আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে ঈমানদার ! একটু শুনবে কি ??

নয়া যামানার নয়া পথিক,পথ হারিয়ে ছুটনা দিক্বিদিক হে ঈমানওয়ালা ! তোমার থেকে বেশী সময় আমি নিব না,শুধু কিছু কথা বলব, যদি তোমার সময় হয়,তাহলে কথাগুলো শোন- হযরত আয়েশা (রা) বলেন, আমি তীব্র শীতের দিন তাঁর (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি ওহী নাযিল হতে দেখেছি। যখন নাযিল শেষ হত, তখন সেই কঠিন শীতের সময়ও তাঁর পবিত্র ললাট ঘর্মাক্ত হয়ে যেত। (সহীহ বুখারী, হাদিস নং : ২) অপর এক বর্ণনায় আয়েশা সিদ্দিকা (রা) বলেন, যখন ওহী নাযিল হতো তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্বাস-প্রশ্বাস আটকে যেত, পবিত্র চেহারার রং বদলে গিয়ে খেজুর ডালার মত হলদে হয়ে যেত, সামনের দাঁত কাঁপতে থাকত এবং তিনি এতটা ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তেন যে, তার ফোটাসমূহ মুক্তার মত চকচক করত। (আল-ইতকানঃ ১/৪৬) ওহী নাযিলের এ অবস্থায় কখনও কখনও চাপ এতটা বেশী হত যে, তিনি যে পশুর পিঠে সাওয়ার থাকতেন, সেটি তাঁর গুরুভারের কারণে বসে পড়ত। একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা) এর উরুতে মাথা রেখে শোওয়া অবস্থায় ছিলেন, এ অবস্থায় ওহী নাযিল হলো।

তাতে হযরত যায়েদ (রা)- এর উরুতে এতটা চাপ পড়ল যে, তা ফেটে যাবার উপক্রম হলো। (যাদুল মাআদঃ ১/১৮-১৯) __♥__♥_____♥__♥__♥__♥_____♥__♥__♥__♥__ হে মুসলমান ! একটু চিন্তা করে দেখ ওহী নাযিলের সময় তোমার নবীর কত কষ্ট হতো। তাঁর কত কষ্টের পরে এই কোরআন আজ তুমি পেয়েছ। কিন্তু তোমার তো কোন কষ্ট হয় নি! আর দয়ার নবীও চাননি এই উম্মত এই কষ্ট ভোগ করুক,তিনি তো চেয়েছেন তাঁর উম্মতেরা এই কোরআন পড়বে এবং সে অনুযায়ী জীবন গড়বে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা আজ অনেকেই মুসলমান হওয়া স্বত্বেও কোরআন পড়তে পারি না,পড়তে পারলেও অবহেলায় তা পড়ি না, আর যারা পড়ি তারা অর্থ বুঝার চেষ্টা করি না।

এর থেকে কষ্টের আর কি আছে বলো তোমরা। হে নবী !এই অকৃতজ্ঞতার কারণে আমাদের তুমি ভুলে যেও না, আমাদের তুমি ক্ষমা করে দিও!!!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।