আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্মশানের ছাঁই

"যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে আমি বাইব না (২) আর খেয়া তরী এই ঘাটে গো। " সোমা শিশিরের কাছ থেকে উঠে পাশের রুমে গেল। আজ শশাঙ্কের মৃত্যু বার্ষিকী। হাজার আঁখির অশ্র“ থেমে গেছে। সোমার চোখের কোণায় আজও লেগে আছে সেদিনের সেই অশ্র“বিন্দু।

শিশির তাকে বাধা দিল না। পাশে থাকা সোমাকে আটকালো না। সোমা ট্রাংক খুলল। রুমালটা বের করল। গিট্টি খুলতে দারুণ কষ্ট হলো।

রুমালে বাঁধা শ্মশানের ছাঁইটুকুও যেন ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে। ১৬ মে; শশাঙ্ককে কারাগারে নেওয়া হয়। শুরু হয় সোমার বিষাক্তময় দিনগুলো। দুঃখের সময় সুখের অনুভূতিগুলো দুঃখকে বাড়িয়ে তোলে। সোমার চোখের জলে ভেসে ওঠে সেসব দিনগুলো।

অধিক আনন্দ যে চোখের জলেই প্রকাশিত হয় সোমা তা জানতো না। রুমালের ছাঁইগুলো আবার রুমালে বেঁধে রাখল। কিছু প্রেম গোপনে আসে নীরবে চলে যায়। মনের দুকূল একদিন কানায় কানায় ভরিয়ে আবার তাকে ব্যথার সাগরে ভাসিয়ে যায়। সোমা স্বামীর রুমে ফিরে এলো।

জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। আকাশে এলোমেলো মেঘ। সোমার মাথা তার চেয়েও এলোমেলো। শিশির ওর কাঁধের উপর দিয়ে হাত দিল। আস্তে আস্তে বুকের সাথে জড়িয়ে নিল।

সোমা শিশিরের বুকে মাথা রেখে ডুকরে কেঁদে উঠল। সোমার সাথে শশাঙ্কের দেখা এক নাটকীয় ভাবে। কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গোলমালের মধ্য দিয়ে। সোমা তখন জাংলায় ঝোলা কঁচি লাউ। বাড়ন্ত শরীর আর নীরবী চোখের ভাষা।

চোখে কথা বললেও তার মুখে ছিল তালা। কথা যেন তার ঠোঁটে ফোটে না। বুকের এক অংশ থর থর করে কাঁপতো। শশাঙ্ক তখন পড়া ছেড়ে বাটপাড় বলিষ্ঠ যুবক। বাপ মা’র বকুনি আর বড় ভাইয়ের অভিযোগ ছিল তার নিত্য দিনের পাওনা।

সংসার তাকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। তারপরও সোমার চোখের দিকে তাকালে তার ঘর বাঁধার স্বপ্ন জাগে। শশাঙ্ক অনেক সাহসী, অনেক শক্তিশালী। তবু নীরবী মেয়েটি সোমার কাছে এলে সে দুর্বল হয়ে যায়। কথা বলার শক্তি ও সাহস খুঁজে পায় না।

ওঁড়াকান্দির মেলায় বসে প্রথম তাদের কথা হয়ে ছিল। যোগ শেষ হয়ে গেছে। শশাঙ্ক গামছাটা নিয়ে কামনা সাগরে নামছে। তার মনে কোন কামনা নেই। সবাই øান করে তাই সেও নামছে।

তাও একদিন পর বিকেল বেলা। ওঠার জন্য মুখ ঘোরাতেই দেখল সোমা সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। শশাঙ্ক নীরব। সোমার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটল। এতটুকু হাসি যেন সে চেপে রাখতে পারেনি।

সোমা বলল, “আজ কেন?” “ঠাকুরের যখন ইচ্ছে তখনই সব। ” “কলির ঠাকুর যেন অসময়ে ইচ্ছে করে। ” “হয়তো। সুসময় যখন সবার জন্য নয় তখন অসময়টা মন্দ কিসের। ” “ঠিক সময়ে ঠিক জিনিসটি পাওয়ার মজাই আলাদা।

” “সবার জীবন এক নয়। চাওয়া ও পাওয়ার মাঝে অনেক জীবনের পার্থক্য রয়ে যায়। ” “চাওয়াই পাওয়ার একমাত্র পথ। পাওয়া যেখানে যেমন কঠিন পাওয়ার স্বার্থকতা সেখানে তত বেশি। পাব না বলে চাব না এমন হলে পাওয়া জিনিসটা কোন দিনই পাওয়ার হবে না।

” “আমি শুধু ভেবে ভেবে যাই। পাওয়ার লোভ করে যদি না পাই তবে কেবল কষ্টই হবে। ” “লোভ হয় দেখছি। ” “লোভ করতে পারছি না তো তাই লাভের প্রতি একটু লোভ করছি। ” এভাবে সোমার মুখ খোলে।

কঁচি মেয়েটি কাঁচা আমের মত টক ছড়ায়। জিহ্বে যেন তর সয় না। সোমার মুখের যতই সেলাই কাটে লাজুকতা ততই বেসামাল হয়ে ওঠে। সোমার বয়স পনের। উদয়ন বিদ্যা পীঠের ছাত্রী।

নবম শ্রেণীর সমাপনী পরীা দিয়েছে। ছুটি এক মাস। মাথায় কেবল ঢেউ খেলানো বুদ্ধি। বর্ষার জল নিচে নেমে গেছে। পথে ঘাটে কেবলি কাদা।

ওড়াঁকান্দির মেলা আবার প্রায় এসে গেছে। সোমার মনে আজও গেঁথে আছে সে ক’টি কথা। সকল মানুষের কোন না কোন একটা যোগ্যতা থাকেই। শশাঙ্কেরও কথা বলার যোগ্যতা ছিল অতুলনীয়। সোমা রাস্তার পাশের বটগাছটির নীচে দাঁড়িয়ে ভাবল, লোকটার সাথে যদি আর একবার দেখা হতো ভালো হতো।

ওকে আজ তার দারুণ ভাবে মনে পড়ছে। ছেড়া চেইন জোড়া দেয়ার জন্য বাজারের দিকে অগ্রসর হলো। মা তাড়াতাড়ি ফিরতে বলল। বাজারের কালভার্টের কাছে এলেই শশাঙ্কের সাথে দেখা হলো। জায়গাটা দুই বাজারের মাঝে।

সোমাকে দেখে শশাঙ্ক পাশের গাছটির নীচে অপো করল। সোমা কাছে এলো। মুখে হাসি ফুটল। বলল, “কেমন আছেন?” “কারো কারো থাকা আর না থাকা একই। ” “তবে কি ভাবব? আপনি আছেন নাকি নেই।

” “একটা ধরলেই হয়। ” “আপনি এমন কেন?” “কেউ কোন দিন থাকা না থাকা নিয়ে কোন কথা বলেনিতো তাই। ” “যদি বলতো?” “তাতো বলতে পারব না। পরিবেশ বলে দিত কি করতে হবে। ” “অনুভব হয় না?” “যেখানে ভাবের অভাব সেখানে অনুভব কেবল মিথ্যে।

মিথ্যেকে আমি পছন্দ করি না। ” “কাকে পছন্দ করেন?” “সত্যকে আর সত্যের সেবককে। যারা মিথ্যে বলে তাদের মুখই সার কর্মে নেই। আমি কর্মে বিশ্বাসী। ” “মিথ্যেও সত্যের অঙ্গ।

কিছু সত্য মিথ্যের মাঝে লুকিয়ে থাকে। গোপনে তা সত্যকে হারায়। ” “মিথ্যার মধ্যে মুক্তা আমি খুঁজতে চাই না। “ “যা প্রয়োজন তা সত্যই হোক আর মিথ্যাই হোক খুঁজে নিতে হয়। প্রয়োজনকে পাওয়ার জন্য ভিকারির কাছে হাত পাততে হলেও তি কি?” “আমার বেলা কিছুটা তিকর।

আমি না পাওয়ার মাঝে প্রয়োজন বোধ করি না। ” “আজ না করলেও একদিন করতে হতে পারে। কারণ, সব দিনই আজকের মত চলবে না। দিন বদল আসবেই। আপনাকেও বদলাতে হবে।

” “সময় হোক। ” “কেউ কেউ হয়তো সে সময় পর্যন্ত অপো করতে পারবে না। ” “আমি কি বলেছি?” “বলতে কতণ। আজ না হোক কোন একদিন তা হতেও পারে? না-কি?” “আমি কারো প্রতি অন্যায় আব্দার করি না। ” “একদিন হয়তো করবে।

আর সেদিনটি খুব বেশি দেরি নাও হতে পারে। ” “আপনি দেখছি আমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করছেন। ” “মিথ্যা বলব না। ” “কেন ভাবতে গেলেন?” “কেউ ভাবে না বলে। ” লোকজন দেখে সোমা চলে গেল।

বলে গেল, “আবার দেখা হবে। ” শশাঙ্ক যেন আবার দেখার অপোয় রইল। সেদিন যেন খুব তাড়াতাড়ি আসছে না। রাহুথড় বাজার দিয়ে ঘোরার সময় তার চোখ যেন আরো বেশি ঘোরে। ও এখন পাওয়ার জন্য অপ্রয়োজনকেও খুঁজতে শুরু করছে।

ওর মন ঘুরে ফিরে কেবল সোমার সামনা-সামনিই দাঁড়ায়। চেয়ে থাকে নির্বাক। দেখা করার জন্য একটা চিঠি দিল। চিঠির চার দিন পরে দেখা হলো। সোমার হাসি উজ্জ্বল মুখ।

সামনে দাঁড়াল। বলল, “আমি জানি, আপনি আমাকে খুঁজবেন। আমিও যে খুঁজিনি তা নয়। কিন্তু তা মনে মনে। আপনার সেদিনের কথাগুলো আমার চিরদিন মনে থাকবে।

” “তাহলে আমিও চিরদিন মনে রাখার মত কথা বলতে পারি? খুব খুশি হলাম। তবে দিনটা কবেকার? “মধুকৃষ্ণ ত্রোয়দশী। ওঁড়াকান্দির মেলা। তবে আমার মনে হয় চিঠির মানুষটি আর আপনার মাঝে কোন মিল নেই। ” “পার্থক্য?” “আপনি তুমিতে।

” “তোমার দেখছি সাংঘাতিক দৃষ্টি। ” “ঠিক তোমার মত?” দু’জনেই হাসল। বাধার বাদ ভেঙ্গে দু’জনে এগিয়ে চলল আরো সামনে। “চিঠির ভাষা কি তোমার মনে থাকবে?” “শশাঙ্ক কখনও প্রতিশ্র“তি ভাঙ্গে না। ” “কিন্তু সকল প্রতিশ্র“তিই একদিন ভাঙ্গে।

” “সেগুলি শশাঙ্ক নয়। ” “সেটা যেন আমার চিরদিনের গর্ব হয়। আমি ধন চাই না বা কাউকে স্বামী করতে। আমি কারো স্ত্রী হতে চাই যেখানে গর্ব আছে। ” “আমরা দুজন ভাসিয়া এসেছি--।

” “থাক। ” “এখানেই থেমে যাবে। ” “আমি থামব না। ” “আমাকে যে থামিয়ে দিলে। ” এভাবেই ধীরে ধীরে দুজনে মিলে গেল একাকার হয়ে।

জীবনে নেমে এলো প্রেমের শ্রাবণ ধারা। দুজনের মধ্যে কত পণ, প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্র“তি। কত মিলনের স্বপ্ন, সাধ, সৌন্দর্য। গ্রামের যুবক ছেলেদের সাথে জোট বেঁধে শশাঙ্ক পাড়ি জমাতে চাইল ভারতে। অবৈধ ভাবে রওনা দিল তাদের দল।

ভারতে পৌঁছনের পর ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা খেল কেউ কেউ। তার মাঝে শশাঙ্কও। কোলকাতা থেকে দিলি, দিলি থেকে মোম্বাই কারাগারে। জীবন থেকে কমতে থাকল দিনগুলি। কারাগারের গ্রিল ধরে কত স্বপ্ন, কত স্মৃতি তার মনে পড়ছে।

চোখে কেবল অপো আর জল। স্বপ্ন শেষ হতে হতে ভোরে সূর্য উঁকি দেয় মাথার কাছে। চলে দিনের পর দিন। শশাঙ্কের জেলে যাওয়ার পর কোন একদিন দেখা হয় শিশিরের সাথে। পরিবর্তন হতে থাকে সে নিভীড় প্রেমের।

শিশির হয়ে ওঠে সোমার প্রিয়জন। শশাঙ্ক চলে যায় দূরে। চাপা পড়ে যায় সেই প্রথম প্রেমের উত্তেজনা। শিশির ইউনিভারসিটির স্টুডেণ্ড। বলিষ্ঠ যুবক।

সোমার মন ভরে যায়। প্রতিশ্র“তি ভুলে যায় শশাঙ্কের। যদিও সকল প্রতিশ্র“তি কোন এক দিন ভাঙ্গে। শিশিরের সাথে সোমার বিয়ে ঠিক হয়। গোপনে তারা বিয়ে করে।

শিশিরের বাবা সে বিয়ে মেনে নেয় না। চলে কলোহ। এবার সোমার মনে আবার ভেসে ওঠে সেদিনের সেই ছেলেটি শশাঙ্ক। যে চলে গেছে অনেক দূরে। ইচ্ছে করলেও সোমা আর কোন দিন সে পথে পৌঁছাতে পারে না।

শিশিরও যেন বদলাতে থাকে। তার সংসারের পরিবেশ তাকে বিমোহিত করে। সোমা খানিকটা একা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি কোন একদিন শশাঙ্ক দেশে ফেরে। জানতে পারে সোমা দূরে চলে গেছে।

সোমা তার সীমানার বাইরে। বিজয় দশমীর দিন সোমার সাথে শশাঙ্কের দেখা হল। সোমা যেন বধূবেসে আরো সুন্দরী হয়েছে। হাসিতে এখন মুক্তা ঝরে, বুক কাঁপে বারে বারে। শশাঙ্ক নীরবে দাঁড়িয়ে আছে।

সোমা ধীরে ধীরে কাছে এসে, “কেমন আছো?” শশাঙ্ক নীরব। খানিক পরে হাসি টেনে, “এইতো। ” “কবে এসেছ?” “কয়েক দিন হলো। ” “এবার ঘর বাঁধতে শেখ। ” “যারা ভালোবাসতেই পারে না তারা ঘর বাঁধবে কি করে? এই বেশ আছি।

এভাবে হয়তো বাকিটা কেটে যাবে। তুমি ভালোবাসতে পার তোমার ঘর হয়েছে। সুখে থেকো। ” শশাঙ্ক চলে গেল। সোমা যেন থেমে গেল।

তার বুক কাঁপছে। হাত পায়ে শক্তি কমে আসছে। সোমা সেখান থেকেই বাড়ি ফিরে গেল। রাতে তার চোখে ঘুম এলো না। সারা রাত জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কাটাল।

মনে পড়ল কত সুখ স্মৃতি প্রতিশ্র“তি। শশাঙ্ক বদলে গেছে। এ পরিবেশে সবাই বদলায়। শশাঙ্কের প্রথম চিঠিটা বের করল। “তুমি আমার অনেক জনমের সাধনা।

জন্ম জন্মান্তরের উপহার। তুমি আছো বলেই স্বপ্ন জাগে ঘর বাঁধি। তুমি আছো বলেই ঘরে ফেরার সাধ জাগে। ” সোমা কাঁদল। তার এ কান্না কাউকে দেখানো যাবে না।

নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। সুখ স্মৃতি সব যেন তার জীবনের অতীত। শশাঙ্কের সাথে দেখা করতে চাইল। জীবনের একটা হিসাব চাই। গরমিল হিসাবের একটা সমাধান চাই।

শশাঙ্ককে কাদনীর তীরে ডেকে আনল। শশাঙ্ক এখন নীরব। ওর মুখে কথা নেই। সোমা কাছে এসে হাত ধরল। বলল, “তুমি আমাকে ভুলে যাও।

” “পারি না। ” “তবে আমাকে বিয়ে কর। ” “অসম্ভব। তোমরা সুখী হও। সে সুখের মাঝে আমার জীবন উৎসর্গ করি।

” “ভাগ হওয়া মনে ঘর হয় না। ” “ভাগ করতে গেলে কেন?” “তোমাকে ফাঁকি দিতে পারছি না বলে। বিশ্বাস কর, আমি আর পারছি না। ” “বিশ্বাস মানুষের জীবনে একবারই আসে। নিঃশ্বাসের মত চলে গেলে আর কোন দিন ফিরে আসে না।

ঘর ভাঙ্গলে আবার তোলা যায়। মন ভাঙ্গলে আর জোড়া লাগানো যায় না। আমি তোমাকে তোমার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেব। ” “ও বদলে গেছে। ” “তুমিও।

ওকে আবার বদলাও। তোমাদের ঘর ভেঙ্গেছে মন ভাঙ্গেনি। তাও পুরোপুরি ভাঙ্গেনি। সাময়িক ঝড়ে এলোমেলো করে গেছে। যে দূরে গেছে তাকে ভুলে যাও।

যে কাছে আছে তাকে জড়িয়ে ধর। জীবনকে স্বার্থক কর। যে কথা বলা হয়নি তা গোপনে থেমে যাক আর কোন দিন বলতে চেওনা। জানালায় দাঁড়িয়ে শুধু এখনের কথাই ভেব অতীতকে ভুলে যাও। ” “সুন্দর অতীত ভোলা যায় না।

জীবনের পথে পথে সে পাথেয় দেয়। ” “মিথ্যা কখনও সুন্দর হয় না। দূরের প্রেম কাছে ডেকে তাকে কলুষিত কর না। তুমি মিশে থাকো আমার মনের নিভৃতে ভোরের কূয়াশার মত। শীতের সকালে তোমাকে আলিঙ্গন করব সবুজ ঘাসের ধূলি কণায়।

বর্ষা বসন্তে ঢেউ তুল, ফুল ফুটিও অন্যের মনের কোণে। সে সুবাস আমার জীবনে শিশিরের ঘাস হয়ে থাক। ” পরের দিন সকালে শশাঙ্কের লাশ গাছের ডালে ঝোলানো পাওয়া গেল। ও ঘুমিয়ে গেল মধ্যাহ্নে। আর কখনও বলবে না, তোমরা সুখী হও।

কখনও বলবে না, তুমি পাশে আছো বলে আমি আজও জেগে আছি। ও বলবে না সোমা, আমি আবার ফিরে আসব। তোমাকে ছাড়া আমি এক সেকেণ্ডও বাঁচতে পারব না। ১০.১০.২০০৮ইং লোহাইড়, মুকসেদপুর, গোপালগঞ্জ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।