আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরা পুলিশ না ফুলিশ....ডিজিটাল বাংলাদেশ

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। যশোরে আসামির বিশেষ অঙ্গ পুড়িয়ে দিলেন এএসপি সন্দেহভাজন এক যুবককে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যশোরের এএসপি আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। সিরাজুল ইসলাম নবাব নামের ওই যুবকের বিশেষ অঙ্গ মোমবাতির আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে তার আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্ত এএসপি ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারন কুন্দিপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে সিরাজুল ইসলাম নবাবকে পাঁচপোতা গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।

নবাবকে আটকের খবর পেয়ে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় আসেন যশোরের ‘ক’ সার্কেল এএসপি আনিছুর রহমান। তিনি চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে থানা হাজতে নবাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে এএসপি আনিছ একপর্যায়ে নবাবকে বেধড়ক পিটুনি দেন। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরে এলে এএসপি ফের নির্যাতন শুরু করেন নবাবের ওপর।

এমনকি তিনি মোমবাতির আগুনে নবাবের বিশেষ অঙ্গ ঝলসে দেন। গতকাল সকালে নবাবকে আদালতে হাজির করে পুলিশ রবিউল হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে। এ সময় নবাবের আইনজীবী তার মক্কেলের ওপর পুলিশ কর্মকর্তার পৈশাচিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন। আদালত রিমান্ড না-মঞ্জুর করে নবাবকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আদালতের আদেশে নবাবের প্রয়োজনীয় চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে বলা হয়।

নবাবের আইনজীবী হেকমত আলম গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আগুনে পোড়ানো ও মারপিটের কারণে তার মক্কেল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীর থেকে রক্তপাতও হয়। ফলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমীরুল ইসলাম রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেননি। আগামী ৫ এপ্রিল এ ব্যাপারে শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। সিনিয়র আইনজীবী মাহবুব আলম বাচ্চু জানান, আসামি নবাবকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়।

দাঁড়াতে অসমর্থ হওয়ায় তাকে আদালতে শুইয়ে রাখা হয় বলে জানান অ্যাডভোকেট বাচ্চু। যোগাযোগ করা হলে ‘ক’ সার্কেল এএসপি আনিছুর রহমান দাবি করেন, নবাবের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নবাব ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড। নিহত রবিউলের মোবাইল ফোনসেটটি ছিল নবাবের কাছে। ধরা পড়ার ভয়ে পরে সে মোবাইল ফোনটি পুড়িয়ে ফেলে।

এসব কথা পুলিশ হেফাজতে নবাব স্বীকার করেছে বলে দাবি করেন এএসপি আনিছুর রহমান। লিন্কঃ এইখানে গুতা মারেন  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.