আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতের না খাওয়া মৃত মানুষ এবং বাংলাদেশের পতিতালয়

নিজে যাকে ভালো বলে বলে সে ভাল নয়। লোকে যাকে ভাল বলে ভাল সেই হয় আজকে ফেসবুক এ লগিন করেই ১টা পোষ্ট এর দিকে নজর পরল। পোষ্ট এ লিখা “কুত্তার নজর সবসময় ঘু'য়ের দিকেই থাকে। । ভালো কিছু দিলেও ঘু ই খাবে।

তেমনি ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভি রিপোর্ট করলো আমাদের টাঙ্গাইলের পতিতালয় নিয়ে। । বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই রিপোর্ট করে "এনডিটিভি"। । বলাই বাহুল্য, সব নেগেটিভ রিপোর্ট।

মিয়ানমারের কাছ থেকে আমরা যেঁ সমুদ্র সিমা আদায় করতে পেরেছি এ নিয়ে ভারতীয় কোন মিডিয়াতে খবর দেখলাম না, কিন্তু পতিতালয়ের খবর ঠিক ই ফোকাস করে। । ওদের দেশে যেঁ হাজার হাজার পতিতালয় আছে, তা নিয়ে কোন রিপোর্ট করেছি কি তারা? আসলে সবার শেষে আগের কথাই বলতে হয়, কুত্তার নজর ঘু;য়ের দিকে । । “ তারপর ঘটনা কি টা জানার জন্য এনডিটিভির ওয়েবসাইট এ টু মেরে দেখলাম আসলেই ঘটনা সত্য।

তারা টাঙ্গাইলএর পতিতালয় নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে। শিরোনাম ছিল ”Bangladesh's "teenage" brothels hold dark steroid secret” সংবাদের ছিটা ফুটা কিছু বিষয় তুলে ধরছিঃ টিনএজ বয়সী মেয়েদের মুখে গারো মেকআপ,তাদের পরনে ছোট ব্লাউজ এবং পেটিকোট। টাঙ্গাইল শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সন্ধ্যা সকালেই তাদের দেখা যায়। এইধরনের মেয়েদের খোজে পুরুষদের কোন কমতি নেই। কিন্তু মাত্র ৫০টাকা হারে হলেও তাদের সুন্দর চেহারা,আকর্ষণীয় ফিগার দ্বারা পুরুষদের আকৃষ্ট করতে হয়।

অন্য প্যারায়ঃ “আমাকে মাত্র ১০ বছর বয়সে কোন এক লোক এই বেশ্যা পল্লীতে বিক্রি করে দেয়”বলেছে হাসি(১৭)। হাসির আরও কথোপকথন এই নিউজ এ উল্লেখ করা আছে। পতিতাদের সম্পর্কে আরও বলা আছেঃ তাদের গরু মোটাতাজা করনের ঔষধ সেবন সম্পর্কে । বেশ্যালয়ে তাদের সংগ্রামিক জীবন সম্পর্কে। bla bla bla আপনারা গিয়ে পড়তে পারেন।

আপনাদের আমি নিচে বাংলাদেশ এবং ভারতের বেশ্যাবৃত্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য তুলে ধরছিঃ প্রথমেই বাংলাদেশঃ বাংলাদেশে মোট পতিতাবৃত্তিতে রয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ। তার মধ্যে শিশু যৌন কর্মীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯০২। এদের মধ্যে শতকরা ৮৩ ভাগই মেয়েই শিশু। ৬৯ ভাগ শিশু যৌনকর্মী গ্রামের এবং অবশিষ্টরা নগর এলাকার। আমি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০০৬ সালের জরিপ অনুসারে বলেছি।

আবার রয়টারের তথ্য মতে বাংলাদেশে সর্বমোট যৌনকর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারেরও কিছু বেশি। এবং ঢাকা শহরে দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মেয়েশিশুর সংখ্যাই ১৫ থেকে ২০ হাজার, যারা এ কাজ শুরু করেছে তাদের বয়স ১২ বছর হবারও আগে থেকে। আমি বেশিক্ষণ ঘাটাঘাটি করিনি। তবে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ভারতের দিকে ১টু নজর দেয়া যাকঃ সাম্প্রতিক কালের ভারতের যৌনকর্মীদের সম্বন্ধে অনুসন্ধানমূলক তথ্যাদি খুবই সীমিত এবং অস্পষ্ট।

ভারতে আনুমানিক ২৫ - ৩৫ লক্ষ!!! যৌনকর্মীদের মোটামুটি এই কয়েকটি শ্রেণীরে ভাগ করা যায়: (১) লালবাতি এলাকার ভেতরে বা বাইরে যৌনকর্মালয়ে (ব্রথেল-এ) বসবাসকারী যৌনকর্মী; (২) পথচারী বা ভাসমান (ফ্লোটিং) যৌনকর্মী; (৩) ছোটবেলায় পারিবারিক দারিদ্রের জন্য দেবদাসী হিসেবে উত্সর্গীকৃত মেয়েরা যাদের বেশীর ভাগকেই পরে যৌনকর্মী হতে হয়; (৪) যাযাবর শ্রেণীর যেসব মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই যৌনকর্মী হওয়ার তালিম দেওযা হয় এবং পরে পারিবারিক অভাব মেটাবার জন্য যৌনকর্মে নিযুক্ত করা হয়; (৫) যেসব মেয়েদের পূর্বপুরুষরা প্রথাগতভাবে পারিবারিক ভরণ-পোষণের জন্য মেয়েদের নাচগান পরিবেশনের উপর নির্ভর করতেন, তাঁদের অনেকে আজকাল বাঈজী, নাচনী ইত্যাদি নামে যৌনকর্মে নিযুক্ত থাকেন; (৬) কলগার্ল, যাঁদের অনেকেই মধ্যবিত্ত শ্রেণীভুক্ত এবং নিজেদের জীবনযাত্রার মান বাড়াবার জন্য আংশিক বা পুরোভাবে যৌনকার্যে নিযুক্ত থাকেন; (৭) পুরুষ বা হিজড়ে যৌনকর্মী যাঁরা টাকার বিনিময়ে প্রধানতঃ সমকামী বা উভয়কামী পুরুষদের যৌনক্ষুধা মেটান এবং (৮) শিশু যৌনকর্মী কিন্তু কলকাতায় যেখানে যৌন কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৭০০০০ বা তার বেশি তবে পুরা বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে কি দাড়ায়!!আর যদি পুরা ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের সাথে তুলনা করি তবে কই আসমান আর কই উসমান? ভারত এত বড় একটা রাষ্ট্র যেখানে ২৮ টি প্রদেশ রয়েছে। তার মধ্যে সারা পৃথিবীর মানুষ বাদ দিলাম এমনকি ভারতের মানুষ সব কয়টির নাম বলতে পারবেকিনা সেই ব্যাপারে আমি যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছি। যেখানে এখনও মানুষের না খেয়ে মৃত্যুর কথা শুনা যায়,যেখানে অনেক মানুষ মোবাইল কি জিনিস তা জানেনা সেইখানে তাদের দেশের কথা না চিন্তা করে কেন আমাদের কথা আসবে? এনডিটিভির এই ধরনের রিপোর্ট করার মানে আমি বুঝিনি। ধরলাম তারা এইব্যাপার এ ভাল কিছু রিপোর্ট করেছে। কিন্তু খারাপের আবার ভাল হয়নাকি?মানতে পারতাম যদিনা তারা আমাদের দেশের ভাল বিষয়ে আগেও রিপোর্ট করে থাকত তবে।

তবে শুধু এইটুকুই বুঝেছি যে ভারতীয়রা কখনও এই দেশের ভাল চায় না। এই ধরনের ওপেন সিক্রেট সোসাইটির প্রতি যেখানে বাংলাদেশের সরকারের কোন মাথাবেথা নেই সেইখানে তারা কেন এই ধরনের রিপোর্ট করবে?যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শির ঘুম নাই-ব্যাপারটা এইরকম হল না!!। এই রিপোর্টতো অবশ্যই বাহিরের মানুষজন দেখবে? কেন এই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তাদের এত দৌড়? অফ টপিকঃ আজকে দেখলাম প্রতিটা টিভি চ্যানেলে ঘটা করে তেন্দুল্কার কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা সম্মাননা দেয়ার উৎসব। আমি এই বেপারটার কিছুই বুঝলাম না। খুব অল্প সময়ে লেখা।

ভুলগুলো ক্ষমা করবেন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.