনকিন।

ড.বেনকিন ও সালাউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী মিলে http://www.interfaithstrength.com এই ওয়েবসাইটটি চালান। ওয়েবসাইটটির কয়েকটি সংবাদ শিরোনাম এরকম: ইসলামী সন্ত্রাসীদের নতুন আখড়াবাংলাদেশ কি ইসলামী সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যাচ্ছে?ইসলামী উগ্রবাদীদের কবলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য?ইরান বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে বাংলাদেশ কি মৌলবাদী রাষ্ট্র হচ্ছে? ইত্যাদি । মূলত বাংলাদেশে এমন আরও অনেকেই রয়েছেন যাদের ব্যাপারে বলতে গেলে অনেক অনুসন্ধান করতে হবে। কোন বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটলে বা বড় কোন ইভেন্টে এদের উপরে নজরদারী রাখা জরূরী।

যেমন: বিডিআর বিদ্রোহ,১/১১ এর ঘটনা,৯/১১,জাতীয় সংসদ নির্বাচন,ভারতের লোকসভা নির্বাচন,পাকিস্তানে যে কোন সামরিক অভ্যুথ্থান,বেনজীর ভূট্টো হত্যা,লাদেন হত্যা,দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন,সার্ক সম্মেলন ইত্যাদি ইত্যাদি। মোসাদ মূলত ইসরাইলের স্বার্থরক্ষাকারী গোয়েন্দা সংস্হা যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐ ইসরাইল নামক জায়গায় ইহুদীদের সামান্য একটু মাথাগোজার ঠাই করে দিতে যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত। যতদিন মোসাদ আছে ততদিন ইসরাইল এবং ইহুদী সম্প্রদায় থাকবে নিরাপদ। অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলোর সাথে চিরবৈরী স্বভাবের হওয়ায় বাংলাদেশের সাথেও এর সম্পর্ক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সিআইএর মত পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই মোসাদের এজেন্ট রয়েছে।

এমনও হতে পারে আপনার পাশে বসে থাকা লোকটিও মোসাদের হয়ে কাজ করে তথা ইসরাইলের স্বার্থ দেখে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.