......
১) বয়ফ্রেন্ড এর আর্থিক অবস্থা নিয়ে তাঁকে কথা শুনাবেন না, ছেলেদের জন্য এটা অনেক সেনসিটিভ। আর তাঁর আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রবলেম থাকলে রিলাসন করার তো দরকার ছিল না। তাঁকে জানান তাঁর যা আছে তা নিয়েই আপনি খুশি, এতে তাঁর আপনার প্রতি রেসপ্যাক্ট বাড়বে।
২) নতুন কোন ছেলে আপনাকে প্রপোজ করলে তা নিয়ে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ভাব ধরবেন না, এতে ছেলেদের মনে অবিশ্বাস জন্ম নেয় ও তারাও ভাবে আপনি স্তাবল না, পরে তারাও গোপনে নতুন মেয়ে খুঁজে বেরায়।
৩) সম্পর্কের মাঝে সমস্যা হলে নিজের দোষগুলাও মাঝে সাঝে প্রকাশ করুন এতে আপনার সম্মান ছেলের চোখে বাড়বে বৈ কমবে না, মনে রাখবেন কখনো এক হাতে তালি বাজে না, আপনার ও নিশ্চয় কোন ভুল বা দোষ আছে যার জন্য সমস্যা হচ্ছে।
৪) অনেক মেয়ে আছে যারা রিলেশন এ ঝগড়া হলে বয়ফ্রেন্ড কে যানায় সে অনেক ভালো আছে এখন বা ড্যামকেয়ার ভাব নেয়, যদিও মনে মনে অনেক ফীল করে কিন্তু উপরে ভাবে থাকে, এসব পরিহার করে বয়ফ্রেন্ড কে জানান দিন আপনার আবেগের কথা, দেখেবন সেও অনেক সফট হবে আপনার প্রতি।
৫) যাদের রিলাসন এর মাঝে বিয়ের প্রস্তাব আসে তাঁরা খুব এ দৃঢ় ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করুন কোন রকম ইতস্তত করবেন না এতে বয়ফ্রেন্ড এর বিশ্বাস আপনার প্রতি অনেক বেড়ে যাবে।
৬) ড্রামা সিরিয়াল এর নায়ক ও মডেলদের নিয়ে অতি আক্ষেপ করবেন না যেমন আহা তুমি কেন ওর মত হলা না, অনেক সম্পর্কে দেখেছি এসব নিয়েও ঝগড়া হয়, তাই নিজের এসব ভালো লাগা নিজের মনেই রাখুন।
৭) বয়ফ্রেন্ড এর জক্তিক কোন কথা মেনে চলার চেষ্টা করুন কথায় কথায় নারীবাদী ভুমিকায় অবতীর্ণ হবেন না, মনে রখবেন সম্পর্ক ভিত্তি হচ্ছে ত্যাগ, এখানে দেখবেন আপনি তাঁর কথা মত চললে সেও আপনার কথায় চলবে।
৮) অনেকে আবার দেখি ঝগড়া হলেই ফেসবুক এ ঝট কতে সিঙ্গেল স্ট্যাটাস দিয়ে বসে এসব স্বভাব বাদ দিন, এগুলা দেখলে অপরপক্ষ ইন্সেকুর ফীল করে এবং সেও চেষ্টা করবে আপনার সাথে প্রতারনা করার।
৯) এখনকার যুগের ছেলেরাও অনেক জেলাস টাইপ এর হয় কাজেই অন্য ছেলের প্রশংসাই পঞ্চমুখ হবেন না বয়ফ্রেন্ড এর কাছে, বরং তাঁর মাঝে যে গুনগুলো সেগুলো ফোকাস করুন, দেখবেন সেও আপনার অনেক সুনাম করছে।
১০) ভুলেও আপনার কোন সুন্দরি বান্ধবীর সাথে বয়ফ্রেন্ড এর তাঁর পরিচয় করায় দিবেন না কারন হল ছেলেরা সুন্দরের পাগল দেখেবন ট্রাই করতে পারে আবার ওইদিকেও কুল কিনারা করার তাই সাবধান।
পরিশেষে বলতে চাই, অনেক মেয়েরই একটা ধারনা আসে ছেলেদের পিছনে ঘুরাতে পারাটা দারুন একটা ভাবের বিষয়, এটা একটা অসুস্থ চিন্তা ভাবনা। এগুলা না করে একজনকে নিয়ে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকার চেষ্টা করুন। চূড়ান্ত বিজয় আপনারই হবে।
ছেলে-মেয়ে একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে না করে যদি একে অপরের পরিপূরক মনে করে তবেই আজকের একটি ভালবাসার চারাগাছ কাল সুস্থসবল একটি মহিরুহে পরিনত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।