আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিহত সাংবাদিক দম্পতিঃ এই পরিনতি আমাদের কাম্য ছিলোনা।

নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার সাংবাদিক দম্পতির এভাবে চলে যাওয়াটা সমাজের কোনো গোষ্ঠি বা সচেতন মানুষ মেনে নিতে পারছেনা। যেকোনো অপমৃত্যুই যেখানে কাম্য নয়, সেখানে নির্মম হত্যাকান্ড নিজ বাসায়-এটাকে মানতে পারা কঠিন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এমন হচ্ছে? মানুষ কি নিজ ঘরেও নিরাপদ থাকতে পারবেনা? তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ থাকতে পারি? দেশের বর্তমান আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির এটি একটি চিত্রমাত্র। কিন্তু এই হত্যাকান্ডকে আমরা নিছক ডাকাতি বা চুরি উদ্দেশ্যে খুন হিসাবে বিবেচনা করতে পারিনি প্রথম থেকেই। আজ কিছু কিছু পত্রিকায় এমন একটি ধারনা দেওয়া হয়েছে যে, রুনির সাথে তার অফিসের কারো অবৈধ সম্পর্কের কারনেই হয়তো এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

কিন্তু এভাবে একটি অনুমান নির্ভর বিষয়কে সত্য ধরে মৃত রুনির চরিত্রহননকে সভ্য কাজ হিসাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। অনুমান নির্ভর সংবাদ যে, মানুষের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলে নিশ্চয় সাংবাদিকরা আজ উপলব্ধি করবেন। রুনির অনুপস্থিতিতে রুনির মতোই সাংবাদিকেরা আজ রুনির চরিত্রহননে লেগে গেলো। তাহলে এতদিন সাধারণ মানুষের জীবনে অনুমান নির্ভর সংবাদগুলো কি পরিমান যন্ত্রণার কারণ হয়েছে-তা সহজেই বুঝা যায়। আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে সব সময়ই সাধুবাদ জানাই, তাদের সফলতা কামনা করি।

কিন্তু অপসাংবাদিকতাকে ঘৃনা করি সব সময়। যদিও ঘৃনা দিয়ে অপসাংবাদিকতা বন্ধ করা কঠিন। সেক্ষেত্রে সবার আগে সৎ সাংবাদিকতার স্বার্থে সাংবাদিক সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে অপসাংবাদিকতাকে রুখে দিতে। সাধারণ মানুষ সৎসাংবাদিকতাকে সমর্থন দিতে সব সময়ই সাংবাদিক সমাজের সাথেই আছে। আসুন আমরা বেরিয়ে আসি অপসাংবাদিকতা থেকে, দায়িত্বশীল আচরণ করি সবার সাথে সমান ভাবে।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.