আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেশমা কথন!

.....সুতরাং এখানে কথা কম বলুন। "...., তুমি নিশ্চয়ই স্পটে আছো এবং খুব খুশি" -রানাপ্লাজা থেকে মাত্র দশটাকার রিক্সাভাড়া দূরত্বে অবস্থান করেও সেদিন রেশমা উদ্ধারের খবরটা প্রথম পাই ফোনে তাও আবার জনৈক বিদেশীর কাছ থেকে! কলটা শেষ হতেই দেখি ডজনেরও বেশি মিসকল, নামগুলো দেখেই বুঝে ফেললাম ফোন একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সাইলেন্ট মুডে রাখতে নেই! হ্যা, কাঠফাটা রোদই ছিল সেদিন। এরমাঝেই কিভাবে এত মানুষ এত অল্প সময়ের মাঝেই সেখানে হাজির ভেবে অবাকই হলাম। যেন একটা আবেগের সমাবেশ! মাইকে দুয়া হচ্ছে, একজন আরেকজনকে আলিংগনে বাধছে, কারো আবার চোখে পানি! আমার গ্রুপের লোকদের খুঁজে বের করে মোনাজাতে শরিক হলাম। রেশমাকে যখন বের করা হয় তখন ডিফেন্সের লোকদের উচ্চস্বরে আল্লাহ আকবর ধ্বনিতে হাতের পশম দাঁড়িয়ে যাওয়াটা স্পস্টতই অনুভব করতে পারছিলাম! চোখের সামনে দিয়ে তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল। অনেকদিন সম্ভবত এমন আনন্দ অনুভব করিনি! ছেলেপেলেরা বললো আজ আর কোন কাজ নয়; সবাই মিলে গেলাম বংশী নদীর তীরে। ঘাসে ছাওয়া নদীপপাড়, বিকেলের নরম হাওয়া, শান্ত প্রকৃতি - কোনটাই কিন্তু সেদিন মনকে প্রশান্তি এনে দিতে পারেনি কারন কেউ একজনের মোবাইল ইন্টারনেটের কল্যাণে সেখানে অনুপ্রবেশ ঘটে মুন্নি সাহার। সেদিন নদীপাড় থেকে ফিরে আসার সময়ের অনুভুতি- "শালার বিকালটাই মাটি!" আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গতকাল থেকে শয্যাশায়ী। খবরটা পড়ে এখন আবার নতুন করে শুরু হচ্ছে মানষিক বিপর্যয়! আমি দ্বিধান্বিত! কেউ একজন কি দয়া করে জানাবেন যে মুন্নি সাহা-কে সরি বলার সময় এসেছে কি না?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।