আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলিম দুনিয়ার মোশরেক নেতৃত্ব

জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায় বিদেশী প্রভুরা চলে যাবার সময় প্রতিটি রাষ্ট্রে ক্ষমতা দিয়ে গেলো তাদের হাতে গড়া, তাদের মনোমতভাবে 'শিক্ষিত' শ্রেনীটির হাতে। এই শ্রেণীটি ছিলো এবং আছে। এরা দেশের জনসাধারণের সব কিছু থেকেই বিচ্ছিন্ন এবং বিগত প্রভুদের সম্বন্ধে অতল হীনমন্যতায় নিমজ্জিত।

প্রভুদের শিক্ষার গুণে তারা নিজেদের প্রপিতামহের নাম বোলতে না পারলেও যে প্রভুদের দেশও তারা কোনদিন দেখেনি সেই প্রভুদের দেশের রাজনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক নেতাদের চৌদ্দ পুরুষের নাম অনর্গল বোলে দিতে পারে। নিজেদের ইতিহাস সম্বন্ধে আছে তাদের লজ্জা, কারণ যে বিকৃত ইতিহাস তাদের প্রভুরা শিখিয়েছিলো তাতে লজ্জা ছাড়া আর কিছুউ জন্মাতে পারে না। এই শিক্ষিত শাসক শ্রেণীটির ও তাদের শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত কিন্তু ক্ষমতার গণ্ডীর বাইরে, যারা নিজেদের নাম নিয়েছেন 'বুদ্ধিজীবী' শ্রেণীটির কাছে বিগত প্রভুদের শেখানো প্রভুদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রশাসনিক ও দণ্ডবিধির চেয়ে ভাল আর পৃথিবীতে কিছু সম্ভব নয়। ঐ সব ব্যাপারে আল্লাহ(Allah)র দেয়া ব্যবস্থাগুলি মধ্যযুগীয় (শব্দটা শিখেছেন প্রভুদের কাছে থেকেই) কাজেই আধুনিক যুগে অচল ও পরিত্যাজ্য। স্বাভাবতঃই প্রভুরা চোলে যাবার পর তারা নিজ নিজ দেশে অর্থাৎ ভৌগলিক রাষ্ট্রগুলিতে প্রভুদের নকল কোরে তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ব্যবস্থা মাছি মারা কেরানীর মত প্রবর্তন কোরলেন।

দণ্ডবিধি চালু কোরলেন প্রভুদের তৈরী সেই দণ্ডবিধি, যে দণ্ডবিধি দিয়ে তারা এতদিন শাসন কোরে গেছে। নিজেদের অতীত সম্বন্ধে লজ্জিত, নিজেদের ভাণ্ডারে কি আছে সে সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ, ইউরোপের সব কিছু সম্বন্ধে হীনমন্যতায় নিমজ্জিত এই শাসক বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর পক্ষে অন্য কিছু করা সম্ভবও ছিলো না। এরা হলো সত্যিকার অর্থে পাশ্চাত্যের সব কিছুর পুজারী, আবেদ। এবং এও জানেন কিনা সন্দেহ, যে যুগটাকে তারা মধ্যযুগ বোলে ঘৃণা কোরছেন, অর্থাৎ খ্রীস্টীয় পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী, ওই সময়টার মধ্যেই ইউরোপীয়ানদের বর্বর যুগ এবং মুসলিম(Muslim)দের স্বর্ণ যুগ পড়ে। আত্মাহীন পাশ্চাত্য যান্ত্রিক 'সভ্যতা' ও তার প্রবর্তকরা এদের মাবুদ।

কয়েকশ' বছর ইউরোপীয়ান শক্তিগুলি এই তথাকথিত 'মুসলিম(Muslim)' জাতির খণ্ড-বিখণ্ড অংশগুলিকে ক্রীতদাসের মত শাসন করার পর, নিজেদের মধ্যে মহাযুদ্ধ করার ফলে দুর্বল হোয়ে যেয়ে এগুলিকে যে স্বাধীনতা' দিয়ে গেলো, সে স্বাধীনতা কতটুকু স্বাধীনতা তা একটু পর্যবেক্ষণ করা দরকার। পাশ্চাত্য শক্তিগুলি খুব ভাল কোরেই জানতো যে, তারা ক্ষমতা ছেড়ে যাচ্ছে তাদেরই সযতনে শিক্ষিত শ্রেণীটির হাতে। কাজেই তাদের স্বার্থ এই নতুন স্বাধীন দেশগুলিতে সম্পূর্ণ নিরাপদ। তারা চোলে যাবার আগে, যখন তারাই সরাসরি শাসন করতো তখনকার চেয়ে তাদের স্বার্থ বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, কারণ তারা আর নতুন শাসকদের মধ্য তফাৎ শুধু চামড়ার রং। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মহা সমারোহে এই ক্ষমতা হস্থান্তর হলো সেই শ্রেণীটিরই হাতে যাদের মাধ্যমে তারা এতদিন শাসন ও শোষণ কোরে এসেছে।

এদের মধ্যে কিছু কিছু লোক তাদের শাসনযন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকলেও শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে পাশ্চাত্যের সব কিছুর সম্বন্ধে হীনমন্যতায় তারা প্রশাসনের লোকদের মতই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.