আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের ক্ষতি হলে টিপাইমুখ বাঁধ হতে দেব না : হাসিনা ///দেশের ক্ষতি হবে কিনা উনি তা কি জানেন না????

পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" দেশে উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিয়ে যেতে আবারও নির্বাচিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৪ দল আয়োজিত এক জনসভায় এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। আর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রাজনীতি হচ্ছে খুনের, সন্ত্রাসের ও লুটপাটের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত এবং জাতীয় জাগরণ সৃষ্টির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।

প্রায় ছয় বছর পর সিলেটে কোনো জনসভায় বক্তব্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, 'আমার কাছে আপনাদের কোনো দাবি করতে হবে না। আপনাদের জন্য কী করতে হবে, তা আমি জানি। এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করব। আবার সরকার গঠন করতে পারলে নতুন নতুন উপহার নিয়ে আসব।

' সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, সিলেট মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ ব্যাংক এবং সিলেটে একটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন করা হবে বলেও তিনি সমাবেশে ঘোষণা দেন। সিলেটের উজানে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইতিমধ্যে ভারতকে বলে দিয়েছি, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের জরিপ করতে হবে। এতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। ' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যদি বাংলাদেশের ক্ষতি হয় তাহলে টিপাইমুখ বাঁধ হতে দেব না।

' শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই জনগণকে কিছু দেয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের হিসাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশে সাড়ে চার লাখ মানুষের সরকারি চাকরি এবং ৬৮ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি জোট সরকার পাঁচ বছর হত্যা আর লুটপাটের রাজনীতি করেছে। তারা শুধু বোমা, গ্রেনেড, সন্ত্রাস, খুন ছাড়া কিছু দিতে পারেনি।

তারা জনগণকে কিছু দেয়নি, শুধু নিয়েছে। তারা জনগণকে বিদ্যুৎ দেয়নি, দিয়েছিল দুর্নীতি। খালেদার ছেলে খাম্বার ব্যবসা করত। তাই জনগণকে বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা দিয়েছিল। এই খাম্বাগুলো এখন রাস্তার পাশে শুয়ে আছে।

' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেত্রীর ছেলে মানিলন্ডারিং আইনে ধরা খেয়েছে। বিদেশে অর্থপাচার ধরা পড়েছে। অর্থসম্পদ লুটপাট করাই ছিল তাদের প্রধান কাজ। এখন আর লজ্জা-শরমের বালাই নেই। ' বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'চোরের মায়ের বড় গলা।

' বিএনপি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছ থেকে যারা টাকা খায় তাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, 'জাতির পিতার হত্যাকারীদের তারা বাঁচাতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান খুনিদের চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তাদের বাঁচাতে পারেনি। ' জাতির জনকের খুনিদের বিচার যেমন হয়েছে, তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কেউ তাদের বাঁচাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, 'আমরা এ দেশকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ' ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ সরকারের ওয়াদা ছিল সার কারখানা হবে, তা হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জে ৯০ মেগাওয়াট, সিলেটে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে।

সিলেট নগর ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। সিলেট নগরের পানি সমস্যা দূরীকরণে ১১০ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যে কাজ করেছে কোনো সরকার আর তা করেনি।

সরকার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের বাচ্চাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, 'সীমান্তে অপদখলীয় জমি চিহ্নিত করেছি। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারের সঙ্গে জয়ী হয়েছি। এক লাখ ১১ হাজার মাইল সমুদ্রসীমা জয় করেছি।

ভবিষ্যতে সরকারে থাকলে ভারতের সঙ্গেও সমুদ্রসীমা জয় করব। ' সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৪ দলের নেতারা। শাহজালাল সার কারখানার ভিত্তি স্থাপন : গতকাল সকাল ১০টায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে আরো তিনটি সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে দেশে ছয়টি সার কারখানা রয়েছে। এর সবই বেশ পুরনো হয়ে গেছে। উৎপাদনক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে। তাই চাহিদা মেটানোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ লাখ টন সার আমদানি করতে হয়।

এই কারখানা চালু হলে প্রায় ছয় লাখ টন সার আমদানি কমবে। ' একই সঙ্গে সরকার দেশে আরো তিনটি সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি জানান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে তিন বছরে ৩৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ইতিমধ্যে ৫৩৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে চালু হয়েছে ২৮টি। বাকি ২৪টি কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

' প্রধানমন্ত্রী গত নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস। উল্লেখ্য, শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্পের কাজে ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। কারখানাটি নির্মিত হলে প্রতিদিন এক হাজার ৭৬০ টন করে বছরে পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টন ইউরিয়া এবং প্রতিদিন এক হাজার টন করে বছরে তিন লাখ ৩০ হাজার টন অ্যামোনিয়া সার উৎপাদিত হবে। শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণের জন্য সম্প্র্রতি চীন এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকার এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক মোট ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ দেবে। যার পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। বাকি এক হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেবে। আগামী ৩৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন : শাহজালাল সার কারখানার নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী একই উপজেলার পারুলীকোণায় ফেঞ্চুগঞ্জ ৯০ মেগাওয়াট সিসিপিপি পাওয়ার প্লান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

এই প্লান্ট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫২৪ কোটি টাকা। এরপর দুপুরে সিলেট নগরের কুমারগাঁওয়ে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮৭৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কেন্দ্রটি চালু হলে সিলেটে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়াবে মোট ৬১৩ মেগাওয়াট। এ ছাড়া কেন্দ্রটি চালুর পর উপজাত হিসেবে বিনা খরচে অতিরিক্ত আরো ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সিটি করপোরেশনের ১২তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নগর ভবনে পৌঁছালে সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান তাঁকে স্বাগত জানান। নগর ভবন নির্মাণে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। শিক্ষা বোর্ড উদ্বোধন : নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে ছয় একর ভূমির ওপর নির্মিত হয়েছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড ভবন। এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৮২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

আট তলাবিশিষ্ট ভবনের চার তলার পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভবনে দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এতে বোর্ডের বিশাল অঙ্কের টাকা ও সময় সাশ্রয় হবে। ১৯৯৯ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের যাত্রা শুরু হলেও রেজাল্ট-সার্টিফিকেটসহ বেশ কিছু দাপ্তরিককাজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে করতে হয়। আধুনিক কম্পিউটার সেন্টার স্থাপনের ফলে এসব কাজে আর কুমিল্লায় যেতে হবে না।

নগর ভবনেই আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পাসপোর্ট অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : প্রধানমন্ত্রী নগর ভবনেই সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই ভবনটি নির্মাণ করা হবে নগরের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায়। প্রায় ৫০ শতক ভূমির ওপর পাঁচ তলাবিশিষ্ট এ ভবনের তৃতীয় তলা নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর সম্পূর্ণ কাজে মোট ব্যয় হবে সাত কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

কঠোর নিরাপত্তা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে সিলেট নগরকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্য চার স্তরের নিরাপত্তায় ঘিরে রাখে গোটা নগরকে। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) রেজাউল করিম জানান, মহানগর ও জেলা পুলিশের নির্দিষ্ট ফোর্স ছাড়াও বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়। নিরাপত্তা বলয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ছাড়াও মহানগর পুলিশের তিন হাজার, জেলার এক হাজার ও র‌্যাবের ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকা থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারে ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন শেষে নগরীতে এসে তিনি শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। দুপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউসে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সিলেটের উন্নয়নসংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা করেন। এরপর মধ্যাহ্নভোজ এবং বিশ্রাম নেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় জনসভায় যোগ দেন তিনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.