আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগর খুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রশ্ন

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই সাংবাদিক সাগর সরওয়ারের খুনি কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না? গ্রেপ্তার হবে কি হবে না? এসব প্রশ্ন তুলে ‘মনগড়া’ কোনো কথা গণমাধ্যমে আর বলা যাবে না। হাই কোর্ট ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় (টুইটার, ফেইসুবক, ব্লগ, ইউটিউব ইত্যাদিতে) এ বিষয়ে কথাবার্তা বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফলে সাগর ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনির খুনের কিনারা না হওয়া নিয়ে এখানে এখনো কথা বলা চলে। কথা বলা যায় ২০ দিনেও এ ঘটনায় পুলিশের কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারা নিয়ে।

ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেইসবুকে এখন পর্যন্ত একটি পেইজকে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। ফেইসবুক হলো সেই সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে সাগরের ছিল স্বচ্ছন্দ বিচরণ। ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা পর্যন্ত তিনি অফিস করেছিলেন বলেই জানা গেছে। অফিস ছাড়ার তিন ঘণ্টা, এবং খুন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও ফেইসবুকে সক্রিয় ছিলেন সাগর। ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৪ মিনিটে তিনি সর্বশেষ স্ট্যাটাস আপডেট দেন।

আর খুন হন ১০ তারিখ রাত পেরিয়ে ভোর আসার আগেই। স্ট্যাটাসটি ছিল গতবছর তার প্রকাশিত একটি বই নিয়ে। ফেইসবুকে সাগর-রুনি খুনের বিচারের দাবিতে সক্রিয় পেইজটির নাম “সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচার চাই”। পেইজটি সক্রিয়, ঠিক। কিন্তু তার পরিচিত-অপরিচিতরা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় (সোশ্যালি অ্যাক্টিভ=সোশ্যাল্যাক্টিভ) তারা কি নিষ্ক্রিয়? ১ মার্চ পর্যন্ত ওই পেইজটি পছন্দ করেছেন মাত্র ২৩৬ জন।

মাত্র? হ্যা, মাত্রই। কেননা ঢাকা শহরে অন্তত ২ হাজার সাংবাদিক আছেন। নিজের দুজন সহকর্মী খুনের ঘটনায় তারা কি ওই পেইজটিকে পছন্দ করে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না? তারা কি পারেন না ওই পেইজের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিচারের দাবি প্রবল করে তুলতে? এর বাইরে আরো দুঃখজনক সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটি দেখাচ্ছেন স্বয়ং সাগরের বন্ধুরা। ফেইসবুকে সাগরের বন্ধু ছিলেন এক হাজার দুশ ৪০ জন। এমনকি এই বন্ধুরাও এখন পর্যন্ত শামিল হননি বিচার দাবির জনমত গড়ে তোলার সোশ্যাল চ্যানেল “সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচার চাই” ফেইসবুক পেইজটিতে।

আমার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেও এর শক্তি সম্পর্কে এখনো জানি না- তাই কি এই অবস্থা? এই এক হাজার মানুষ পেইজটি পছন্দ করলে (পেইজটিতে লাইক দিলে) সেই খবর যেত আরো কয়েক হাজার মানুষের কাছে। সেখান থেকে আরো আরো। এভাবে দেশের ২৪ লাখ ফেইসবুক ব্যবহারকারীর অনেকেই জানতে পারতো বিষয়টি। তারাও হতে পারতো সরব। বিচার চেয়ে সক্রিয় ফেইসবুক পেইজটি Click This Link লেখাটি নেয়া হয়েছে http://newsually.com/?p=4435 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.