আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হতাশায় বিচার বিলম্বিত করার কৌশল জামায়াতের !!

নানামুখী চাপে ও জনসাধারণের নিকট ইমেজ সংকটে হতাশ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতাদের সংগঠন জামায়াত । ইতোমধ্যে এদের শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হওয়ায় বেকায়দায় সংগঠনটি । এরপর উইকিলিকসের ফাঁস করা নথি অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তারবার্তায় বলা হয়, 'যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে তা ঠেকাতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে_ এমনটি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী হিসেবেও প্রচারণা চালায় জামায়াত। ' ওই বার্তায় বলা হয়, ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতে জামায়াতে ইসলামীর একাধিক প্রতিনিধি এসব ব্যাপার নিশ্চিত করেন।

কিন্তু কোনো দেশেরই কাঙ্ক্ষিত সমর্থন পায়নি জামায়াত। সৌদি আরব ও পাকিস্তান বরাবরই যুদ্ধাপরাধের বিচারকে বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দলের শীর্ষ নেতারা বর্তমান সরকারের আমলে মুক্তি পাচ্ছে না, এটা ধরে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার 'কৌশল' নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বর্তমান সরকারের বাকি ২২ মাসে বিচার সম্পন্ন যাতে না হয়, তার ওপর বেশি গুরত্ব দিচ্ছে জামায়াত। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বিচার প্রক্রিয়া আরও শ্লথ হতে পারে আশা করছেন দলটির নেতারা।

আগামী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হলে, চার দল ক্ষমতায় এলে জামায়াত নেতাদের মুক্ত করে 'প্রকৃত' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার পরিকল্পনার কথা! 'অনুকূল' সময় এলে পুরো বিচার প্রক্রিয়া পাল্টে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তারদর। ২০১০ সালের ২৯ জুন ও ৭ জুলাই আটক হয় জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ দলের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতা। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি আটক হয় দলের সাবেক আমির গোলাম আযম। দলের নেতারা আটক হলেও বিচারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়তে ব্যর্থ হয়েছে জামায়াত। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর রাজপথে বড় ধরনের তাণ্ডব চালিয়েও সফলতা আসেনি।

বরং সরকারের জামায়াতবিরোধী মনোভাব আরও কঠোর হয়েছে। সভা-সেমিনার, ইন্টারনেট, ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও বিচারবিরোধী জনমত গঠনে ব্যর্থ হয় জামায়াত। দেখুন_ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.