আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এভারেস্ট শিখরে বাংলাদেশী নারী - পুরুষের প্রথম যৌথ অভিযানে যাচ্ছেন নিশাত ও মুহিত। সকলের দোয়া চেয়েছেন

বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন অভিযানের পতাকা প্রদান মহান স্বাধীনতার এই গৌরবময় মাসে এভারেস্ট বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রথম নারী-পুরুষের যৌথ অভিযাত্রিক দলের হাতে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা তুলে দিলেন জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ১৬ ই মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত পতাকা - প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন স্পন্সর, সাংবাদিক সহ আরও অনেকে। তাদের অভিযান শুরু হবে এপ্রিলে। ৬ তারিখে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু পৌঁছবেন ও অভিযানের প্রস্তুতির সব উপকরণ কেনাকাটা করবেন। তারপর লুকনা পোঁছাবেন ৯ তারিখ এবং ৮ দিন ট্র্যাকিং করে বেইসক্যাম্পে পোঁছাবেন।

তারপর একে একে বিভিন্ন ক্যাম্প পাড়ি দেয়ে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা এভারেস্টের চুড়ায় পোঁছাবেন। গতবার মুহিত এভারেস্ট বিজয় করে ফিরলেও এবার তিনি যাচ্ছেন দ্বিতীয়বারের মত জয় করতে এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাতের সাক্ষী হতে। জাফর ইকবালের সাথে নিশাত ও মুহিত বিএমটিসির (বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব) প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক বলেছেন আমরা সবাই মনে প্রাণে দোয়া করি নারী - পুরুষের যৌথ এই অভিযান সফল হবে, কিন্তু কোন কারণে যদি এ অভিযান সফল না হয় সমস্যা নাই আমরা এই অভিযান আবার পাঠাবো তবে বাংলাদেশের নারী এভারেস্টের চুড়ায় পোঁছাবে এটা তিনি দেখতে চান, সারা দেশ দেখতে চায়, সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌছাতে পারে। এভারেস্ট চুড়ায় মুহিত বাংলাদেশের পতাকা হাতে (২০১১ সালের ছবি) বিএমটিসির পতাকা হাতে (২০১১ সালের ছবি) মুহিত ও নিশাতের এভারেস্ট অভিযানের সক্ষমতাঃ এম এ মুহিত বাংলাদেশের এভারেস্টের বিজয়ের অভিমুখে যাওয়া প্রথম পর্বতারোহী এবং ইতোমধ্যে এভারেস্ট বিজয় করে এসেছেন যদিও প্রথম তার প্রথম অভিযান বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সফল হতে পারে নাই। এম এ মুহিতই প্রথম বাঙ্গালি (শুধু বাংলাদেশী নয়) যে এভারেস্ট সমকক্ষ ৮,০০০ ফুটের বেশী উচ্চতার তিনিটি পর্বত (এভারেস্ট, মানাসলু, চৌ ইয়ু ) বিজয়ের অসামান্য রেকর্ড।

পূর্বে কখনো বিজয় হয়নি এমন একটি চুড়া বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ অভিযানে জয় করে ঐ চুড়ার নাম নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ চুড়া নামকরণ করা হয় আর সেই বিজয়ী অভিযানের নায়কদের অন্যতম একজন। নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ চুড়া বিজয় (২০১০ সালের ছবি) নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ চুড়া বিজয়ের সংবাদ সম্মেলন(২০১০ সালের ছবি) নিশাত ইতোমধ্যে ৬,০০০ ফুটের অধিক কয়েকটি পর্বত চুড়া জয় করেছেন এবং গতবছর মানাসলু অভিযানে গিয়ে সর্বোচ্চ ৭,২০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন। অক্সিজেন স্বল্পতার কারনে অভিযানের সমস্ত অক্সিজেন তিনি মুহিতকে দিয়ে দেওয়ায় মানাসলু বিজয় হয় নাই তবে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ও সক্ষম ছিলেন। তাই ইনাম আল হক মনে করেছেন যেহেতু নিশাত দীর্ঘদিন ধরে পর্বত আরোহণ করছেন এবং ৭২০০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পেরেছেন কোনরকম সমস্যা ছাড়া তাই নিশাত এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত এভারেস্টের মত ঝুঁকিপূর্ণ একটা অভিযানের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য। প্রথম এভারেস্ট অভিযানে যাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে নিশাত বলেন, 'খুব ভালো লাগছে যে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট অভিযানে যাচ্ছি।

সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন সফলভাবে এ অভিযান শেষ করে আসতে পারি। আমি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করে বাঙালি জাতির জন্য ইতিহাস গড়তে চাই। ' এভারেস্ট জয়ী মুহিত বলেন, 'আমি এভারেস্ট জয় করলেও নিশাত এই প্রথম অভিযানে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আমি দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট জয়ের অভিযানে যেতে পেরে নিজেকে আরো গর্বিত মনে করছি। অমরা এখন জানি কীভাবে চূড়ায় নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হয়।

আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিশাতকে অভিযানের ব্যাপারে সাহায্য করব। ' এভারেস্টের চুড়ায় ছবি তোলার জন্য অক্সিজেন মাস্ক খুলছেন মুহিত (২০১১ সালের ছবি) এভারেস্ট শিখরে বাংলা (২০১১ সালের ছবি) রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, 'ঘর থেকে পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশের নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের নতুন প্রেরণা যোগাচ্ছে। স্বাগত বক্তব্যে জাফর ইকবাল বলেন, 'তরুণ প্রজন্ম আমাদের নতুন নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তারা প্রগতির পথে বারবার আমাদের পথ দেখাচ্ছে। আজকে নতুন প্রজন্মের হাতে আমাদের ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

তাদের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তন করা সম্ভব। ' অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্যারাগন গ্রুপের প্রধান সমন্বয়কারী মঞ্জুর ই এলাহী, মাছরাঙা টেলিভিশনের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়রুল মজিদ মাহমুদ প্রমুখ। অতিথিদের সাথে মুহিত ও নিশাত এ অভিযানে সর্বাধিক সহযোগিতা করেছেন প্যারাগন গ্রুপ তাছাড়া আরও অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা হল ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিজ, সুইস বেকারি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, এ কে খান অ্যান্ড কম্পানি লিমেটেড, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন, কোল্ডওয়েল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। মুহিত ও নিশাতের বাবা মা সহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এসে তাদের সন্তানদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। আসুন আমরা সবাই দোয়া করি নিশাত ও মুহিতের এই অভিযান যেন সফল হয়।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.