আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংগালী জাতির অকৃত্রিম অভিভাবক মওলানা ভাসানী ২

১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার পূর্ব বংগ এবং আসাম নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করেন। এক- ই প্রদেশের অধিবাসী হওয়া সত্বেও এবং ১৮৮৯ সালের ইন্ডিয়া অ্যাক্ট অনুসারে ভারতের যে কোন প্রদেশের মানুষ অন্য যে কোন প্রদেশে যেয়ে বসবাসের অধিকার লাভ করলেও ১৯২০ সালে আসামের কংগ্রেস একটি বৈষম্য মূলক নিয়ম চালু করে- যা 'লাইন সিস্টেম' নামে পরিচিত। তারা পূর্ব-বংগ এবং আসামের মধ্যে একটি বাউন্ডারি টানে যাতে পূর্ব- বঙ্গের দরিদ্র কৃষকেরা ( মুসলিম এবং হিন্দু) আসামে যেয়ে বসতি স্থাপন করতে না পারে। বলা বাহুল্য যে এটা এক-ই প্রদেশ নীতি এবং ইন্ডিয়া অ্যাক্ট এর পরিপন্থী নিয়ম। এদিকে জমিদারদের অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে টাংগাইলের জমিদার ব্রিটিশদের সাহায্য নিয়ে ভাসানীকে ১৯২৬ সালে সপরিবারে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করে।

অথচ ভাসানী তখন একজন কংগ্রেস নেতা। আসামে এসে তিনি গোয়ালপারা জেলার ধুবরির অদূরে একটি পতিত জমিতে বসতি স্থাপন করেন। ১৯২৯ সালে মওলানা ভাসানী পূর্ব বঙ্গের দরিদ্র ,নিঃস্ব এবং ভূমিহীন কৃষকরা যাতে আসামে এসে বসত স্থাপন করতে পারেন তার জন্য সক্রিয় সহযোগিতা করতে শুরু করেন। একই বছরে গাগমারী এলাকায় তিনি কৃষকদের একটি মহা সম্মেলন করেন এবং কৃষকদের জন্য তার এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে 'কৃষকবন্ধু' উপাধি দেয়া হয়। যত দূর জানি ব্রিটিশ ভারতে ভাসানী-ই একমাত্র রাজনীতিক যাকে কৃষকেরা ভালবেসে 'কৃষক বন্ধু' উপাধি দিয়েছিলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।